‘নির্ধারিত রানওয়ে পরিবর্তনের অনুমতি চেয়েছিলেন পাইলট’

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:৫৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০২৩

ছবি- সংগৃহীত

নেপালের পোখারায় পাহাড়ি গিরিখাতে বিধ্বস্ত হওয়া ইয়েতি এয়ারলাইন্সের পাইলট বিমানটি বিমানবন্দরের কাছাকাছি পৌঁছালেও ‘অপ্রীতিকর কিছু’ রিপোর্ট করেননি। তবে তিনি শেষ মুহূর্তে এসে বিমানটির জন্য নির্ধারিত রানওয়ে পরিবর্তনের অনুরোধ জানিয়েছিলেন বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল কক্ষের কাছে।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) পোখারা বিমানবন্দরের মুখপাত্র অনুপ জোশি এইসব তথ্য জানিয়েছেন।

অনুপ জোশি বলেন, “পোখারার পর্বত পরিষ্কার এবং দৃষ্টিসীমা ভালো ছিল। সেখানে হালকা বাতাস ছিল এবং আবহাওয়া নিয়ে কোনও ধরনের সমস্যা ছিল না।”

পোখারা বিমানবন্দরের মুখপাত্র বলেন, “পাইলট বিমানটির জন্য নির্ধারিত রানওয়ে ৩ পরিবর্তন করে রানওয়ে ১ এ অবতরণের অনুমতি চেয়েছিলেন। যা তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে মঞ্জুর করা হয়েছিল।” তিনি বলেন, “আমরা উভয় রানওয়ে পরিচালনা করতে পারতাম। বিমানটির অবতরণের জন্য দুইটি রানওয়েই পরিষ্কার করা হয়েছিল।”

অনুপ জোশি বলেন, এটি ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’ যে বিমানবন্দরটি চালু করার ১৫ দিনের মাথায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। নেপালে গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী বিমান দুর্ঘটনা এটি।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে পর্যটননগরী পোখারায় যাওয়ার পথে সেতী নদীর তীর ঘেঁষা পাহাড়ি এলাকায় ইয়েতি এয়ারলাইন্সের দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট এটিআর-৭২ ফ্লাইট বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত বিমানে ৬৮ জন আরোহী এবং ৪ জন কেবিন ক্রু ছিলেন। এখস পর্যন্ত ৬৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বিধ্বস্ত এই বিমানের কোনও আরোহীই বেঁচে নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে। পোখারাগামী যাত্রীবাহী ওই বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ইতোমধ্যে ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার করা হয়েছে।

Nagad

মোবাইল ফোনে ধারণ করা স্থানীয়দের একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বিমানটি বিমানবন্দরের কাছে আসার সাথে সাথে দ্রুতগতিতে উল্টে যায়। এরপর সেটি বিমানবন্দর থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে সেতী নদীর তীরে পাহাড়ি গিরিখাতে আছড়ে পড়ে।

সারাদিন/১৬ জানুয়ারি/এমবি