আজকের দিনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩

পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে রাশিয়া যাবেন সি চিন পিং

রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বিশ্বরাজনীতিতে চলমান উত্তেজনার মধ্যে রাশিয়া সফরের পরিকল্পনা করছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। এ সফরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি। চীনা প্রেসিডেন্টের সম্ভাব্য রাশিয়া সফরের পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত সূত্রের বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, কয়েক মাসের মধ্যে রাশিয়ায় যেতে পারেন সি চিন পিং। ইউক্রেনে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় বহুপক্ষীয় আলোচনার অংশ হিসেবে এ সময় তিনি পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার না করার বিষয়েও পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন সি চিন পিং।যদিও সি চিন পিংয়ের রাশিয়া সফরের বিষয়টি এখনো প্রাথমিক আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে; সফরের সম্ভাব্য সময়ও নির্ধারণ করা হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, আগামী এপ্রিলে কিংবা মে মাসের শুরুর দিকে সি চিন পিং রাশিয়ায় যেতে পারেন। ওই সময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির বিরুদ্ধে জয়ের বার্ষিকী উদ্‌যাপন করবে মস্কো। সূত্র:প্রথম আলো

আধিপত্যবাদ বিলোপের আহবান বেইজিংয়ের

বিশ্ব থেকে আধিপত্যবাদী আচরণ বিলোপ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার ডাক দিয়েছে চীন। বিশ্বজুড়ে চলমান সংঘাতের মধ্যে ‘বৈশ্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনার (জিএসআই) ধারণাপত্র’ শীর্ষক কৌশলপত্রে এমন আহবান জানিয়েছে তারা। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানী বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং আনুষ্ঠানিকভাবে এ ধারণাপত্র প্রকাশের কথা জানান। জিএসই ধারণাপত্র সম্পর্কে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বিশ্বব্যাপী সংঘাতের প্রধান কারণগুলো প্রশমন করার একটি পরামর্শপত্র হিসেবে চীন এটি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছে।আন্তর্জাতিক সংঘাতের মূল কারণগুলোর সমাধান করে বৈশ্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নয়ন জিএসআইয়ের উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং।জিএসই ধারণাপত্র প্রকাশকালে কিন বলেন, এটি জাতিসংঘকেন্দ্রিক নিরাপত্তা শাসন কাঠামোকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে। যুদ্ধ প্রতিরোধ এবং যুদ্ধ-পরবর্তী পুনর্গঠনে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে। বৈশ্বিক নিরাপত্তা ইস্যুতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করার জন্য আধিপত্য ও সন্ত্রাস প্রত্যাখ্যান করতে এবং একটি শান্তিপূর্ণ অবস্থানের আহবান জানায়। সহাবস্থানের পাশাপাশি প্রধান দেশগুলোর মধ্যে স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক প্রদান করে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

ইউক্রেন যুদ্ধে ৮ সহস্রাধিক বেসামরিক মানুষের মৃত্যু: জাতিসংঘ

ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর এক বছর পূর্তি হচ্ছে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, অভিযান শুরুর পর থেকে ৮ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। খবর রয়টার্স।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু করেছিল গত ২৪ ফেব্রুয়ারি। জাতিসংঘ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ বিস্ফোরক অস্ত্রের হামলায় মারা গেছে।ইউক্রেনে জাতিসংঘ মানবাধিকার মিশনে পর্যবেক্ষকরা কাজ করছেন। তাদের মতে, নিহতদের দাপ্তরিক পরিসংখ্যানের চেয়ে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা আরো বেশি হবে। সূত্র: বণিক বার্তা।

Nagad

ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে পশ্চিমাদের আবারো পারমাণবিক হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন

পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের একটি মাইলফলক চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একইসঙ্গে, রাশিয়া নতুন কৌশলগত অস্ত্রসজ্জা মোতায়েন করেছে বলেও জানান। পশ্চিমা বিশ্বকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেছেন, রাশিয়া তার পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষাও আবার শুরু করতে পারে। খবর রয়টার্সের-আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের এক বছর পূর্ণ হবে, তার আগেই এমন হুঁশিয়ারি দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। কিউবার মিসাইল সংকটের পর বর্তমানেই রাশিয়ার সাথে সবচেয়ে বিপজ্জনক মুখোমুখি অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা দুনিয়া। ইউক্রেন- রাশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে ছায়াযুদ্ধ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি ইউক্রেন সফর করেও গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি- বাংলাদেশ সময়) পুতিন বলেন, রাশিয়া এই যুদ্ধে তার সব লক্ষ্য অর্জন করবে।পশ্চিমারা রাশিয়াকে ধবংস করার চেষ্টায় লিপ্ত এ অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘পশ্চিমের অভিজাতরা তাদের উদ্দেশ্য আর গোপন করছে না। কিন্তু, তাদের এটা অনুধাবন করতে হবে যে, যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়াকে হারানো অসম্ভব’। পুতিনের ভাষণে সময় উপস্থিত ছিলেন তার দেশের রাজনৈতিক ও সামরিক হর্তাকর্তারা।যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন যুদ্ধকে বিশ্বযুদ্ধে পরিণত করতে চাইছে এমন সতর্কবার্তা দিয়ে তিনি বলেন, রাশিয়া নতুন ‘স্টার্ট চুক্তি’তে অংশগ্রহণ বন্ধ করবে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

