‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরুর কীর্তিতে তিনি বাঙালির গর্বের ইতিহাসের অংশী হয়ে গেছেন’

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ, মে ৫, ২০২৩

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরুর কীর্তিতে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম বাঙালির গর্বের ইতিহাসের অংশী হয়ে গেছেন-বলে মন্তব্য করেছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভার বক্তারা।

তারা বলেন, ‘শহীদজননী জাহানারা ইমামের আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আজ এটি প্রমাণিত সত্য যে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত শিবিরকে দেশবাসী চিনেছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এরা শতভাগ প্রত্যাখান পেয়েছে জনগণের কাছ থেকে। এখন তাদের তোড়জোড় শুরু হয়েছে নাম বদলে সাদা মনের মানুষ হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করবার।

শহীদ জননীর অনুসারীরা বেঁচে থাকতে এই স্বাধীনতা বিরোধীরা খোলস পাল্টাতে পারবেনা বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বক্তারা আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে ওদের প্রতিহত করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে আপোষহীনরা জোটবদ্ধ হতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) একাত্তরের ঘাতক দালাল বিরোধী আন্দোলনের পুরোগামী নেতা এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাতা শহীদজননী জাহানারা ইমাম-এর ৯৪ তম জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন এবং জাহানারা ইমামের আন্দোলন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা উপর্যুক্ত কথাগুলি বলেন।

এদিকে বিকেলে চেরাগী পাহাড়স্থ বঙ্গবন্ধু ভবনের তৃতীয় তলায় চট্টলবন্ধু এস এম জামাল উদ্দিন মিলনায়তনেএকাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জননেতা মফিজুর রহমান।

সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদারের সভাপতিত্বে এতে প্রধান বক্তা ছিলেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ৮ম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালি।

Nagad

সংগঠনের জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব নগর আওয়ামী লীগ নেতা মো. অলিদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন- বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অনুপ সাহা, আবৃত্তিশিল্পী অ্যাডভোকেট মিলি চৌধুরী, চট্টগ্রামের প্রথম ক্লিনিক্যাল পুষ্টিবিদ ও জাগরণ-এর কেন্দ্রীয় সদস্য হাসিনা আক্তার লিপি, মহিলা শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রোকসানা পারভিন রুবা, নগর যুবলীগ নেতা হাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক দেবাশীষ আচার্য, জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য দীপংকর চৌধুরী কাজল, হাবিব উল্ল্যাহ চৌধুরী ভাস্কর, মিথুন মল্লিক, এমএ মান্নান শিমুল, সুমন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সাহাব উদ্দিন, মুক্তা হাওলাদার, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, কানিজ ফাতেমা, সাদ্দাম হোসাইন, মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, মো. আশরাফুল ইসলাম সোহান, মো. নাছির উদ্দিন, সুকুমার চৌধুরী, এম. শাহাদাৎ নবী খোকা, আবদুল্লাহ মুহিত, মো. আসিফ ইকবাল, মো. সেলিম উদ্দীন, সংস্কৃিতকর্মী সজল দাশ প্রমুখ।

মফিজুর রহমান বলেন,’৯২ সালে জাতিকে বিস্মৃতপ্রায় স্বপ্ন-যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, যে সম্ভব ও যৌক্তিক এবং সভ্যতার ভিত্তি সেটিকে উজ্জীবিত করে ফিরিয়ে এনেছিলেন। এই হিসেবে তিনি মৃত একটি স্বপ্নের পুনরুজ্জীবন দানকারী।
শওকত বাঙালি বলেন, এক সময়ের অবিশ্বাস্য স্বপ্ন ‘৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ সম্পন্ন হতে যখন দেখি তখন মনে হয় তিনি আজ নিজ কীর্তিতে বাঙালির গর্বের ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছেন, যা কোন দিন কেউ মুছে ফেলতে পারবেনা।
সভার শুরুতে শহীদ জননীর আত্মার মাগফেরাত কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।