আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ, মে ২৪, ২০২৩

নৌকার ভরসা দলীয় ঐক্য

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামীকাল বৃহস্পতিবার। তফসিল ঘোষিত পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মধ্যে গাজীপুরের নির্বাচন অনেকটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ফলে সবার দৃষ্টি এখন গাজীপুরে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের সবচেয়ে বড় এই সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের জন্যও বড় চ্যালেঞ্জ। গতকাল মঙ্গলবার ছিল নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিন। বৃষ্টির বাধায় প্রার্থীদের প্রচার কিছুটা বিঘ্নিত হয়। প্রচারের শেষ দিনে দুজন মেয়র প্রার্থী তাঁদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন।এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান। সূত্র: কালের কণ্ঠ

রাজনীতিতে বাড়ছে উত্তাপ
বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে ধানমন্ডি রণক্ষেত্র
বাসে আগুন, রবিসহ আটক ২৫ * পুলিশসহ আহত অর্ধশতাধিক * শিগগিরই সরকার পতনের আন্দোলন ঘোষণা : গয়েশ্বর

আগামী নির্বাচন ঘিরে রাজপথ দখলে রাখতে ব্যস্ত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। দখল কেন্দ্র করেই রাজনীতিতে বাড়ছে উত্তাপ। সরকারবিরোধী আন্দোলনে নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে সক্রিয় বিএনপি। তাদের মোকাবিলায় আটঘাট বেঁধে নেমেছে ক্ষমতাসীনরা। বিএনপির কর্মসূচির দিন শান্তি সমাবেশের নামে মাঠ দখলে রাখছেন তারা। একইদিন দুদলের রাজপথের কর্মসূচি নিয়ে শুরুতে উত্তেজনা থাকলেও তা ছিল শান্তিপূর্ণ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দেয়নি। কিন্তু ধীরে ধীরে পরিস্থিতি পালটাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে রূপ নিচ্ছে সংঘর্ষে। খুলনা, পটুয়াখালীর পর এবার রাজধানীতেই ঘটেছে সংঘর্ষের ঘটনা। মঙ্গলবার ধানমন্ডিতে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিকালে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পালটাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে নেতাকর্মীরা। এ সময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। উত্তেজিত নেতাকর্মীরা একটি বিআরটিসি বাস ভাঙচুর করে তাতে আগুন লাগিয়ে দেয়। সংঘর্ষে পুরো এলাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। সেখান থেকে ধানমন্ডি থানা বিএনপির সভাপতি শেখ রবিউল আলম রবিসহ অন্তত ২৫ জনকে আটক করে পুলিশ। সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। এ সময় ধানমন্ডি, সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও নিউমার্কেট এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

সিটি নির্বাচন গাজীপুর
আওয়ামী লীগ বাদে অন্য প্রার্থীদের কেন ইসির প্রতি আস্থার অভাব
গাজীপুরে তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। প্রথমবারের মতো ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হবে।

নির্বাচনী প্রচার শুরুর পর থেকে বাধা দেওয়া, হয়রানি ও হামলার মতো বিষয়ে প্রার্থীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হলেও নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি, এমন অভিযোগ উঠেছে। ইসি এবং প্রশাসনের অবস্থান নিয়ে সন্দেহ রয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়া অন্য মেয়র প্রার্থীদের। কাউন্সিলর পদেও ক্ষমতাসীন দলের বাইরে অন্য দল থেকে যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন, তাঁরাও প্রচারে বাধা ও হয়রানির অভিযোগ করছেন।জাতীয় নির্বাচনের আগে পাঁচ সিটির ভোটের দিকে সবার নজর রয়েছে। যদিও বিরোধী দল বিএনপি এই নির্বাচন বর্জন করছে। এখন পাঁচ সিটির মধ্যে প্রথম ভোট হতে যাচ্ছে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে। সেখানেই নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থার অভাবের কথা বলছেন ক্ষমতাসীন দলের বাইরে অন্য মেয়র প্রার্থীরা।দেশের সবচেয়ে বড় সিটি করপোরেশন গাজীপুরে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। প্রায় ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ ভোটারের এই সিটিতে প্রথমবারের মতো ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হবে। গাজীপুরে ইভিএম নিয়ে প্রচার হয়েছে কম। বিপুলসংখ্যক ভোটারের মধ্যে ইভিএম নিয়ে আগ্রহের চেয়ে শঙ্কাই বেশি। ইভিএম নিয়ে সন্দেহও রয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো

Nagad

জাতীয় সংসদ নির্বাচন
এমপি মনোনয়ন জমা অনলাইনে
সরাসরি কাগজপত্র জমা দিতে হবে না, বন্ধ হবে দাখিলে বাধা, আশা ইসির
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সুযোগ দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন-ইসি। এ ক্ষেত্রে এমপি প্রার্থীদের সশরীরে রিটার্নিং অফিসার বা নির্বাচন অফিসে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে না। শুধু অনলাইনে মনোনয়পত্র জমা দিলেই চলবে। মনোনয়নপত্রের হার্ড কপি রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দিতে হবে না। প্রার্থী যে কোনো স্থানে থেকেই অনলাইনে সম্পূর্ণ মনোনয়নপত্র দাখিল ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংগ্রহ সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন। বিগত একাদশ সংসদ নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সুযোগ থাকলেও মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের নির্ধারিত দিনে রিটার্নিং অফিসারের কাছে অনলাইনে দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রের মূলকপি জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল। কিন্তু এবারে সেই হার্ডকপি জমা দেওয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার আন্তরিক ইচ্ছা নির্বাচন কমিশনের। মনোনয়ন দাখিলে বাধাদান ঠেকাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া জনপ্রতিনিধিরা মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শোডাউন ও স্লোগান দিয়ে প্রথম দিনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন। কিন্তু অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করলে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটবে না; মনোয়নপত্র দাখিলে প্রার্থীদের সময় এবং ব্যয় দুটোই কম হবে। তিনি বলেন, প্রথমে স্থানীয়/উপ নির্বাচনে এই কার্যক্রম শুরু করা হবে। সেই নির্বাচনে অনলাইন মনোনয়ন কার্যক্রম সফল হলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অনলাইনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হবে। সশরীরে কোনো প্রার্থীকে নির্বাচনের অফিসে যেতে হবে না; সরাসরি কোনো কাগজপত্রও জমা দিতে হবে না। এতে করে মনোনয়ন দাখিল, গ্রহণ ও বাছাই প্রত্রিয়াটি সহজ ও দ্রুততর হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

বিতর্ক যেন নিত্যসঙ্গী এমপি মোস্তাফিজের
পিস্তল হাতে বাঁশখালীতে মিছিল

বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না চট্টগ্রামের বাঁশখালীর এমপি এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর। ২০১৪ সালে এই আসন থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হন তিনি। যখন থেকে এমপি হয়েছেন তখন থেকেই একের পর এক বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দিচ্ছেন। এই আয়োজনে সর্বশেষ সংযোজন পিস্তলসহ মিছিলে অংশগ্রহণ। মিছিলের অগ্রভাগে পিস্তল নিয়ে তিনি যেভাবে মহড়া দিয়েছেন তা নিয়ে নিন্দার ঝড় বইছে চারদিকে। এমপির অনুসারীরা বলছেন, লাইসেন্স করা পিস্তল নিয়েই মিছিল করেছেন তিনি। কিন্তু বিশিষ্টজন বলছেন, লাইসেন্স থাকার পরও একজন জনপ্রতিনিধি এভাবে প্রকাশ্যে পিস্তল নিয়ে মিছিল করতে পারেন না। এখানে আইনের ব্যত্যয় হওয়ার পাশাপাশি নীতি ও নৈতিকতার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তাঁরা। গত সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সোমবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ এবং তাদের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো। চট্টগ্রামের বাঁশখালীতেও মিছিল করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। হাতে পিস্তল নিয়ে সেই মিছিলে অংশ নেন চট্টগ্রাম-১৬ আসনের (বাঁশখালী) সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। সূত্র: সমকাল