আবার শুরু ঠাণ্ডা যুদ্ধ
পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি স্থগিত করল রাশিয়া

যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যকার পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ‘নিউ স্টার্ট’ স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। গতকাল বার্ষিক ‘স্টেট অব দ্য নেশন’ ভাষণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট এ ঘোষণা দিয়েছেন।

পুতিন বলেছেন, ‘আমি এ ঘোষণা দিতে বাধ্য হলাম যে স্ট্র্যাটেজিক অফেনসিভ আর্মস ট্রিটিতে অংশগ্রহণ স্থগিত করছে রাশিয়া।’ রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, মার্কিন প্রশাসন যদি পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালায়, তাহলে রাশিয়ারও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হওয়া দরকার। পুতিন এমন সময় এই ঘোষণা দিলেন যখন ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে ব্যস্ত রাশিয়া। এক বছর হতে চলল সেই যুদ্ধ। দিন দিন তা জটিল আকার ধারণ করেছে। যা পরমাণু যুদ্ধকেও উসকে দিচ্ছে। আর ঘটনাচক্রে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইউক্রেন সফরের পর দিনই। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে শীতলযুদ্ধ চলাকালে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের সর্বশেষ পিলার হিসেবে দেখা হয় এই চুক্তিকে। একই সঙ্গে এর অধীনে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র সীমিত রাখা হয়। ‘নিউ স্টার্ট’ চুক্তির বিষয়ে পুতিনের এই নেতিবাচক অবস্থান পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনা উসকে দিল বলে মনে করছেন সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

খামখেয়ালের আগুনে ঝরছে প্রাণ

প্রতিবছরই অগ্নিকাণ্ডের সংখ্যা বাড়ছে। বাসাবাড়ি থেকে কলকারখানা, আগুনের লেলিহান শিখায় দগ্ধ হয়ে ঝরছে বহু তাজা প্রাণ। বছর বছর আগুনে পুড়ে ছাই হচ্ছে শত শত কোটি টাকার সম্পদ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গড়ে উঠছে আবাসিক বা বাণিজ্যিক ভবন। বেশির ভাগ ভবনেই নেই অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। কোথাও কোথাও উপকরণ থাকলেও প্রশিক্ষিত জনবল নেই। ফলে আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের না আসা পর্যন্ত অসহায় অপেক্ষা করতে হয় সবাইকে। অগ্নি-দুর্ঘটনায় কবলিত না হওয়া পর্যন্ত টনক নড়ে না কারওই। গত রোববার রাতে রাজধানীর অভিজাত গুলশান এলাকার বিলাসবহুল একটি আবাসিক ভবনে আগুন লাগার পর অগ্নি-দুর্ঘটনার বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে। এমনকি গুলশান-বনানীর মতো অভিজাত এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের কোনো স্টেশন না থাকার বিষয়টিও সামনে এসেছে। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের তথ্য বলছে, প্রতিবছর সারা দেশে গড়ে ২০ হাজারের মতো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। গত আট বছরে ১ লাখ ৬২ হাজার ৯৪৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসব অগ্নি-দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৯৩৭ জনের। আহত হয়েছেন ৩ হাজার ২২০ জন। এতে ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

ঘরেই তোপে দুই নেতা

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের এক বছর পূর্তির আর মাত্র এক দিন বাকি। এর ঠিক আগমুহূর্তে যুদ্ধাক্রান্ত ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে আকস্মিক সফর করলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ সফরে খোদ বাইডেন নিজ দেশেই বিরোধীদের ব্যাপক সমালোচনায় পড়েছেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের নির্বিঘ্নে কিয়েভ ঘুরে যাওয়ায় উষ্মা দেখা দিয়েছে রুশ জাতীয়তাবাদীদের মধ্যে। এমনকি বাইডেনকে বিনা বাধায় ইউক্রেন সফর করতে দেওয়ায় তির্যক মন্তব্য হচ্ছে ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশাসনকে নিয়েও। যুক্তরাষ্ট্রে বাইডেনের সফরের সমালোচনা-বিক্ষোভ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে চীনের সংবাদ সংস্থা জিনহুয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট। সংবাদমাধ্যম দুটির প্রতিবেদনে জানা যায়, বাইডেন যখন ইউক্রেন সফরে যাওয়ার ব্যাপারে মনস্থির করেন তার আগেই যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয় বিক্ষোভ। এটা যে-সে বিক্ষোভ নয়, ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ধন জোগানোর বিরুদ্ধে সম্প্রতি হওয়া সবচেয়ে কড়া বিক্ষোভ।ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, গেল রবিবার ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সহায়তা বৃদ্ধির প্রতিবাদে ওয়াশিংটনে বিক্ষোভ করেছে কয়েকশ মানুষ। বিক্ষোভকারীদের অনেকেই তীব্র বাম এবং উদারপন্থি চিন্তাধারার। বিক্ষোভকারীরা ‘যুদ্ধের কারখানার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল’ নামে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। যেখানে বক্তাদের অভিযোগ, ‘বাইডেন এবং কংগ্রেস যুক্তরাষ্ট্রকে পারমাণবিক যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলছে।’ সূত্র: দেশ রুপান্তর

