আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
সোহরাওয়ার্দী, বেনজির থেকে ইমরান, গ্রেপ্তার হয়েছেন পাকিস্তানের যেসব প্রধানমন্ত্রী
দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার থেকেই পাকিস্তানে ছড়িয়ে পড়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা, সংঘাত। তবে ইমরান প্রথম নন, এর আগেও বিভিন্ন সময় পাকিস্তানের কয়েকজন সরকারপ্রধান গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ তালিকায় শুরুতেই রয়েছে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নাম। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী। সময়টা ১৯৬২ সালের জানুয়ারি, গ্রেপ্তার করা হয় সোহরাওয়ার্দীকে। রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ তোলা হয়েছিল। আসলে জেনারেল আইয়ুব খানের সামরিক অভ্যুত্থানে সমর্থন জানাতে অস্বীকৃতি জানানোয় সোহরাওয়ার্দীর ওপর এমন খড়্গ নেমে আসে।
ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তাঁর সমর্থকেরা। গতকাল দেশটির করাচি শহরে-পাকিস্তানের নবম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জুলফিকার আলী ভুট্টো। ১৯৭৭ সালের সেপ্টেম্বরে গ্রেপ্তার হন তিনি। জুলফিকার আলী ভুট্টোর বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালে একজন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ তোলা হয়েছিল। পরে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়। ১৯৭৯ সালের ৪ এপ্রিল এই রায় কার্যকরও করা হয়। সূত্র: প্রথম আলো


আতঙ্ক বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহারে
♦ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণহীন তদারকি কেবল কাগজে কলমে ♦ সব জেনেও এড়িয়ে যাচ্ছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা
কোনোভাবেই যেন নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে বৈধ অস্ত্রধারীরা ঝাঁপিয়ে পড়ছেন তাদের অস্ত্র নিয়ে। তাদের ছোড়া গুলিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ। তবে অস্ত্রধারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে টুঁ শব্দটিও করতে পারছে না তারা। আবার অনেক ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরাও বিষয়গুলো এড়িয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ছে বৈধ অস্ত্রের ব্যবসা। বৈধতার লেবাসে কিছু অস্ত্র ব্যবসায়ী রীতিমতো আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছেন। তাদের সরবরাহ করা অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র ও গোলাবারুদগুলো চলে যাচ্ছে ভয়ংকর সব সন্ত্রাসীর কাছে। তবে অবাক করা বিষয় হলো, এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে বিভিন্ন সময় গ্রেফতার হওয়ার পরও এক দিনের জন্যও বন্ধ হয়নি তাদের অস্ত্রের দোকান। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহি না থাকার কারণেই এমনটা ঘটছে। অস্ত্র ব্যবসায়ীদের বিষয়গুলো যাদের নিয়মিতভাবে মনিটরিং করার কথা তাদের অবহেলা না থাকলে এমনটা ঘটত না। কর্তৃপক্ষের কিছু সদস্যের দায়িত্বহীনতার সুযোগে দিনের পর দিন এমনটা চলে আসছে। তবে স্পর্শকাতর এই ব্যবসার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনাটা খুব জরুরি। জানা গেছে, ‘আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা, ২০১৬’ আইনে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে কারা কীভাবে অস্ত্রের ব্যবসা করবেন। অস্ত্র আইনের ৩৪ নম্বর ধারার ক উপধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতি ছয় মাস পর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ কর্তৃপক্ষ আমদানিকৃত অস্ত্র, গোলাবারুদের মজুদ ও বেচাকেনার হিসাব সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন এবং উক্ত পরিদর্শন প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। উপধারা খতে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত যে কোনো কর্মকর্তা যে কোনো সময় যে কোনো অস্ত্র আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুদকৃত স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করতে পারবেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান
গাজীপুরে ছাত্রীকে ঘরে ঢুকে কুপিয়ে হত্যা
গুরুতর আহত মা ও ছোট বোনকে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি
