আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১, ২০২৩

কক্সবাজারে শুঁটকি উৎপাদনের ধুম, দৈনিক উৎপাদন ১৫৭ মেট্রিক টন

কক্সবাজার উপকূলে এখন শুঁটকি মাছ উৎপাদনের ধুম পড়েছে। প্রতিদিন প্রায় ১১ কোটি টাকা মূল্যের ১৫৭ মেট্রিক টন শুঁটকি উৎপাদন হচ্ছে। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে বেশির ভাগ শুঁটকি ট্রাকে বোঝাই করে সরবরাহ হচ্ছে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে। সেখান থেকে সরবরাহ হচ্ছে তিন পার্বত্য জেলা বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটিসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। পরিবেশ অনুকূলে থাকলে এ বছর জেলা থেকে ৪০০ কোটি টাকার শুঁটকি উৎপাদনের আশা করছেন উৎপাদনকারীরা। কক্সবাজার পৌরসভার ১ ও ২ নং ওয়ার্ডের ১৮টি গ্রাম নিয়ে গড়ে উঠেছে নাজিরারটেক শুঁটকি পল্লি। এখানে ছোট–বড় মিলিয়ে মহাল (শুঁটকি উৎপাদনের খামার) আছে প্রায় ৭০০টি। জেলার টেকনাফ, সেন্ট মার্টিন, মহেশখালী, সোনাদিয়া দ্বীপেও শুঁটকি উৎপাদিত হচ্ছে। সব মিলিয়ে জেলার ৯ শতাধিক মহালে দৈনিক উৎপাদিত হচ্ছে ১৫৭ মেট্রিক টনের বেশি শুঁটকি। সূত্র; প্রথম আলো

নির্বাচনী বছর শুরু
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে কিছুটা উত্তাপ শুরু হয় বিদায়ি বছর ২০২২-এর শুরুতে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে। বছরের শেষ দিকেও তা বহাল থাকে। সেই উত্তাপের পারদ নতুন বছর ২০২৩ সালে উচ্চমাত্রায় পৌঁছবে। এ বছরেই নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী তফসিল।নতুন বছরে নির্বাচন কমিশনের জন্য বড় দুটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সব রাজনৈতিক দলের আস্থা অর্জন ও পাঁচটি সিটি করপোরেশনের অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কতগুলো রাজনৈতিক দল অংশ নেবে, কারা প্রার্থী হবেন, কতটি আসনে ইভিএমে ভোট হবে, সংসদীয় আসন এলাকাগুলোর সীমানা পাল্টাবে কি না, নতুন কয়টি দল নিবন্ধন পাবে, ভোটার তালিকা—এসব চূড়ান্ত হবে নতুন এই বছরে। তা ছাড়া নির্বাচনকেন্দ্রিক নানা কর্মসূচি, পাল্টা কর্মসূচিতে সরগরম থাকবে সারা বছর। পরের বছরের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে পারে ভোটগ্রহণ। এসব বিবেচনায় রাজনৈতিক দলগুলো ২০২৩ সালকে নির্বাচনী বছর হিসেবেই দেখছে এবং সেভাবে দলকে প্রস্তুত রাখতে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

