আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২৫ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০২২

রূপগঞ্জের চনপাড়া
মাদক নির্মূল কমিটির নেতারা মাদক ব্যবসায়

কয়েক বছর ধরেই মাদক কেনাবেচার জন্য ‘নিরাপদ’ এলাকা হয়ে উঠেছে চনপাড়া। মাদকসেবীদের কাছেও এলাকাটি বেশ ‘পছন্দের’। এখানকার বেশ কিছু বাসাবাড়িতে মাদক সেবনেরও ব্যবস্থা রয়েছে। এ রকম ১১৪টি স্পট (মাদক সেবনের জায়গা) চনপাড়ায় থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ।মাদক ব্যবসা এবং মাদকসেবীদের আড্ডা বন্ধে বছরখানেক আগে চনপাড়ায় মাদক নির্মূল কমিটি করা হয়। তবে এই কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা চারজন সরাসরি মাদক ব্যবসায় জড়িত বলে পুলিশ জানিয়েছে। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার চনপাড়ায় র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত রাশেদুল ইসলাম ওরফে সিটি শাহীন ছিলেন চনপাড়া মাদক নির্মূল কমিটির সদস্যসচিব। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, মাদক–সংশ্লিষ্টতাসহ বিভিন্ন অপরাধে ২৩টি মামলা ছিল। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, চনপাড়া মাদক নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক রাজু আহমেদ ওরফে রাজা চিহ্নিত মাদক কারবারি। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলাও রয়েছে। আর মাদক নির্মূল কমিটির দুই যুগ্ম সচিব ফাহাদ আহম্মেদ এবং স্বপন ব্যাপারীও তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি।নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ড চনপাড়া। এই ওয়ার্ডের সদস্য বজলুর রহমান গত বছরের নভেম্বর মাসে ৩৫ সদস্যের মাদক নির্মূল কমিটি করে দেন বলে পুলিশ সূত্র ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান। বজলুর রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। চনপাড়ার মাদক কারবারিরা ‘নেতা’ মানেন ইউপি সদস্য সদস্যকে বজলুকে। তাঁর জামাতা মো. রিপনের বিরুদ্ধেও মাদক মামলা রয়েছে। গত মাসে (অক্টোবর) গ্রেপ্তার হওয়ায় তিনি এখন কারাগারে। সূত্র: প্রথম আলো

জিংকসমৃদ্ধ ধান রেখে চালে পুষ্টি মেশানো, ব্যয় ৫৮ কোটি টাকা
বাংলাদেশ ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠান (ব্রি) এ পর্যন্ত জিংকসমৃদ্ধ ধানের সাতটি জাত উদ্ভাবন করেছে। এর মধ্যে ব্রি-৮৪ জাতের প্রতি কেজি ধানে ২৭ মিলিগ্রাম জিংক পাওয়া যায়। আর সম্প্রতি মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে নতুন উদ্ভাবিত জাত বঙ্গবন্ধু ধান১০০-এ জিংকের পরিমাণ প্রতি কেজিতে ২৫.৭ মিলিগ্রাম।কিন্তু মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট’ (ভিডাব্লিউবি) কর্মসূচিতে চালে বিশেষ পদ্ধতিতে পুষ্টি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।এর জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৫৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। আগামী জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া দুই বছর মেয়াদি এ কর্মসূচিতে মোট ব্যয় হবে এক হাজার ৮০০ কোটি টাকা।চালে পুষ্টি মেশানোর ওই বিশেষ পদ্ধতিকে বলা হচ্ছে কার্নেল পদ্ধতি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পদ্ধতিতে পুষ্টি মেশানো হলেও চাল ধোয়ার পর কিংবা গুদামে মজুদ করলে পুষ্টি নষ্ট হয়ে যায়। তাই তাঁরা এই কর্মসূচিতে দেশে উৎপাদিত জিংকসমৃদ্ধ ধানের চাল ব্যবহার করা উত্তম ও সাশ্রয়ী বলে মত দেন। সূত্র: কালের কণ্ঠ

মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছে
ফরিদপুরের সমাবেশে মির্জা ফখরুল, নিরপেক্ষ সরকার ও নতুন ইসির অধীনে নির্বাচন দাবি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এ অবস্থা আর চলবে না। মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না। বর্তমান সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। অবিলম্বে জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। নইলে আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণ এ সরকারকে টেনে-হিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামাবে।’ তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়াও হবে না। নিরপেক্ষ নির্বাচনের পর জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। আমরা রাষ্ট্রের মেরামত চাই। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ চাই।’ গতকাল ফরিদপুরের কোমরপুর আবদুল আজিজ ইনস্টিটিউট মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ফরিদপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ এফ এম কাইয়ুম জঙ্গীর সভাপতিত্বে এবং সদস্যসচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ ও এ কে এম কিবরিয়া স্বপনের পরিচালনায় গণসমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে নান্দনিক রূপে সাজানো হচ্ছে চট্টগ্রাম মহানগরকে