গাজীপুরে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কলেজছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা এবং তার মা ও এক বোনকে আহত করে পালিয়ে গেছে মসজিদের ইমাম। সোমবার রাতে গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণ সালনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত কলেজছাত্রী রাবেয়া আক্তার দক্ষিণ সালনা এলাকার আবদুর রউফের মেয়ে। এ ঘটনায় আহত ওই কলেজছাত্রীর মা বিলকিস বেগম ও ছোট বোন খাদিজাকে গুরুতর আহতাবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গাজীপুর সদর মেট্রো থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক জানান, দক্ষিণ সালনা এলাকার আবদুর রউফ তার স্ত্রী, চার মেয়ে-রাবেয়া আক্তার, হাবিবা, খাদিজা, জান্নাত ও এক ছেলে নিয়ে বসবাস করেন। তিনি সালনা বাজারে আরএফএল প্লাস্টিক শোরুমে চাকরি করেন। তার বড় মেয়ে রাবেয়া আক্তার ২০২০ সালে জয়দেবপুর সরকারি মহিলা কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। তিনি স্টুডেন্ট ভিসায় ইউরোপে যাওয়ার উদ্দেশে ভিসাসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম প্রসেসিং করতে থাকেন। তার ছোট দুই মেয়ে খাদিজা ও জান্নাতকে কোরআন শিক্ষার জন্য টেকিবাড়ী জামে মসজিদের ইমাম মো. সাইদুল ইসলামকে দায়িত্ব দেন। দুই মেয়েকে পড়ানোর জন্য বাসায় যাওয়া-আসার সুবাদে তার বড় মেয়ে রাবেয়া আক্তারের দিকে নজর পড়ে ইমাম সাইদুল ইসলামের। রাবেয়া আক্তারকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে রাবেয়ার পরিবার সরাসরি ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এতে ক্ষুব্ধ হন সাইদুল। ওই পরিবার থেকে তাকে বাসায় এসে পড়ানোর জন্য নিষেধ করা হয়। এতে তিনি আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে রাবেয়ার কলেজে ও বাইরে যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করতেন ইমাম। বিয়েতে রাজি না হলে রাবেয়াকে প্রাণনাশের হুমকিও দেন। সাইদুল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাবেয়া আক্তারের বাড়িতে যান। এরপর রাবেয়ার কক্ষে ঢুকে ছুরি দিয়ে রাবেয়ার মাথায়, গলায়, হাতে, পায়ে কোপাতে থাকেন। রাবেয়ার চিৎকারে তার মা, ছোট বোন হাবিবা ও খাদিজা দৌড়ে এলে তাদেরও কোপাতে থাকেন সাইদুল। এরপর পালিয়ে যান সাইদুল। পরে তাদের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এসে তাদের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাবেয়া ওই হাসপাতালে মারা যান। গুরুতর আহত মা ও ছোট বোনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় রাবেয়ার বাবা বাদী হয়ে সাইদুলকে আসামি করে মঙ্গলবার সদর থানায় মামলা করেন। আসামি ধরতে পুলিশের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন সদর মেট্রো থানার ওসি মো. জিয়াউল হক। সূত্র: যুগান্তর
গভীর সাগরে না যাওয়ার আহ্বান
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি ঘণীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বুধবার আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়।এতে আরও বলা হয়, গভীর নিম্নচাপটি আজ বুধবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। সূত্র: সমকাল
পরীক্ষা দেওয়া হলো না ইসির
এ বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের জন্য এবারের জতীয় নির্বাচনটি রীতিমতো কঠিন পরীক্ষা। কেননা নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে দেশি-বিদেশি নানামুখী চাপে রয়েছে তারা। আর এ চাপ সামলে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনকে সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য করে জাতিকে উপহার দেওয়ার প্রত্যাশা রয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের কমিশন। কিন্তু অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণায় ভাটা পড়েছে সেই প্রত্যাশায়।ভোটে আনতে কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে একাধিকবার সংলাপের আমন্ত্রণ জানানো হলেও সাড়া দেয়নি বিএনপি ও তার মিত্ররা। বিএনপিসহ সব দলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য ভোটের আশায় কূটনৈতিক মহল সরকার ও ইসির সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেছে। এদিকে আগামী ২৫ মে গাজীপুর, ১২ জুন খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন এবং ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব নির্বাচন একতরফা হলে দেশের রাজনৈতিক সংকট আরও বাড়বে। সরকারের প্রভাবের বাইরে গিয়ে ইসি কতটুকু স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে তা এসব নির্বাচনের মধ্য দিয়ে পরিষ্কার হবে। আবার জাতীয় নির্বাচনের আগে মানুষের আস্থা অর্জনের শেষ সুযোগও এসব নির্বাচন। কিন্তু বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণায় গ্রহণযোগ্যতার পরীক্ষা দেওয়া হলো না বর্তমান নির্বাচন কমিশনের। সূত্র: দেশ রুপান্তর
অনুমোদনের আড়াই গুণ খরচ করেও প্রধান কার্যালয় দাঁড় করাতে পারেনি ন্যাশনাল ব্যাংক