নতুন বছর নতুন প্রত্যাশা
ব্যাংকে আস্থার পরিবেশ জরুরি
—— ড. আতিউর রহমান

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, ব্যাংকে সবসময় আস্থার পরিবেশ বিরাজ করতে হবে। ব্যাংকে আমানতকারীদের অর্থ নিরাপদ এটা বোঝাতে হবে। বলতে হবে আমানতকারী যখনই টাকা চাইবেন তখনই ফেরত পাবেন। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। ড. আতিউর রহমান বলেন, দেশের সব ব্যাংক যেন নিয়মনীতি মোতাবেক মূলধন ভিত্তিটা মেনে চলে। বিভিন্ন ঝুঁকি চিহ্নিত করে এবং এ ব্যবস্থাপনার জন্য অর্থ জমা রাখতে হয় ব্যাংকগুলোর। আমরা আশা করব ব্যাংকগুলো সেসব ঝুঁঁকি ব্যবস্থাপনা করবে এবং মানুষকে আশ্বস্ত করবে। আমানতকারীদেরকে জানাবে আমাদের কাছে আপনাদের যে টাকা আছে সেটা নিরাপদ। আপনারা সময়, সুযোগমতো যখন চাইবেন সেটা আমরা ফেরত দিব। আমরা বিনিয়োগও করব। এ রকম একটা আস্থার পরিবেশ সব সময় বিরাজও করতে হবে ব্যাংকে। দেশের খ্যাতনামা এই অর্থনীতিবিদ বলেন, আর্থিক খাত নিয়মনীতি ঠিকমতো মেনে চলছে কি-না। সুশাসন নিশ্চিত করতে পেরেছে কি-না। তার ওপর নির্ভর করবে আগামী বছরের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা। কারণ আর্থিক খাত মানুষের বিশ্বাসের ওপর চলে। সেটা যেন কোনো অবস্থাতেই ভেঙে না পড়ে। সে দিকে আমাদের সবার খেয়াল রাখতে হবে। এমনকি গণমাধ্যমকেও খেয়াল রাখা জরুরি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকার অনেক ক্ষেত্রে শক্ত পদক্ষেপ নিয়েছে। আরও শক্ত অবস্থান নিতে হবে। আর্থিক খাতের অ্যাসেট কোয়ালিটির আর অবক্ষয় হতে দেওয়া যাবে না। উন্নতি করতে হবে। মানুষ যে বিশ্বাস নিয়ে বিনিয়োগ করছে, সেটা যেন অব্যাহত থাকে। সেই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

বৈদ্যুতিক তারে ফানুস, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

Nagad

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে শনিবার রাতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ফানুস ওড়ানো হয়। এ সময় কয়েকটি ফানুসের পোড়া অংশ মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক তারের ওপর এসে পড়ে। এতে বৈদ্যুতিক সংযোগে সমস্যার শঙ্কায় দুর্ঘটনা এড়াতে রোববার সকাল ৮টা থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেট্রোরেলের পরিচালক (অপারেশন) নাছির উদ্দিন আহমেদ। তিনি ৯ টা ৫৫ মিনিটে সমকালকে বলেন, আর ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে মেট্রোরেল চালু করা হবে। সকালে বৈদ্যুতিক তারের ওপর পোড়া ফানুস ঝুলে থাকার বিষয়টি নজরে এসেছে। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে পুরো ১২ কিলোমিটার বৈদ্যুতিক তার পরিষ্কার করা হচ্ছে। এদিকে নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে থার্টি ফার্স্ট নাইট সামনে রেখে শনিবার রাত ৯টা থেকেই রাজধানীর প্রায় সব এলাকায় ওড়ানো হয়েছে ফানুস। যদিও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে থার্টি ফার্স্ট নাইটে ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি ফোটানো নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সূত্র: সমকাল

নীতিছাড়ের কারণে পরিচালন মুনাফা বেড়েছে ব্যাংকের

বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে ২০২২ পার করেছে দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্য। অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করে তুলেছিল মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, ডলার সংকট ও টাকার অবমূল্যায়ন। এর প্রভাব দেখা গেছে দেশের আমদানি-রফতানিতেও। সব মিলিয়ে দেশের ব্যাংক খাতের ব্যবসার জন্য অনেকটাই প্রতিকূলে ছিল ২০২২ সাল। তার পরেও বছর শেষে দেখা যাচ্ছে ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফা বেড়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিছাড় বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে বলে জানিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। তাদের ভাষ্যমতে, সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের অনাদায়ী সুদকে আয় হিসেবে দেখানোর সুযোগ পাওয়ায় ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফা বেড়েছে। আয় থেকে ব্যয় বাদ দিয়ে যে মুনাফা থাকে, সেটিকেই বলা হয় পরিচালন মুনাফা। পরিচালন মুনাফা কোনো ব্যাংকের প্রকৃত মুনাফা নয়। এ মুনাফা থেকে খেলাপি ঋণ ও অন্যান্য সম্পদের বিপরীতে প্রভিশন (নিরাপত্তা সঞ্চিতি) সংরক্ষণ এবং সরকারকে কর পরিশোধ করতে হয়। প্রভিশন ও কর-পরবর্তী এ মুনাফাকেই বলা হয় ব্যাংকের প্রকৃত বা নিট মুনাফা। ২০২১ সালে দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে বড় ধরনের উল্লম্ফন হয়েছিল। এর সুবাদে সে সময় ব্যাংকগুলো ভালো ব্যবসা করতে পেয়েছে। পরিচালন মুনাফাও ভালো হয়েছে। কিন্তু ২০২২ সালে বৈদেশিক বাণিজ্য কমে যাওয়ায় ব্যাংকগুলো আগের বছরের মতো ব্যবসা করতে পারেনি। আবার ঋণগ্রহীতাদের বাংলাদেশ ব্যাংক নীতিছাড় দেয়ায় ঋণের বিপরীতেও ব্যাংকগুলোর আদায় কমেছে। এতে ব্যাংকের মুনাফা কমেছে। নেতিবাচক কিছু খবরের কারণেও এ সময় খাতটির ব্যবসা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে যেসব ব্যাংকের কাছে ডলারের জোগান ভালো ছিল তারা এ সময়ে ভালো ব্যবসা ও মুনাফা করেছে। সূত্র: বণিক বার্তা।

