লবণখনির শহরে এখনও লড়াই চলছে: ইউক্রেন
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের লবণ খনির শহর সোলেদারের দখলের দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আগে ওই শহর নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করে রাশিয়ার ভাড়াটে মিলিশিয়া গ্রুপ ওয়াগনার বাহিনী। তবে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলছেন, সোলেদারে এখনও লড়াই চলছে।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোলেডার দখলকে রাশিয়া আক্রমণের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এই শহর দখলের ফলে রুশ সেনারা কাছের বড় শহর বাখমুটে ইউক্রেনীয়দের রসদ সরবরাহ রুট বিচ্ছিন্ন করতে পারবে। তাদের দাবি, এক মাস দীর্ঘ যুদ্ধের পর তারা শহরটি দখল করেছে।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলছেন, সোলেডারে লড়াই এখনও চলছে। শহর দখলের দাবিকে রাশিয়ার প্রোপাগান্ডা হিসেবে অভিযোগ করছেন তারা। ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে সোলেডার শহর ঘিরে লড়াইটি রক্তাক্ত সংঘাতের একটি।
আঞ্চলিক গভর্নর পাবলো কিরিলেঙ্কো বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বলেছিলেন, ১৫ শিশুসহ ৫৫৯ বেসামরিক শহরে রয়ে গেছেন। তাদের সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি।
রুশ সেনাবাহিনীর জন্য সোলেডার শহরের গুরুত্ব নিয়ে সামরিক বিশ্লেষকদের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে।
এদিকে, গত মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, রাশিয়ান এবং ভাড়াটে ওয়াগনার গ্রুপের বাহিনী সম্ভবত গত চার দিনের অগ্রগতির পরে ডনবাস শিল্প অঞ্চলের বেশিরভাগ শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সোলেদার দখল করা রাশিয়ান বাহিনীর পক্ষে সুবিধাজনক হবে কারণ তারা দক্ষিণ-পশ্চিমে কয়েক কিলোমিটার দূরে বাখমুত শহরের নিয়ন্ত্রণের জন্য লড়াই করছে। যেখানে প্রায় ১১ মাস আগে রাশিয়া আক্রমণ করার পর থেকে উভয় পক্ষের সৈন্যরা সবচেয়ে তীব্র লড়াই ও ক্ষতি হয়েছে।
লবণ খনির শহর সোলেদার বাখমুত থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে। এটির দখল নিলে রাশিয়াকে সামরিক, বাণিজ্যিকভাবে অনেক শক্তিশালী করবে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরআইএ জানিয়েছে, ওয়াগনার গ্রুপ সোলেদারের লবণখনির দখল নিয়েছে। প্রিগোঝিন তার ভাড়াটে যোদ্ধাদের সাথে লবণের খনির সামনে দাঁড়িয়ে তোলা ছবি প্রকাশ করেছেন।
সারাদিন/১৪ জানুয়ারি/এমবি