নেটোর প্রশংসায় বাইডেন আর পুতিন দায়ী করলেন পশ্চিমাদেরই

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় পশ্চিমা গণতন্ত্রের প্রশংসা করলেও ভ্লাদিমির পুতিন আগের চেয়ে কঠোর ভাষায় ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য পশ্চিমাদেরই দায়ী করলেন।শুক্রবারই বর্ষপূর্তি হবে ইউক্রেনের রাশিয়ার আগ্রাসনের। তার আগে গুরুত্বপূর্ণ অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে চলতি সপ্তাহে।মিস্টার পুতিন প্রথমে কথা বলেছেন। তার দাবি পশ্চিমারা ইউক্রেনকে একটি নতুন নাৎসি রাজত্বে পরিণত করেছিলো যেটি ছিলো ‘রাশিয়া-বিরোধী’।এর কয়েক ঘণ্টা পর মি. বাইডেন তার ভাষণে বলেন যে, স্বৈরশাসকরা একটি শব্দই বুঝতে পারে : “না, না না!”
তিনি বলেন, “পুতিন ভেবেছিলেন বিশ্ব গুটিয়ে যাবে, তিনি ভুল ছিলেন”।তিনি জোর দিয়েই বলেন যে নেটো এখন আগের চেয়েও বেশী ঐক্যবদ্ধ। কিয়েভ শক্তভাবে দাঁড়িয়েছে এবং মুক্ত, আর ইউক্রেনের জন্য পশ্চিমাদের সহায়তা ব্যর্থ হবে না। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দুর্ভাগ্যজনক: যুক্তরাষ্ট্র

পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত ‘নিউ স্টার্ট’ চুক্তি স্থগিতের যে সিদ্ধান্ত রাশিয়া ঘোষণা করেছে তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।তবে তিনি বলেন, চুক্তির বিষয়টি নিয়ে মস্কোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে ইচ্ছুক ওয়াশিংটন। রাশিয়া আসলেই কী করে তা যুক্তরাষ্ট্র সতর্কতার সঙ্গে লক্ষ্য করবে বলেও জানান তিনি। মঙ্গলবার গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে সাংবাদিকদের ব্লিনকেন বলেন, “ বিশ্বে যা-ই চলুক না কেন এবং আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক যে পর্যায়েই থাকুক না কেন, কৌশলগত অস্ত্রের সংখ্যা সীমিত করা নিয়ে আমরা রাশিয়ার সঙ্গে যে কোনও সময় আলোচনায় বসতে প্রস্তুত আছি।“আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের নিরাপত্তার জন্য যে অঙ্গীকার করেছি, তা যে কোনো পরিস্থিতিতে নিশ্চিত করব”, বলেন তিনি।রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এর আগে মঙ্গলবার পার্লামেন্টে ‘স্টেট অব দ্য নেশন’ ভাষণে ‘নিউ স্টার্ট’ চুক্তিতে তার দেশের অংশগ্রহণ স্থগিত করা হচ্ছে বলে ঘোষণা দেন। সূত্র: বিডি নিউজ

বাইডেনের ইউক্রেন সফর অসাধারণ কিছু না: পুতিন

বাইডেনের ইউক্রেন সফরের একদিন পরেই জাতির উদ্দেশ্য দেয়া এক ভাষণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বাইডেনের ইউক্রেন সফর সম্পর্কে বলেন, বাইডেনের ইউক্রেন সফর এমন অসাধারণ কিছুই ছিল না।শুক্রবার ইউক্রেনে রাশিয়ান আক্রমণের প্রথম বার্ষিকীর আগেই আজ মঙ্গলবার দুপুরে দেশটির ফেডারেল অ্যাসেম্বলিতে দেয়া এক ভাষণে একথা বলেন তিনি। পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ‘সীমাহীন শক্তি’ চায়। তবে পশ্চিমাদের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা রাশিয়াকে পঙ্গু করতে পারেনি।ভ্লাদিমির পুতিন ‘স্টেট অফ দ্য নেশন অ্যাড্রেসে’ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধের কথা তুলে ধরে পশ্চিমাদেরকে যুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার জন্য দায়ী করেন।পুতিন এসময় রাশিয়ার সৈন্যদের প্রশংসা করেন এবং তাদের ও তাদের পরিবারকে আরও সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।রাশিয়া যুদ্ধে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে তবে বসন্তে নতুন করে আক্রমণ শুরু কথাও জানান তিনি। সূত্র: চ্যানেল আই অনলাইন