গ্রুপ ‘চ্যাম্পিয়ন’ হয়েই নকআউটে মেসির আর্জেন্টিনা

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১, ২০২২

মেক্সিকো ও পোল্যান্ড দুই দলকেই ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাপিয়ন হয়েই দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলো মেসিরা। এই টিম সৌদি আরবের কাছে পরাজয়ে ফুটবল বিশ্বকাপের ২২তম আসরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায়ের শঙ্কায় পড়ে লে আলবিসেলেস্তেরা। নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেলতে আসা মেসি এমন কঠিন অবস্থায় গোটা দলকে নিয়ে জ্বলে উঠলেন পরের ম্যাচেই। নিজে দুর্দান্ত এক গোল করে, আর সতীর্থকে দিয়ে আরেকটি গোল করিয়ে আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন।

তবে পোল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে পেনাল্টি মিস করে দিলেন বর্তমান সময়ের সেরা তর্কসাপেক্ষে সর্বকালের সেরা কিংবদন্তি মেসি। যার ফলে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিশ্বকাপ মিশন শেষ হওয়ার শঙ্কায় পড়েছিল আর্জেন্টিনা। তবে এলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার ও হুলিয়ান আলভারেজের গোলে শেষ নাটকীয়তায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই নকআউটে জায়গা করে নিলো দুইবারের বিশ্বসেরা আকাশী নীল শিবিরের যোদ্ধারা।

বৃহস্পতিবার (০১ ডিসেম্বর) কাতারের রাজধানী দোহায় কন্টেইনার দিয়ে নির্মিত স্টেডিয়াম ৯৭৪’এ বাঁচামরার ম্যাচে শুরু থেকেই পোল্যান্ডের রক্ষণে একের পর এক আক্রমণ চালায় লিওনেল মেসি-ডি মারিয়ারা।

৭৪ মিনিটে আবারো সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। আবারো হুলিয়ান আলভারেজ শট করলেও তা চলে যায় গোলবারের উপর দিয়ে৷ ৮৭ মিনিটে গোলের অন্যতম সহজ সুযোগটি মিস করেন বদলি হিসেবে নামা লাউতারো মার্টিনেজ৷ সিজনিকে একা পেয়েও গোল দিতে ব্যর্থ হন তিনি৷ বল মারেন গোলবারের অনেক বাইরে দিয়ে৷

শেষ দিকে আর্জেন্টিনা আরো গোলের সুযোগ তৈরি করলেও তা দেখা পায়নি জালের। ফলে ২-০ ব্যবধানের জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠে আর্জেন্টিনা। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া৷

এদিন আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ২২ ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়েছেন লিওনেল মেসি। যার ফলে বিদায়ী কিংবদন্তি ডিয়াগো ম্যারাডোনার ২১ ম্যাচের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেলেন তিনি। অবশ্য সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা জার্মানির লুথার ম্যাথিউসকে (২৫টি) ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ এখনো রয়েছে তার সামনে। তবে এজন্য এখনও সাতবারের ব্যালন জয়ী এই তারকাকে ফাইনাল পর্যন্ত যেতে হবে। আর্জেন্টিনা কি পারবে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যেতে?

Nagad

বিশ্বকাপের ‘সি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় শেষ ষোলোয় আগামী সোমবার (৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় এশিয়া অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে সবশেষ ১৯৮৬ সালের চ্যাম্পিয়নরা। ফলে ১৮ ডিসেম্বর ফাইনালে শেষ বেলায় কিংবদন্তি মেসির হাতে শিরোপা দেখার আশা সমর্থকরা এখনও করতেই পারে।