ডিএনসির প্রকল্প বাদ, ছুটতে হবে ঢাকাতেই

ডোপ টেস্টের জন্য আট বিভাগীয় শহর ও ১২ জেলায় ল্যাবরেটরি স্থাপন করার পরিকল্পনা ছিল। সে অনুযায়ী জনবল, যন্ত্রপাতি, বিদেশ সফর, মাসিক ভাতা সব মিলিয়ে তিন বছরে খরচ ধরা হয়েছিল প্রায় ১০০ কোটি টাকা। কিন্তু ১২ ডিসেম্বর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় বাতিল হয়ে যায় ‘মাদকাসক্ত শনাক্তকরণ পরীক্ষা (ডোপ টেস্ট) প্রবর্তন’ নামের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) প্রকল্পটি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিএনসির এই প্রকল্পের মাধ্যমে ডোপ টেস্ট কার্যক্রম সারা দেশে প্রচলন করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু প্রকল্পটি বাদ পড়ায় এই কার্যক্রম থমকে গেল। শুধু তা-ই নয়, কোনো ধরনের আগাম প্রস্তুতি ছাড়া ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তিও আপাতত কমছে না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতায় যেসব হাসপাতালে ডোপ টেস্ট চালু আছে, সেগুলোতেই ছুটতে হবে সবাইকে। প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভার কার্যবিবরণীর কপি এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। সেখানে প্রকল্পটি কেন বাদ হলো, তার পরিবর্তে কীভাবে পরবর্তী পরিকল্পনা সাজানো হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের সব পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে এবং ঢাকা মহানগরীর ছয়টি প্রতিষ্ঠানে (ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেন্স সেন্টার, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল) ডোপ টেস্ট করা যায়। তবে জেলা হাসপাতালগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মূলত অ্যালকোহল পরীক্ষার কিটের স্বল্পতার কারণে সরকারি অধিকাংশ হাসপাতাল এ পরীক্ষা করতে পারছে না। ফলে অধিকাংশকেই ছুটতে হচ্ছে ঢাকার হাসপাতালগুলোয়। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

২০২৫ নাগাদ ৫ বিলিয়ন ডলারে চোখ, বিশ্বব্যাপী পদচিহ্ন ছড়িয়ে দিতে চায় স্থানীয় আইটি

তথ্যপ্রযুক্তি-ভিত্তিক পরিষেবা (আইইটিএস) এবং শিল্পকাজে অটোমেশনের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সুবাদে বৈশ্বিক ফুটপ্রিন্ট বা ব্যবসায়িক কার্যক্রম বেড়েছে বাংলাদেশের আইটি ফার্মগুলোর। ফলে সফটওয়্যার ও অন্যান্য পরিষেবা রপ্তানির মাধ্যমে বছরে তারা ১৪০ কোটি ডলার আয় করছে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অভ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর তথ্যমতে, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনয়নভুক্ত দেশসহ– বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে সফটওয়্যার এবং বিভিন্ন আইটি পরিষেবা দিয়ে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে অবদান রাখছে সাড়ে তিনশ’র বেশি স্থানীয় প্রতিষ্ঠান। সংশ্লিষ্ট খাতের কর্মকর্তাদের মতে, বিশ্ববাজারে উপস্থিতি ধরে রাখতে এসব প্রতিষ্ঠানের অনেকেরই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে লিয়াজোঁ অফিস স্থাপন করেছে। বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেছেন, “২০২৫ সাল নাগাদ ৫ বিলিয়ন এবং ২০৩১ সাল নাগাদ ২০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য রয়েছে আমাদের।” রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আইসিটি রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল ২৩.৬৩ শতাংশ, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২২.৮৬ শতাংশ, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৯.৮৮ শতাংশ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ৯৪.৯১ শতাংশ। এপর্যন্ত বাংলাদেশে নিবন্ধিত সফটওয়্যার ও আইইটিএস কোম্পানির সংখ্যা সাড়ে চার হাজারের বেশি। এসব প্রতিষ্ঠানে তিন লাখের বেশি আইসিটি পেশাজীবীর কর্মসংস্থান হয়েছে। এরমধ্যে অর্ধেকের কিছু বেশি বা ২,৩০০ কোম্পানি বেসিসের সদস্য। বেসিসের সূত্রমতে, অব্যাহত রপ্তানি বৃদ্ধি এবং এবং স্থানীয় বাজারে অটোমেশন (প্রযুক্তি-ভিত্তিক স্বয়ংক্রিয়করণ) বাড়ায় গত পাঁচ বছরে এই শিল্পের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪০ শতাংশের বেশি, এবং আগামী বছরগুলোতেও এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকার আশা করা হচ্ছে। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