জমির খরচ বাদ দিয়ে শুধু অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে কভিডপূর্ব কালে ভবনের প্রতি বর্গফুটে ব্যয় হতো ১ হাজার ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ও নির্মাণ খাতসংশ্লিষ্টদের তথ্য অনুযায়ী, নির্মাণসামগ্রী ও উপকরণের দাম বাড়ায় এখন ব্যয় বাড়লেও তা সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকায় সীমাবদ্ধ। কিন্তু ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় নির্মাণ করতে গিয়ে এরই মধ্যে বর্গফুটপ্রতি ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৭৩২ টাকায়। ২০০৯ সালে শুরুর পর এখনো শেষ করা যায়নি ভবনটির নির্মাণকাজ। বরং অর্থাভাবে ভবনটির নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে ২০২১ সালের মে মাস থেকে।
ভবনটি নির্মাণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ছিল ১৯৫ কোটি টাকা। যদিও এরই মধ্যে ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫২৩ কোটি টাকায়। প্রধান কার্যালয়ের ভবন নির্মাণে অনুমোদনের চেয়ে আড়াই গুণেরও বেশি ব্যয়কে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে কয়েক দফায় ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে। তার পরও ন্যাশনাল ব্যাংকের পক্ষ থেকে আরো অর্থ ব্যয়ের অনুমোদন চাওয়া হয়। এ অবস্থায় পরামর্শ ও নির্দেশ পরিপালন না করার দায়ে ব্যাংকটিকে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্যানুযায়ী, শুরুতেই ভবনটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। প্রতি বর্গফুট ৫ হাজার টাকা করে মোট ধরা হয়েছিল ১৭৭ কোটি টাকা। যদিও এরই মধ্যে ভবনটির প্রতি বর্গফুট নির্মাণে নিজের নির্ধারিত ব্যয়ের প্রায় তিন গুণ খরচ করে ফেলেছে ব্যাংকটি। সূত্র: বণিক বার্তা।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোয় খুন-অপহরণের নেপথ্যে কারা?
বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোয় গত সাড়ে পাঁচ বছরে অন্তত ১৬৪ টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্য গত দুই বছরে এ সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি।ক্যাম্পগুলোতে হত্যাকাণ্ড, অপহরণ, গোলাগুলি অনেকটা নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু এই সহিংসতার নেপথ্য কারণগুলো কী? কারা রয়েছে এর পেছনে?দ্বিতীয় রমজানের দিনে তারাবির নামাজ শেষ করে যখন নিজের ঘরে ফিরছিলেন কুতুপালং ক্যাম্পের বাসিন্দা মজিবর রহমান, অস্ত্র হাতে একজন ব্যক্তি এসে তাকে দুটি গুলি করে। পেটে এবং পায়ে গুলি লাগলে তিনি গুরুতর আহত হন। ‘’তারা এর আগে থেকেই আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছিল। কিন্তু কেন আমাকে মারতে চায়, তা বলে নাই। আমাকে যে গুলি করছে, সেও আমাদের ক্যাম্পের বাসিন্দা। সে আরসার সাথে থাকে শুনছি। এখন আর তাকে এখানে দেখি না,’’ বলছিলেন মজিবর রহমান।
কয়েক সপ্তাহ হাসপাতালে থেকে সুস্থ হয়ে ক্যাম্পে ফিরলেও তিনি কারও বিরুদ্ধে মামলা করেননি। কারণ তার আশঙ্কা, তাহলে আবার হামলাকারীরা এসে তার ওপর গুলি করতে পারে।রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোয় বাসিন্দাদের কথা থেকে মনে হয় তারা যেন এধরণের সহিংসতাকে একটা স্বাভাবিক ব্যাপার বলেই ধরে নিয়েছেন। সূত্র: বিবিবি বাংলা।
স্বাস্থ্য খাতে খরচ করতে হবে জিডিপির দুভাগ
জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি বলেছেন, মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে এগিয়ে যেতে চাইলে জিডিপির অন্তত দুই ভাগ অর্থ স্বাস্থ্য খাতে খরচ করতে হবে। বিএনপি সরকারের আমলে দেশের স্বাস্থ্য খাতের বাজেট ছিল ৫/৬ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে আওয়ামী লীগ-সরকারের আমলে যা ৪০ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এটিও আমাদের স্বাস্থ্য খাতের জন্য যথেষ্ট নয়। আমি আহ্বান জানাব, আগামী বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে আরও অর্থ বরাদ্দের জন্য। স্বাস্থ্য খাতসহ দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন, বিরোধীরা সমালোচনা করছেন।গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নরসিংদীর মাধবদীর হেরিটেজ রিসোর্টে ঢাকা বিভাগীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। সূত্র: দৈনিক আমাদের সময়
সাগরে গভীর নিম্নচাপ, ‘অতি প্রবল’ ঘূর্ণিঝড়ের আভাস
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে পরিণত হয়েছে গভীর নিম্নচাপে, যা বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের রূপ পেতে পারে বলে আভাস দিচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিলে তখন এর নাম হবে ‘মোখা’ (Mocha)। এটি ইয়েমেনের দেওয়া নাম।আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি বুধবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের এই গতিপথের আভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অফিস।গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ছিল ৫০ কিলোমিটার; যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছিল।গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল থাকায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সূত্র: বিডি নিউজ