হিজাববিরোধী বিক্ষোভ: ইরানে ৪০০ জনকে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড
ইরানে চলমান হিজাববিরোধী বিক্ষোভে অংশগ্রহণের দায়ে ৪০০ জনকে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) ইরানের রাজধানী তেহরানের একটি আদালত এই রায় দেন।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ান’র প্রতিবেদনে এইসব তথ্য জানানো হয়েছে।


গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার জন্য ১৬০ জনকে পাঁচ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর বাকিদের দুই থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্তত ৭০ জনকে জরিমানা করা হয়েছে।
ইরানের বিচার বিভাগের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের রাজধানী তেহরানের একটি আদালত সরকারবিরোধী বিক্ষোভে গ্রেপ্তার হওয়া ৪০০ জনকে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দিয়েছে।
ইরানের বার্তাসংস্থা মিজান বলেছে, আদালতের রায়ে ১৬০ জন দাঙ্গাকারীকে পাঁচ থেকে ১০ বছরের মধ্যে, ৮০ জনকে দুই থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে এবং ১৬০ জনকে দুই বছর বা তার কম সময়ের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া আরও ৭০ জনকে জরিমানা করা হয়েছে বলে আলী আলকাসিমেহর জানিয়েছেন। তবে তাদের বিষয়ে বিস্তারিত কোনও বিবরণ প্রদান করা হয়নি।
এর আগে ইরানে হিজাব বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় এক সপ্তাহের মধ্যে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। গত বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় মোহসেন শেখারি নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। একজন নিরাপত্তারক্ষীকে ছুরিকাঘাত করে আহত করার এবং তেহরানের রাস্তা অবরোধ করে ‘আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ ঘোষণা করার জন্য তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া গত সোমবার (১২ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় প্রতিবাদকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। দেশটির স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম মিজান নিউজের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যকে হত্যার দায়ে ওই ব্যক্তিকে ফাঁসি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে ইরানে হিজাব ইস্যুতে পুলিশ হেফাজতে এক তরুণীর মৃত্যুর পর বিক্ষোভ শুরু হয়, যা পরে সহিংস রূপ নেয়। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই মাসের শুরুর দিকে সতর্কতা দিয়ে জানায়, বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার জন্য ইরানে অন্তত ২৮ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে পারে।
সারাদিন/১৪ ডিসেম্বর/এমবি