দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে এসেছি: শেখ হাসিনা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৩:৪২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে এসেছি। আমার দেশের অর্থ অন্যকে দিয়ে সেখান থেকে দুর্নীতি করব সেই মানসিকতা আমাদের নেই। সেই শিক্ষা আমার মা-বাবা আমাকে দেয়নি। দেশের মানুষের ভাগ্য গড়াই আমার লক্ষ্য।’

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর কালশী বালুর মাঠে মিরপুর-কালশী ফ্লাইওভারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকারে বিশ্বাস করে। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকাতেই দেশের উন্নতি হয়েছে। ২০৪১ সালে হবে উন্নত বাংলাদেশ।

সরকারপ্রধান বলেন, পদ্মা সেতু নিমার্ণ নিয়ে অনেক মিথ্যা অপবাদ দিতে চেয়েছিল, এখানে নাকি দুর্নীতি হয়েছে। আমি বলেছিলাম, প্রমাণ করতে হবে দুর্নীতি হয়েছে। পদ্মা সেতু নিমার্ণ বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল। দুর্নীতির মিথ্যা অপবাদ দিতে চেয়েছিল। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করার প্রতিজ্ঞা করি। আমি ধন্যবাদ জানাই আমার দেশের মানুষকে। তারা আমার পক্ষে ছিল। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি, আমরা ইচ্ছা করলে পারি।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা জনগণের সুবিধার দিকে লক্ষ্য করেই পরিকল্পনা করি। ঢাকা সিটি করপোরেশনকে বিভক্ত করে দেই। বিভক্তির পর দুই সিটিতে সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা খরচ করে নানা উন্নয়ন প্রকল্প করা হয়েছে। দক্ষিণে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য ফ্ল্যাট করে দিয়েছি। উত্তরেও করে দেব। উর্দুভাষীদের জন্যও হবে। একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না।’

বিশ্বব্যাংক প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যমুনা নদীর ওপর সেতু করতে যাই। তখন রেলসেতুও সংযুক্ত করতে চাই। বাধা দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। তারা বলেছিল, সেটা লাভজনক হবে না। এখন আবার বিশ্বব্যাংকই ফিরে এসেছে, যমুনা নদীতে রেলসেতু করতে। আমি অনুমতি দিয়েছি। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, দেশটা আমাদের। কোথায় কী হবে, হবে না। কী লাগবে, লাগবে না। এটা আমরাই ভালো বুঝি। এই ধারণাটা আমাদের থাকতে হবে।’

Nagad

এ সময় মিরপুরের কালশী বালুর মাঠে বিনোদন পার্ক করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কালশী বালুর মাঠে কোনো ভবন নির্মাণ হবে না। এখানে বিনোদন পার্ক গড়ে তোলা হবে।

এ ছাড়া ঢাকায় বসবাসরত উর্দুভাষী অবাঙালিদের ফ্ল্যাট করে দেওয়ারও ঘোষণা দেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, উর্দুভাষীদের জন্য উন্নতমানের ফ্ল্যাট নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা যাতে সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কথা স্মরণ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘সে সময় জার্মানিতে ছিলাম বলে বেঁচে গিয়েছিলাম। সংবিধান লংঘন করে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা আমাদের দেশে আসতে দেয়নি। জনগণের ব্যাপক সমর্থন নিয়ে আমি দেশে ফিরে আসি।’

তিনি বলেন, ‘খুনিদের পুরস্কার করা হয়। যুদ্ধাপরাধীরা ক্ষমতায় ছিল, তা সত্বেও আমি একটি লক্ষ্য নিয়ে এই দেশে ফিরে আসি। বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে গড়ে তুলতে হবে। বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে হবে। বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে। সেটাই ছিল আমার লক্ষ্য।’.

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।