সার্টিফিকেট আনতে যাওয়াই যেন কাল হলো আফসানার
মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ের রেলিং ভেঙে একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। এ সময় কমপক্ষে আরও ৩০ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (১৯ মার্চ) সকালে শিবচর উপজেলার কুতুবপুরে যাত্রাবাড়ী-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে ইমাদ পরিবহনের এই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। এতে নিহতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের মেধাবী ছাত্রী আফসানা মিমি (২৬)। তার বাসা গোপালগঞ্জ শহরের হীরা পারি রোডে।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএস সার্টিফিকেট আনতে যাচ্ছিলেন আফসানা মিমি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্টিকালচার বিভাগ থেকে আফসানা এমএস ডিগ্রি লাভ করেন। আফসানার এই সার্টিফিকেট আনাই যেন কাল হলো।
রোববার (১৯ মার্চ) সকালে মা কানিজ ফাতেমা ও ছোট বোন রুকাইয়া ইসলাম রূপা গোপালগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু কলেজের সামনে থেকে আফসানাকে ইমাদ পরিবহনের বাসে উঠিয়ে দেন। তার ঢাকা হয়ে ময়মনসিংহ যাওয়ার কথা ছিল।
আফসানা মিমি গোপালগঞ্জ শহরের হীরাবাড়ী রোড এলাকার বাসিন্দা। এখন আফসানার বাড়িতে তার মা কানিজ ফাতেমার আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে।
আফসানার বাবা আবু হেনা মোস্তফা কামাল সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। ছোটবেলায়ই আফসানার বাবা মারা যান। অনেক কষ্টে আফসানা ও তার বোন রুকাইয়ার লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিলেন মা কানিজ ফাতেমা।
এই ঘটনায় গোপালগঞ্জের আফসানা মিনি, মাসুদসহ ছয়জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তারা হলেন- গোপালগঞ্জ শহরের সামচুল হক রোডের মাসুদ আলমের মেয়ে সুরভী আলম সুইটি (২২), গোপালগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনার উপপরিচালক অনাদী রঞ্জন মজুমদার (৫৩), বাসের সুপারভাইজার মানিকদাহ গ্রামের মিজানুর রহমান বিশ্বাসের ছেলে মিনহাজুর রহমান বিশ্বাস, দুর্ঘটনাকবলিত বাসের ড্রাইভার জাহিদ, সদর উপজেলার বনগ্রামের সামসুদ্দিন শেখের ছেলে মোস্তাক শেখ (৪০)। বাকি একজনের নাম জানা যায়নি।
সারাদিন/১৯ মার্চ/এমবি