আরও ৬ খাত আসছে বাধ্যতামূলক রিটার্ন জমার আওতায়

করের আওতা বাড়াতে আরও অন্তত ৬টি খাতকে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতায় আনাছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আগামী জুনের বাজেট ঘোষনাকালে ফিন্যান্স বিল বা নতুন আয়কর আইনের মাধ্যমে এ বিধান যুক্ত করা হতে পারে বলে জানিয়েছে এনবিআর’র বাজেট সংশ্লিষ্ট সূত্র। বিদ্যমান ৩৮ ধরনের সেবার বাইরে নতুন করে ৬ ধরনের সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ‘প্রুফ অব সাবমিশন অব রিটার্ন’ বা পিএসআর বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। এনবিআরের পরিকল্পনা অনুযায়ী, নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা এনটিটি কর্তৃক পণ্য বা সেবা সরবরাহ গ্রহণকালে সরবরাহকারীর বা সেবা প্রদানকারীর পিএসআর বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। এই নির্দিষ্ট এনটিটি মূলত আয়কর আইন অনুযায়ী, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ফার্ম ইত্যাদি। এ তালিকায় আরও যুক্ত হতে পারে দলিল লেখক হিসেবে নিবন্ধনে; স্ট্যাম্প এবং কোর্ট ফি’র ভেন্ডর হিসেবে নিবন্ধনে, পৌরসভায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের জমি বিক্রয় এবং লিজ রেজিস্ট্রেশনের সময়। ভূমি ও ভবন লিজ রেজিস্ট্রেশনের সময়ও পিএসআরের শর্ত দেওয়া হতে পারে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

সিলেট সিটি নির্বাচন: নানা তৎপরতার পরও ভোটে বিএনপির প্রার্থীরা

নানামুখী তৎপরতার পরও সিলেটের কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে পারেনি বিএনপি। দলটির বেশ কয়েকজন নেতা কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিএনপিদলীয় বর্তমান সাত কাউন্সিলরের ছয়জনই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। শুরু থেকেই এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দিয়ে আসছে বিএনপি। দলটি সিটি মেয়র, এমনকি কাউন্সিলর পদেও দলীয় নেতাদের অংশ না নিতে নির্দেশনা দিয়েছে। তবে সিলেটে মেয়র পদে বর্তমান মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আরিফুল হক চৌধুরী প্রার্থী হতে পারেন বলে গুঞ্জন শুরু হয়। যদিও ২০ মে সমাবেশ করে প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দেন আরিফুল হক। এর আগের দিন সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের কথা জানান নগরের ৪ নং ওয়ার্ডের টানা চারবারের কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। তবে লোদী ছাড়া বিএনপির বর্তমান কাউন্সিলরদের কেউই নির্বাচন থেকে সরে আসেননি। গতকাল মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম, ২১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুর রকিব তুহিন।এর আগে সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেন মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৌফিকুল হাদী, ১৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনিম, ১৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এ বি এম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল। এ ছাড়া সংরক্ষিত ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর, সদ্য বিদায়ী সিলেট মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রোকসানা বেগম শাহনাজ এবার ২৫ নং ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সূত্র দৈনিক বাংলা।