Nagad

মহানগরকে নান্দনিক রূপে সাজাতে কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। জানা যায়, আগামী ৪ ডিসেম্বর সকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে চট্টগ্রামে আসছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাছাড়া, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলায় জেলায় সফরের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ঐদিনই চট্টগ্রামের পোলোগ্রাউন্ড মাঠে আওয়ামী লীগের সমাবেশে যোগ দেবেন তিনি। দলীয় নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে ও নির্বাচনমূখী প্রচারণায় নামাতেই এই উদ্যোগ। দলীয় সভাপতি ও দেশের প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিনত করার লক্ষ্য নিয়ে গত ৯নভেম্বর স্থানীয় একটি কমিউনিটি হলে যৌথ বর্ধিত সভা করেছে চট্টগ্রাম দক্ষিন ও উত্তর জেলাসহ মহানগর আওয়ামী লীগ। নেতাকর্মীরা নিজ উদ্যোগে ইতিমধ্যেই নগরীতে রঙ্গিন পোষ্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, প্লেকার্ডে সাজাতে শুরু করে দিয়েছে। মেয়রের নির্দেশনায় মরহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ফ্লাইওভার হতে মরহুম এম এ মান্নান ফ্লাইওভারের মাঝের অংশটির ল্যাম্প পোস্টে ৭০র নির্বাচনে বিজয় ও স্বাধীনতার প্রতিক নৌকার আকৃতিতে এলইডি বাতি লাগিয়ে আলো ঝলমলে করেছে চসিকের বিদ্যুৎ বিভাগ। সূত্র: ইত্তেফাক

 

বিশ্ববাজারে টানা ৭ মাস খাদ্যপণ্যের দাম নিম্নমুখী, সুফল মিলছে না দেশে
আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দাম টানা ৭ মাস ধরে নিম্নমুখী। নয় বছরের মধ্যে এবারই প্রথম এত লম্বা সময় ধরে নিম্নমুখিতা অব্যাহত আছে। গত অক্টোবরে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) খাদ্যপণ্যের মূল্যসূচক আগের মাসের চেয়ে দশমিক ১ শতাংশ কমেছে। এর মধ্য দিয়ে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক দাম নয় মাসে সর্বনিম্নে নেমেছে। কিন্তু দেশে মার্কিন ডলারের দাম বাড়ায় ও ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা তোলায় ভোক্তারা বৈশ্বিক বাজারে দাম কমার সুফল পাচ্ছেন না। এফএওর সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাংস, চিনি, ভোজ্য তেল ও দুগ্ধপণ্যের দাম কমেছে। কিন্তু দেশে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত এক বছরের ব্যবধানে বাজারে আটার দাম ৭৯ শতাংশ বেড়েছে। মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ৮ শতাংশ। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

রপ্তানি খাতে বিরূপ প্রভাব
ডলার আয় কমছে চার কারণে

দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক ও নিটওয়্যার থেকে মার্কিন ডলার আয় ক্রমশ কমছে। মূলত বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির প্রভাবে উন্নত বিশ্বের ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে এ শিল্পের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।এছাড়া শিল্পের কাঁচামাল আমদানির এলসি খুলতে বেশি টাকায় ডলার কিনতে হচ্ছে। কিন্তু রপ্তানি আয় (ডলার) নগদায়নের ক্ষেত্রে মিলছে কম টাকা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আমদানি বিল পরিশোধসংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন। সম্প্রতি এটা জারি করা হয়।উল্লিখিত কারণগুলো রপ্তানি আয়ের প্রধান খাতে বড় ধরনের সংকট তৈরি করছে। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমএই এবং বিকেএমইএ। বিদ্যমান সংকট মোকাবিলায় দুটি সংগঠনের পক্ষ থেকে একাধিক প্রস্তাবসহ অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সূত্র: যুগান্তর

রপ্তানি আয় দেশে আনার বর্ধিত সময় পাবেন রপ্তানিকারকেরা

বর্তমানে নিয়ম অনুযায়ী, পণ্য রপ্তানির পর ১২০ দিনের মধ্যে রপ্তানি মূল্য দেশে প্রত্যাবাসন করতে হলেও– সেটি বাড়িয়ে ২১০ দিন করতে চলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বিদেশের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়বে। ফলস্বরূপ শক্তিশালী হবে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ। ফরেক্স রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি কর্মরতদের পাঠানো রেমিট্যান্সে-ও নগদ প্রণোদনা দেবে সরকার। একইসঙ্গে, ৩৬০ দিনে শিল্পের কাঁচামাল আমদানির মূল্য পরিশোধের ‘ইউসেন্স পিরিয়ড’ আরও ছয় মাস বাড়ানো হচ্ছে।এসব ঘোষণা দিয়ে খুব শিগগিরই তিনটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা বিষয়টি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নিশ্চিত করেছেন।তারা জানান, বাংলাদেশের নিট পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি- বিকেএমইএ’র অনুরোধের প্রেক্ষিতে রপ্তানি আয় প্রত্যাবাসের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্র; বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

