আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৭, ২০২৩

বিকাশ-রকেট-নগদে লেনদেন মাসে এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে

হাতের মুঠোয় থাকা মোবাইল দিয়ে এখন প্রতি মাসে এক লাখ কোটি টাকার বেশি অর্থ লেনদেন হচ্ছে। অর্থাৎ লেনদেন এক ট্রিলিয়ন টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এসব লেনদেনে অনেক সময় কারও সহায়তা প্রয়োজন হচ্ছে না। গ্রাহক নিজেই অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করে কেনাকাটা করতে পারছেন। মোবাইল রিচার্জ, বিল পরিশোধ, টিকিট কেনা, পরিষেবা বিলসহ আরও সুবিধা তো রয়েছেই।সব মিলিয়ে বিকাশ, রকেট, নগদের মতো মোবাইলে আর্থিক সেবা (এমএফএস) বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে এনে দিয়েছে আর্থিক স্বাধীনতা।বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, গত জানুয়ারিতে এসব সেবায় লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৫৯৩ কোটি টাকা। ডিসেম্বরে লেনদেন ছিল ৯৬ হাজার ১৩২ কোটি টাকা। ফলে দিনে দিনে এসব সেবার ব্যবহার বাড়ছে, যা আনুষ্ঠানিক লেনদেনের আকারকে আরও বড় করছে।খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আনুষ্ঠানিক মাধ্যমের কারণে এসব লেনদেনের হিসাব থাকছে। কে কাকে, কখন কত টাকা টাকা দিয়েছে, তার তথ্য জমা থাকছে। ফলে দিনে দিনে অবৈধ অর্থায়ন কিংবা ঘুষের মতো অপরাধ কমাতে এসব সেবা বড় মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে। সূত্র: প্রথম আলো

দালাল সিন্ডিকেটে জিম্মি হাসপাতাল
রাজধানীর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মেহেরপুরের আইয়ুব আলী (৬৫)। বাড়ি নিয়ে যেতে লাশবাহী গাড়ির খোঁজে হাসপাতালের বটতলায় ঘোরাঘুরি করছিলেন তার ছেলে সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘লাশবাহী গাড়ি ভাড়া নিতে এসেছিলাম। এখানে সব চালক একই রকম ভাড়া চাইছেন। দরদাম করার সুযোগ নেই। সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে দালাল সিন্ডিকেট। ভাড়া থেকে ১ হাজার টাকা দালাল পাবে। বাইরের কোনো অ্যাম্বুলেন্স এখানে আসতে দেয় না। বাবার লাশ নিয়ে বাড়ি যেতে চাইলে তাদের কাছেই আসতে হবে।’ খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ঘিরে সক্রিয় এ দালাল সিন্ডিকেট। হাসপাতালের শয্যার ব্যবস্থা করা, সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া, অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ি ভাড়া নিয়ে সক্রিয় এ রকম একাধিক সিন্ডিকেট। হাসপাতাল ঘিরে শক্তিশালী বলয় গড়ে তুলেছে তারা। এদের কাছে জিম্মি রোগীরা। পদক্ষেপ নিয়েও এদের দৌরাত্ম্য কমাতে হিমশিম খায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝেই অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিন্তু কয়েক দিন আড়ালে থেকে আবার প্রকাশ্যে আসে এদের প্রতাপ। এরা খুবই সংঘবদ্ধ। সূত্র: বিডি প্রতিদিন ।

মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
দারিদ্র্য-ক্ষুধামুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়

মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গতকাল রবিবার জাতি উদযাপন করেছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। লাখো শহীদের আত্মত্যাগের চেতনায় দারিদ্র্য-ক্ষুধামুক্ত স্মার্ট ও সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় উচ্চারিত হয়েছে দেশজুড়ে। একাত্তরের গণহত্যার বৈশ্বিক স্বীকৃতির পাশাপাশি দুর্নীতিমুক্ত ও সাম্যের বাংলাদেশ গড়ার দাবিও জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটি উপলক্ষে এক বার্তায় দারিদ্র্য-ক্ষুধামুক্ত স্মার্ট ও সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার করে দেশবাসীকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান। গতকাল ভোরে ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দেশের ৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের সূচনা হয়। ঢাকা পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় (তেজগাঁও) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির ছয়টি গান ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে স্বাধীনতাযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি স্যালুট প্রদর্শন করে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল এ উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

