‘মাঙ্কিপক্স’ এখন ‘এমপক্স’
ছবি- সংগৃহীত
চলতি বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম শনাক্ত হয়া মাঙ্কিপক্স ভাইরাস। পরবর্তীতে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাসটি। মাঙ্কিপক্স নামটি নিয়ে অভিযোগ অনেকদিনের। শব্দটি বর্ণবাদী ও কলঙ্কজনক উল্লেখ করে অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে মাঙ্কিপক্স নামটি পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
অবশেষে মাঙ্কিপক্সের নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংক্রামক এই ভাইরাসের নতুন নাম করেছে ‘এমপক্স’।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এইসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামী এক বছর রোগটির ক্ষেত্রে দুইটি নামই ব্যবহার করা হবে। অর্থাৎ ‘মাঙ্কিপক্স’ ও ‘এমপক্স’ ব্যবহার করা হবে। এক বছর পর রোগটিকে শুধুই ‘এমপক্স’ বলে ডাকা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশেষজ্ঞদের সাথে ধারাবাহিক কয়েকটি বৈঠকের পর ভাইরাসটির নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। রোগটির নতুন নাম ‘এমপক্স’ চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী এক বছর রোগটির ক্ষেত্রে ‘মাঙ্কিপক্স’ ও ‘এমপক্স’ দুইটি নামই ব্যবহার করা হবে। এক বছর পর রোগটিকে শুধু ‘এমপক্স’ নামে নির্দেশ করা হবে।
মাঙ্কিপক্স’র নাম পরিবর্তনের ব্যাখ্যায় ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, নামটির সাথে বর্ণবিদ্বেষমূলক সম্পর্ক জড়িত রয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে বিশেষজ্ঞরা, বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি মাঙ্কিপক্স নামটি পরিবর্তনের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে অনুরোধ জানায়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে রোগটির নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
মাঙ্কিপক্স কী?
‘মাঙ্কিপক্স’ এমন একটি ভাইরাল সংক্রমণ, যা পশু থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রামিত হতে পারে। মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ অনেকটাই স্মলপক্স বা গুটিবসন্তের মতো। তবে এ ক্ষেত্রে রোগের তীব্রতা গুটিবসন্তের চেয়ে কম।
সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) তথ্য অনুযায়ী, ১৯৫৮ সালে ডেনমার্কের এক গবেষণাগারে প্রথম বানরের দেহে মাঙ্কিপক্সের ভাইরাস চিহ্নিত হয়। তারপর ১৯৭০ সালে ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো-তে মানবদেহে এই ভাইরাসটির সন্ধান মেলে। পরবর্তী কয়েক বছরে মধ্য এবং পশ্চিম আফ্রিকার কিছু অঞ্চলে এই ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব ঘটে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ১১০টি দেশের প্রায় ৮১ হাজার ১০৭টি মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের ঘটনা ঘটে এবং এতে আক্রান্ত হয়ে ৫৫ জনের মৃত্যু হয়।
সারাদিন/২৯ নভেম্বর/এমবি