রিজার্ভ-মূল্যস্ফীতিতে বড় চ্যালেঞ্জ
সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করতে হবে, চাপ বাড়বে ডলারে, খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা, নতুন কর্মসংস্থানে আসবে না প্রত্যাশিত গতি * কৃষি উৎপাদন ও রেমিট্যান্স বাড়ার সম্ভাবনা

বৈশ্বিক মন্দা ও দেশীয় পরিস্থিতিতে নতুন বছরে দেশের অর্থনীতিকে সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এর মধ্যে বড় চ্যালেঞ্জ আসবে বৈদেশিক খাতে।ডলার সংকট চলমান থাকবে, এর বিপরীতে টাকার আরও অবমূল্যায়ন হবে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ আরও বাড়বে। এর পাশাপাশি খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে গিয়ে মূল্যস্ফীতিতে চাপ বাড়তে পারে। আমদানি কমায় শিল্প খাতে সংকট আরও প্রকট হবে। মেয়াদি ঋণ বিতরণ কমায় নতুন শিল্প স্থাপনের গতি হবে বাধাগ্রস্ত। এতে বেকারদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের গতি কমে যাবে। নতুন বছরে বিদ্যুতের দাম বাড়বে। এতে প্রায় সব পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে গিয়ে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। নির্বাচনি বছর হওয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা থাকারও শঙ্কা আছে। সূত্র: যুগান্তর

নতুন বছরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে কী হতে পারে

অনেকটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, আগামী বছর রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় থাকবে জাতীয় নির্বাচন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রম থাকবে সেটিকে কেন্দ্র করেই। বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের বাকি এক বছরের কিছু বেশি সময়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এখন নিজেদের অবস্থান পুনরায় পাকাপোক্ত করতে এবং বিএনপি পনেরো বছরের খরা কাটাতে মরিয়া। েগত বছর দেশব্যাপী গণ-সমাবেশ, গণ-মিছিলের মতো নানা কর্মসূচির মাধ্যমে নিজেদের দাবি দায়ের আন্দোলন চালিয়েছেে বিএনপি। আওয়ামী লীগ চেষ্টা করছে ইমেজ সংকট কাটাতে। দুই দলের পাল্টাপাল্টি অবস্থান উত্তাপ ছড়িয়ে যাচ্ছে রাজনীতির মাঠে। নতুন বছরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে কী হতে পারে, সেটাই এখন প্রশ্ন। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

‘নতুন বছর মানেই নতুন আশা’

নববর্ষ মানুষের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করে তা উল্লেখ করে সবার জীবনে কল্যাণ কামনা করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিদায়ী বছরের শেষ দিন শনিবার পৃথক বাণীতে তারা এ কল্যাণ কামনা করেন। খ্রিস্টীয় নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, “নববর্ষ সকলের মাঝে জাগায় প্রাণের নতুন স্পন্দন, নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা।” করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত দুই বছর বর্ষবরণ উৎসবে যে ভাটা পড়েছিল তা মনে করিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, “এবার তার সাথে যুক্ত হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেইন সংকট। ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিয়েছে এবং মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।” সূত্র: বিডি নিউজ