কোটা নেই নারীরা আছেন

কোটা পদ্ধতি তুলে দেওয়ার পরও বিসিএস পরীক্ষায় নারীদের চাকরি পাওয়ার হার প্রায় একই রয়েছে। ১০ শতাংশ কোটা থাকা অবস্থায় তারা যে পরিমাণ চাকরি পাচ্ছিলেন, কোটা তুলে দেওয়ার পরও প্রায় একই হারে চাকরি পাচ্ছেন। সাধারণ ক্যাডার বা কারিগরি ক্যাডারে পিছিয়ে পড়লেও শিক্ষার মতো পেশাগত ক্যাডারগুলোতে এগিয়ে গিয়ে বিসিএসে মোট চাকরি পাওয়ার হারে প্রায় একই অবস্থান ধরে রেখেছেন নারীরা। অথচ কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় বলা হয়েছিল, কোটা তুলে দিলে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। প্রশাসনে নারীর অংশগ্রহণের গ্রাফ নিম্নমুখী হবে। আসলে তা হয়নি। কোটা তুলে দেওয়ার পরও তারা প্রায় সমানতালে এগিয়ে চলছেন।৪০তম বিসিএস দিয়ে চাকরিতে ঢুকে বর্তমানে ঢাকা বিভাগে কর্মরত একজন নারী কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, যে বয়সে ছেলেরা চাকরির জন্য প্রতিযোগিতা করে সেই বয়সে অধিকাংশ নারীকেই বিবাহিত জীবনে প্রবেশ করতে হয়। সংসার করে, সন্তান লালনপালন করে নারীরা ভালো প্রস্তুতি নিতে পারে না। ফলে অনেক মেধাবী নারী প্রতিযোগিতায় উতরে যেতে পারেন না। অনেক নারী পারিবারিক কারণে বিয়ের পর চাকরির আবেদনই করেন না। বিয়ের পর পরীক্ষায় অংশ নিতে বাধা আসে। এসব কাটিয়ে উঠে চাকরিতে প্রবেশ করা কঠিন। আর বিসিএসের চাকরি মানেই বদলিযোগ্য। সংসার-সন্তান রেখে বদলিকৃত পদে যোগ দেওয়া কঠিন বিষয়। সবকিছু মিলিয়ে নারীদের জন্য এ চাকরি সহজ নয়। একজন পুরুষ বেকার নারী বিয়ে করে, কিন্তু একজন নারী বেকার পুরুষ বিয়ে করে না। এ বিষয়টাও ছেলেদের প্রস্তুত হতে সাহায্য করে। এ বাস্তবতা থেকেও পুরুষ প্রতিযোগী বেশি হয়। অন্যদিকে যোগ্য হলেও অনেক নারী প্রতিযোগিতাই করে না।একজন নারী ইউএনও বলেন, পরীক্ষার হলে বা মৌখিক পরীক্ষার সময় অনেক নারীকে দুগ্ধপোষ্য সন্তানকে সঙ্গে আনতে হয়। এগুলোও অনেক সময় নারীকে চাকরির ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করে। ঘরে ঘরে বাধা পায় নারীর অগ্রযাত্রার নানা চেষ্টা। নগর-জীবনে নারীর অস্তিত্ব অনেকটা স্বচ্ছন্দের। কিন্তু নগরসভ্যতার বাইরে বিশাল বিস্তৃত গ্রামীণ জনজীবনে পুরুষতন্ত্রের নানা ধরনের অনাকাক্সিক্ষত বেষ্টনী এখনো নারীকে ধরাশায়ী করে রাখে। হাজার হাজার বছর ধরে পৃথিবীর পথ হাঁটছে নারী-পুরুষ। তবু তাদের মধ্যে ভারসাম্য নেই।কোটা না থাকার পরও নারীরা তাদের অবস্থান কীভাবে ধরে রাখলেন জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাইখ ইমতিয়াজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘নারী শিক্ষায় বাংলাদেশের অর্জন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। প্রাথমিকের পর মাধ্যমিকেও মেয়েরা অনেক এগিয়েছে। উচ্চশিক্ষায়ও মেয়েদের অংশগ্রহণের হার বেড়েছে। সবকিছু মিলে বিসিএসে এর প্রতিফল ঘটেছে। যে পরিমাণ মেয়ে উচ্চশিক্ষা নিচ্ছে, সেই তুলনায় চাকরিতে প্রবেশের হার বেশি। উচ্চশিক্ষায় যায় হয়তো ৮০ ভাগ ছেলে। আর মেয়েদের মধ্যে উচ্চশিক্ষায় যাওয়ার হার ৩০ বা ৩৫ শতাংশ। তাদের মধ্যে ২৬ বা ২৭ শতাংশ মেয়ে বিসিএস দিয়ে চাকরি পাচ্ছে। এদিক দিয়ে চিন্তা করলে মেয়েরা অনেক ভালো করছে।’ সূত্র; দেশ রুপান্তর

‘আয়কর রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে নতুন ছয় সেবার ক্ষেত্রে’

নতুন ছয় সেবায় বাধ্যতামূলক হচ্ছে রিটার্ন জমা- বণিকবার্তার শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়েছে, দেশে বর্তমানে ৩৮ ধরণের সেবায় রিটার্ন জমা দেয়া বাধ্যতামূলক। আসন্ন বাজেটে এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আরো নতুন ছয় সেবা। সব মিলিয়ে আগামি অর্থবছর থেকে মোট ৪৪ ধরণের সেবা নিতে আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দিতে হবে।বণিকবার্তার প্রতিবেদন মতে, নতুন সেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে স্ট্যাম্প, কোর্ট ফি ও কার্স্ট্রিজ পেপারের ভেন্ডর বা দলিল লেখক হিসেবে নিবন্ধন ও লাইসেন্স বা তালিকাভূক্তি ও তা বহাল রাখা, ভূমি, ভবন এবং অ্যাপার্টমেন্ট লিজ রেজিস্ট্রেশন, পৌরসভা এলাকায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের জমি বিক্রয়, হস্তান্তরত ও লিজ রেজিস্ট্রেশন ইত্যাদি।দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের শিরোনাম ‘Six more services to need proof of tax return.’এতে বলা হচ্ছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড করের আওতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে এবং এর অংশ হিসেবে ছয়টি নতুন সেবা পেতে রিটার্ন জমা দেয়ার প্রমাণপত্র দেখানো বাধ্যতামূলক করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।