কিশোরগঞ্জে কোচিং সেন্টার থেকে চিকিৎসককে ‘অপহরণের’ অভিযোগ

কিশোরগঞ্জ শহরের একটি কোচিং সেন্টার থেকে এক তরুণ চিকিৎসককে ‘অপহরণের’ অভিযোগ করেছে তার পরিবার। ২৮ বছর বয়সী মির্জা নূর কাউসার কিশোরগঞ্জের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রভাষক। তার গ্রামের বাড়ি বাজিতপুর উপজেলার উজানচর গ্রামে। শহরের খরমপট্টি এলাকায় সমবায় মার্কেটের দোতালায় মেডিক্স কোচিং সেন্টার পরিচালনায় যুক্ত ছিলেন কাউসার। শনিবার সন্ধ্যায় সেখান থেকে একদল লোক তাকে ডেকে নিয়ে যায় বলে পরিবার ও সহকর্মীদের ভাষ্য। সূত্র: বিডি নিউজ

গাজীপুরের কোনাবাড়িতে শতাধিক ঝুট গোডাউনে আগুন

গাজীপুরের কোনাবাড়ি জেলখানা রোড এলাকায় ঝুটের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে প্রথমে একটি ঝুট গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে আগুনের মাত্রা বেড়ে গিয়ে আশপাশের প্রায় শতাধিক ঝুট গোডাউনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাজীপুর সদর থেকে ৩টি, ডিবিএল ১টি, টঙ্গী ১টি ও কালিয়াকৈর ১টি; মোট ৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাত ২টার দিকে খবর পেলে প্রথমে গাজীপুর সদর থেকে ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে আগুনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় টঙ্গীসহ কালিয়াকৈর থেকে মোট ৬টি ইউনিট কাজ করছে। তবে পানি সংকটের জন্য আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে হতাহত এবং ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না। সূত্র: চ্যানেল আই অনলাইন।

গৌরব হারাচ্ছে শতবর্ষী জিলা স্কুলগুলো

খুলনা জিলা স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয় উনিশ শতকের শেষ ভাগে। খুলনা অঞ্চলে মাধ্যমিক শিক্ষার বিকাশে বিদ্যালয়টির বড় ভূমিকা রয়েছে। এ অঞ্চলে বেড়ে ওঠা অনেক বরেণ্য ব্যক্তিত্বেরই শিক্ষাজীবনের মূল ভিত্তি গড়ে উঠেছিল এখানে। দেশের সবচেয়ে প্রাচীন বিদ্যালয়গুলোর অন্যতম খুলনা জিলা স্কুলের অর্জনের ঝুলি এখন অনেক সমৃদ্ধ। যদিও মান ও সক্ষমতার দিক থেকে শতবর্ষী বিদ্যালয়টি এখন আর আগের সে অবস্থানে নেই বলে মনে করছেন খুলনার স্থানীয় বাসিন্দারা। বিদ্যালয়টিতে প্রতি শিক্ষকের বিপরীতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪০-এর বেশি। যদিও বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত হওয়া উচিত সর্বোচ্চ ১:৩০। আবার শ্রেণীকক্ষের দিক থেকেও ১৩৭ বছর পুরনো বিদ্যালয়টির অবস্থান মানদণ্ডের বেশ নিচে। জনবল, অবকাঠামো ও পাঠদান পদ্ধতি বিবেচনায় কোনো দিক থেকেই আগের মতো সক্ষমতার ছাপ দেখাতে পারছে না বিদ্যালয়টি। দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত অন্য ১২টি জিলা স্কুলের চিত্রও কম-বেশি একই রকম। স্কুলগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, কোথাও শিক্ষক বা অন্যান্য জনবলের সংকট রয়েছে। আবার কোথাও রয়েছে শ্রেণীকক্ষ, ল্যাব বা গ্রন্থাগারের অপ্রতুলতা। এমনকি যুগের চাহিদা অনুযায়ী পাঠ্যবইয়ের তালিকায় যুক্ত হওয়া আইসিটি বিষয়ে পাঠদানে কোনো শিক্ষক নেই জিলা স্কুলগুলোয়। সূত্র বণিক বার্তা।