সংকটের মধ্যেও পায়রা বন্দরকে রিজার্ভ থেকে অর্থ দিতে হচ্ছে
পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলে বাস্তবায়ন হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় ‘ক্যাপিটাল ড্রেজিং’ প্রকল্প। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ঋণ নিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সরকার। চ্যানেলটির খননকাজ শেষ করে গতকাল তা পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিয়েছে বেলজিয়ামভিত্তিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘জান ডে নুল’। চুক্তি অনুযায়ী, আরো এক বছর চ্যানেলটির রক্ষণাবেক্ষণকাজ করবে তারা। এসব কাজের বিল বাবদ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে গত ফেব্রুয়ারিতে ১৭০ মিলিয়ন ইউরো বা ১৮৩ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণচুক্তি অনুযায়ী, ২০২৪ সালের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে আরো প্রায় ২৭৭ মিলিয়ন ইউরো। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে চলমান অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এমনিতেই ধারাবাহিকভাবে কমছে। সেই রিজার্ভ থেকে রাবনাবাদ চ্যানেল খননকাজের মতো ‘অলাভজনক’ প্রকল্পের অর্থ পরিশোধ চলমান সংকটকে আরো প্রকট করে তুলবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। পায়রা বন্দরকে ঘিরে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে একটি বড় লজিস্টিক হাব গড়ে তোলার পরিকল্পনা ছিল সরকারের। তবে ভৌগোলিক অবস্থান ও রক্ষণাবেক্ষণের বাড়তি ব্যয় বিবেচনায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের প্রকল্পটি থেকে ২০২১ সালে সরে আসে সরকার। এ বন্দর যেখানে অবস্থিত, সেখান দিয়ে প্রতি বছর উজান থেকে আসা বিপুল পরিমাণ পলি প্রবাহিত হয়। এজন্য নিয়মিত ড্রেজিং ছাড়া বন্দরটি চালু রাখা কঠিন। আবার নিয়মিত ড্রেজিংয়ের কাজ অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এমন প্রেক্ষাপটে পায়রা বন্দরে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। সূত্র: বণিক বার্তা।

Nagad

মূল্যস্ফীতির উলটো যাত্রা

সব ধরনের পণ্য ও সেবার মূল্যবৃদ্ধি এবং ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের ফলে দেশে মূল্যস্ফীতির হার বাড়ছে। শহরের চেয়ে গ্রামে এ হার বৃদ্ধি পাচ্ছে বেশি মাত্রায়। এমনকি খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতিও শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি। অথচ খাদ্যপণ্যের দাম শহেরই বেশি হওয়ার কথা। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের চাহিদা গ্রামে কম। ফলে এ খাতে মূল্যস্ফীতির হার গ্রাম কম হওয়ার কথা। বাস্তবে এ হার গ্রামে বেশি, শহরে কম। সব মিলে উলটো পথে যাত্রা শুরু করেছে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি। গত ফেব্রুয়ারি মাসের মূল্যস্ফীতি ও মজুরিবিষয়ক বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।মূল্যস্ফীতির হারের এই উলটো যাত্রা নিয়ে দেশের শীর্ষ স্থানীয় অর্থনীতিবিদরা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, টাকার প্রবাহ, ঘনবসতি ও চাহিদা শহরে বেশি। একই সঙ্গে ভোগবিলাসও গ্রামের চেয়ে শহরে বেশি। এ কারণে শহরেই মূল্যস্ফীতির হার বেশি হওয়ার কথা। কিন্তু তা না হয়ে গ্রামে বেশি হচ্ছে। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গবেষণা দরকার। বিবিএসের গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তথ্যে দেখা যায়, গ্রামে মূল্যস্ফীতির হার ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং শহরে ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। শহরের চেয়ে গ্রামে দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।সূত্র জানায়, সাধারণত গ্রামে মূল্যস্ফীতির হার কম হওয়ার কথা। কারণ গ্রামের মানুষের চাহিদা কম। কর্মসংস্থান কম হওয়ার কারণে আয়ও কম। ফলে খরচও কম হয়। সবজির ভর মৌসুমে দাম কম থাকে। সেখানে পণ্যের উৎপাদন হয়, ফলে সরবরাহ বেশি থাকে। এসব কারণে গ্রামে এ হার কম হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে তা হচ্ছে না।সংশ্লিষ্টরা প্রশ্ন তুলেছেন, গ্রামে মূল্যস্ফীতির হার বেশি হওয়ার মাধ্যমে অর্থনীতিতে কাঠামোগত পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তাহলে কি গ্রামের মানুষের আয় বেড়েছে? বাস্তবে আয় বাড়েনি। গ্রামে এখনো দারিদ্র্যের হার বেশি। এর মধ্যে অতি দারিদ্র্যের সংখ্যাও গ্রামেই বেশি। সূত্র: যুগান্তর

ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতির দৈত্য

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা নিয়ে দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। দপ্তরটির কতিপয় কর্মকর্তা, কানুনগো, সার্ভেয়ার এবং অফিস সহকারীদের কমিশন বাণিজ্য, দালালদের যোগসাজশে ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাৎসহ নানান অভিযোগে প্রায় সময় খবরের শিরোনাম হয়। সম্প্রতি এই দপ্তরের যাবতীয় কর্মকান্ডের ওপর অনুসন্ধান চালিয়েছে কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা। ভূমি অধিগ্রহণ শাখা ঘিরে শক্তিশালী একটি চক্রের সন্ধানও পেয়েছে সংস্থাগুলো।অনুসন্ধানে কমিশন বাণিজ্য, ভুয়া পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি দিয়ে একজনের ক্ষতিপূরণ অন্য ব্যক্তিকে দিয়ে দেওয়ার, প্রকৃত মালিকদের মামলা-মোকদ্দমার ফাঁদে আটকে ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাৎ করাসহ নানান দুর্নীতি-অনিয়মের চিত্র উঠে এসেছে। ওই চক্রের সমন্বিত একটি তালিকাও করেছে সংস্থাগুলো। ওই চক্রে আছেন বর্তমান এবং সাবেক কিছু ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, কানুনগো, সার্ভেয়ার, অফিস সহকারী, চেইনম্যান, জারিকারক, উমেদার, আইনজীবী কথিত দালাল। এর আগে ২০২২ সালের ৩ আগস্ট এলএ অফিসে ক্ষতিপূরণ বাণিজ্যে জড়িত ২৩টি সিন্ডিকেট থাকার কথা স্বীকার করেছিলেন চট্টগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান। ওইদিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শহীদ শাহ আলম বীরউত্তম অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত দুদকের গণশুনানিতে তিনি এ কথা বলেছিলেন। গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, কতিপয় দালাল কর্তৃক দায়ের করা দেওয়ানি মামলা, অভিযোগ, আপত্তিসমূহ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন এলএ অফিসের সার্ভেয়ার ও কানুনগোরা।দুর্নীতির বেশি অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে : গোয়েন্দা সূত্রগুলো জানাচ্ছে, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ সবচেয়ে বেশি তারা হলেনÑ কানুনগো সেকান্দার আলী, মো. জাহাঙ্গীর, সার্ভেয়ার যথাক্রমে আব্দুল মমিন, মো. ইমাম হোসেন গাজী, আবু কাউসার সোহেল, মোক্তার হোসেন, শহীদুল ইসলাম মুরাদ, জোবায়ের, মো. শহীদুল হাসান, খাজা উদ্দিন, আমানাতুল মাওলা, মজিবুর রহমান, নূর চৌধুরী। এরমধ্যে কোনো কোনো সার্ভেয়ার দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় কারাভোগও করেছেন।জানা গেছে, সার্ভেয়ার মুরাদ, খাজা উদ্দিন, আমানাতুল, মজিবুর, নূর চৌধুরী ছাড়া বাকি ছয় সার্ভেয়ার এবং দুই কানুনগো বর্তমানে এলএ অফিসে কর্মরত। অনিয়মের অভিযোগে বরখাস্ত হয়েছেন সার্ভেয়ার খাজা উদ্দিন। এর আগে দুর্নীতির অভিযোগে তাদের দেশের বিভিন্ন জায়গায় শাস্তিমূলক বদলি করা হলেও তদরিব করে তারা ফিরে এসেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের এলএ অফিসে। দেশ রুপান্তর

বৈদেশিক মুদ্রা আনতে রেমিট্যান্স প্রেরকদের নির্ধারিত রেটের চেয়ে বেশি দাম দিচ্ছে ব্যাংকগুলো

অস্থিতিশীল বৈদেশিক মুদ্রার বাজার থেকে লাভবান হচ্ছেন রেমিট্যান্স প্রেরকরা, অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমদানিকারক ও ভোক্তারা। ব্যাংকারদের তথ্যানুসারে, রেমিট্যান্স প্রেরকরা ১১৪ টাকা পর্যন্ত পাচ্ছেন প্রতি ডলারের জন্য। পাশাপাশি সরকারের কাছ থেকে ২.৫ শতাংশ নগদ প্রণোদনাও পাচ্ছেন তারা।এই রেট গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং অ্যাসোসিয়েশন অভ ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ-এর (এবিবি) নির্ধারণ করা ১০৭ টাকার চেয়ে অনেক বেশি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন শীর্ষ ব্যাংকার ও ট্রেজারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে। চড়া চাহিদা মেটানোর জন্য দেশে কার্যরত ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে অন্তত ২০টি ব্যাংক রেমিট্যান্সে ডলারের দাম বেশি দিচ্ছে। কিন্তু সেটি তারা তাদের ব্যালান্স শিটে দেখাচ্ছে না। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

