ওমিক্রন: দেশের সব স্থল-নৌ-বিমানবন্দরে সতর্কতা

বেনাপোল সংবাদদাতাবেনাপোল সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৪:৪৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৬, ২০২২

ছবি- সংগৃহীত

প্রতিবেশী কয়েকটি দেশে ওমিক্রনের ধরন বিএফ.৭ উপধরণের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশেও সেই সংক্রমণের আশঙ্কায় বেনাপোল চেকপোস্টে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক চিঠিতে বন্দর এলাকায় সতর্কতা জারির বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন শার্শা উপজলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, চীন-ভারতসহ বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও ওমিক্রনের এই উপ-ধরন শনাক্ত হওয়ায় বাংলাদেশে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। এই অবস্থায় নতুন ধরনকে ‘অত্যন্ত সংক্রামক’ উল্লেখ করে দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে সতর্কতার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা।

আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে এই ভাইরাস যেন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য চীন, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রাজিল, জার্মানিসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আগত সন্দেহজনক যাত্রীদের ব্যাপারে হেলথ স্ক্রিনিং জোরদার করতে হবে। সব সন্দেহজনক যাত্রীকে র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করতে হবে।

রোববার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে মেইলে সতর্কতা জারির নির্দেশ পাওয়ার পর থেকে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে স্থাপিত ডিজিটাল থার্মাল স্ক্যানার ও ইনফ্রারেড হ্যান্ড হেল্ড থার্মোমিটার কার্যকর করা হয়েছে। যা করোনার সময় থেকে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে শার্শা স্বাস্থ্য বিভাগ।

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী জানান, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ নিয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে সতর্কতা করা হয়েছে। ভারত থেকে আসা পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ডিজিটাল থার্মাল স্ক্যানার ও ইনফ্রারেড হ্যান্ড হেল্ড থার্মোমিটার মেশিনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। চেকপোস্টে পাসপোর্টযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য একটি মেডিকেল টিম কাজ করে যাচ্ছে করোনা শুরুর আগ থেকেই। তিনি আরও বলেন, চেকপোস্টে স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো স্থায়ী অবকাঠামোগত সুবিধা না থাকায় তাদের কাজ করতে খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। জনবলের অভাবে বন্দরেও কাজ করতে পারছেন না। বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে।

Nagad

সারাদিন/২৬ ডিসেম্বর/এমবি