গণতন্ত্রের ত্রুটি দেশে দেশে আছে, যুক্তরাষ্ট্রেও আছে: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৪:০২ অপরাহ্ণ, মার্চ ২১, ২০২৩

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সংগৃহীত ছবি

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণতন্ত্রের ত্রুটি দেশে দেশে আছে, যারা অভিযোগ করেছেন তাদের দেশেও আছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী ডোনাল্ট ট্রাম্প ভোটচুরির অভিযোগ তুলে আজ পর্যন্ত পরাজয় স্বীকার করেননি। অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ার আগে নিজেদের কথা বলুন।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাজধানীর বংশালে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্কুল মাঠে যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ৩২, ৩৩, ৩৪, ৩৫ ও ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিটগুলোর ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উদ্দেশ্যে আমার প্রশ্নে হচ্ছে, পৃথিবীর কোন দেশের গণতন্ত্র সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত? আমরাও সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত নই। যুক্তরাষ্ট্রে স্পিকার নির্বাচিত করতেও ১৫ বার ভোট করতে হয়েছে। গণতন্ত্র কোথাও ত্রুটিমুক্ত নয়।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী এখনও বলে ভোট চুরি হয়েছে। ভোটচুরির অপবাদ প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী এখনও দিয়ে যাচ্ছ। আমরা নিজেদের পারফেক্ট বলছি না। আমরা আমাদের গণতন্ত্র ক্রমান্বয়ে ত্রুটিমুক্ত করছি। শেখ হাসিনা আইন করে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনতা দিয়েছেন। আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছি। তবে অন্যের সমালোচনা করার আগে নিজেদের সমালোচনা আগে করুন। সেটাই হবে যথার্থ।’

বিএনপির সভা-সমাবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে কাদের বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশে আমরা বাধা দিয়েছি–এমন একটা উদাহরণও কি আছে? তাহলে আমাদের বিরুদ্ধে কেন অবান্তর অভিযোগ? এই অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী রাষ্ট্রনেতার নাম শেখ হাসিনা। বেগম জিয়া তুচ্ছ করে বলেছিলেন–শেখ হাসিনা একশ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। আজ বেগম জিয়া কোথায় আর শেখ হাসিনা কোথায়? আল্লাহ যাকে বাঁচায়, মানুষ যাকে ভালোবাসে; তাকে সরানো যায় না।’

Nagad

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনতার চোখে শেখ হাসিনা নয়নের মণি। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার মতো এত কাজ আর উন্নয়ন কেউ করত পারেনি। গত ৪৮ বছরে বাংলাদেশে একজন সৎ রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। প্রশাসনের সবচেয়ে দক্ষ নেতা, সবচেয়ে সাহসী নেতার নাম ও সবচেয়ে সফল কূটনীতিকের নাম শেখ হাসিনা।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এ জনপ্রিয়তা শেখ হাসিনার কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনপ্রিয়তার জন্য তিনি বাংলাদেশের শত্রুদের টার্গেট হয়েছেন। তারা জানে নির্বাচন হলে হারানো যাবে না। শেখ হাসিনা সুষ্ঠু নির্বাচনে হারবেন না। সেজন্য তারা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির পদযাত্রা মানেই পতন যাত্রা। বিএনপির আন্দোলন কাদায় আটকে যাওয়া গরুর গাড়ির মতো আটকে গেছে। এ গাড়ি আর উঠবে না। বিএনপির আন্দোলনের গাড়ি খাদে পড়েছে। এখন তারা ষড়যন্ত্র করছে। তাদের আন্দোলন এখন নাশকতা। বিএনপির আন্দোলন এখন আর জমছে না। এবার খেলা হবে নির্বাচনে। খেলা হবে আগুন সন্তাসের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, নাশকতার বিরুদ্ধে।’

বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিদেশিদের কাছে নালিশ করছে, লবিস্ট নিযোগ করেছে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন কাঁদায় আটকে গেছে। আন্দোলনের এ গাড়ি আর উঠবে না। তাদের আন্দোলনে জনগণ নেই। নেতাকর্মীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তাই তাদের এখন অবলম্বন ষড়যন্ত্র, নাশকতা ও চোরাগোপ্তার পথ। সেই প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।