যেসব ব্যাংক ডলারের রেট বেশি দিচ্ছে না, তারা রেমিট্যান্স পাচ্ছে কম।

একটি বেসরকারি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, ‘প্রতিটা ব্যাংকের মাসভিত্তিক ইনওয়ার্ড রেমিট্যান্স দেখলেই বিষয়টি আরও ভালোভাবে বোঝা যাবে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে যে ব্যাংক ২ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্সও পায়নি, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সেই ব্যাংকই ৪৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পেয়েছে। মূলত রেট বেশি দেওয়ার কারণেই কিছু কিছু ব্যাংকের রেমিট্যান্স আয় অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

পদ্মা সেতুর রেললাইনে আর বাকি ৭ মিটার

পদ্মা সেতুতে পাথরহীন রেললাইন নির্মাণের বাকি একটি স্লিপার। মাত্র ৭ মিটার দীর্ঘ স্লিপারটি বসালেই লাইন নির্মাণ সম্পন্ন হবে। তবে স্লিপারটির অভাবে ওই অংশটুকু ঢালাই করা যায়নি। সেতুর মাঝামাঝি ৫ নম্বর মুভমেন্ট জয়েন্টের ওই ইস্পাতের স্লিপারটি বসানো নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের কাছ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। তবে তাঁরা শিগগিরই সমস্যাটি সমাধানের আশা করছেন।নির্মাণকাজের প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বলেন, জরুরি ভিত্তিতে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিমানে করে স্লিপারটি এনেছে। তবে নকশা অনুযায়ী এর ছিদ্র মিলছে না। সূক্ষ্মভাবে রেললাইনটি নির্মাণ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। শুধু মুভমেন্ট জয়েন্টের বিশেষ এই স্লিপারটি বসানো বাকি। প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, ৬ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা রেলসেতুতে এমন ৮টি মুভমেন্ট জয়েন্ট রয়েছে। বাকি ৭টি যথাযথভাবে স্থাপন করা হয়েছে। যেটি বাকি রয়েছে, সেটিও শিগগির স্থাপিত হবে। এর আগে রেললাইন ঢালাই করা যাবে না।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মূল সেতুতে ১১ হাজার ১৪০টি স্লিপার স্থাপিত হয়েছে। মুভমেন্ট জয়েন্টের ইস্পাতের ৮টি স্লিপার ছাড়া বাকি সবগুলো কংক্রিটের তৈরি। এগুলো ফরিদপুরের ভাঙ্গা পুরোনো রেলস্টেশনের পাশে স্থাপিত কারখানায় তৈরি করেছে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সূত্র: সমকাল

পোল্ট্রি খাতে ‘কর্পোরেট হরিলুটের’ অভিযোগ, ক্ষতিগ্রস্ত ছোট খামারিরা

বাংলাদেশের পোলট্রি খাতে কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে হরিলুটের অভিযোগ তুলেছে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। সংগঠনটির দাবি, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো গত ৫২ দিনে মুরগি ও বাচ্চার দাম বাড়িয়ে ৯৩৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।সরকারি তদারকি না থাকায় প্রান্তিক খামারিদের পরিকল্পিতভাবে স্বাধীনভাবে উৎপাদন করা থেকে সরিয়ে দেয়ার অভিযোগ করেছে সংগঠনটি। তারা বলছে, দেশটির পোল্ট্রি খাত প্রতিনিয়ত কর্পোরেট কোম্পানিদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে।তবে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি তাদের চুক্তিভিত্তিক ফার্মিংএর কারণে খামারিরা লাভবান হচ্ছে। এবং দাম ওঠানামা করছে বাজার পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। এখানে তাদের কোন হাত নেই।বাংলাদেশে প্রাণীজ প্রোটিনের ক্ষেত্রে এতদিন সস্তা ও সহজলভ্য পণ্য ছিল ব্রয়লার মুরগি ও ডিম। কিন্তু গত কয়েক মাসে এর দাম বাড়তে থাকায় অভিযোগের তীর যাচ্ছে কন্ট্রাক্ট ফার্মিং এর দিকে।ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৩শে মার্চ ব্রয়লার মুরগির খুচরা দাম ছিল ২৭০ টাকা। কোথাও কোথাও ২৯০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হয়েছে।। সূত্র: বিবিসি বাংলা ।