আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১০ পূর্বাহ্ণ, জুন ৫, ২০২৩

ডিএমপির তথ্যভান্ডার
ঢাকায় ৬ হাজারের বেশি ছিনতাইকারী

পুলিশের হিসাবেই রাজধানী ঢাকায় ছয় হাজারের বেশি ব্যক্তি ছিনতাই ও ডাকাতির মতো অপরাধের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৭৩৭ জন ছিনতাই এবং ৪ হাজার ৪৬১ জন ডাকাতিতে জড়িত। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তৈরি করা কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডারে এসব অপরাধে জড়িত ব্যক্তিতদের পূর্ণাঙ্গ বৃত্তান্ত রয়েছে। এতে ঢাকার ৫০টি থানা এলাকায় ছিনতাই-ডাকাতিতে জড়িত ব্যক্তিদের তথ্য রয়েছে। পুলিশ সূত্র বলছে, ঢাকায় সাধারণত পথ আটকে অস্ত্রের মুখে টাকাপয়সা ও মূল্যবান মালামাল নিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় কোনো দলে পাঁচজনের কম থাকলে ছিনতাই আর পাঁচজন বা তার বেশি থাকলে ডাকাতির মামলা দেওয়া হয়ে থাকে। সেভাবেই তথ্যভান্ডারে অপরাধের ধরন উল্লেখ করা হয়েছে। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পুলিশের বিভাগ হিসেবে সবচেয়ে বেশি তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারী ও ডাকাত রয়েছে তেজগাঁও বিভাগে। সবচেয়ে কম মিরপুর বিভাগে। থানা হিসেবে ছিনতাইকারী ও ডাকাতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ভাটারা, শাহবাগ ও শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় (প্রতিটি থানায় ৩৪ জন করে)। এরপর রয়েছে হাজারীবাগ, মোহাম্মদপুর, বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, তেজগাঁও, রমনা, হাতিরঝিল ও উত্তরা পশ্চিম থানা। তথ্যভান্ডার অনুযায়ী, সবচেয়ে কম ছিনতাইকারী ও ডাকাতের নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে উত্তরখান, দক্ষিণখান ও উত্তরা পূর্ব থানায়। এই তিন থানা এলাকার ৬ জন করে মোট ১৮ জন তালিকাভুক্ত হয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো

দাবদাহ, লোডশেডিং জনজীবনে ছন্দঃপতন

গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহের মধ্যে দেশজুড়ে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন। মধ্যরাতেও লোডশেডিংয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে মানুষ। অনেকে গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। রাজধানী ঢাকায় গড়ে তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে।
ঢাকার বাইরের গ্রামাঞ্চলে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং হচ্ছে বলেও গ্রাহকদের অভিযোগ। দাবদাহ, লোডশেডিং জনজীবনে ছন্দঃপতনএ পরিস্থিতিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সিএনজি স্টেশনে এবং ফিলিং স্টেশনগুলোতে গতকাল রবিবার গ্যাস ও তেলের সংকট দেখা গেছে। অনেক ফিলিং স্টেশনের সামনে টানানো ছোট ব্যানারে লেখা ছিল, ‘তেল বন্ধ’। সিএনজি স্টেশনে লেখা ছিল ‘গ্যাসের চাপ কম’। বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তীব্র গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়লেও জ্বালানিসংকটে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সক্ষমতার চেয়ে কম বিদ্যুৎ উৎপাদন করায় দেশজুড়ে ব্যাপকভাবে লোডশেডিং করতে হচ্ছে। বর্তমানে বিদ্যুতের দৈনিক চাহিদা ১৬ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। কিন্তু বিপিডিবির ঘাটতি তৈরি হচ্ছে তিন হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত। বিশেষত মধ্যরাতে লোডশেডিং তীব্র হচ্ছে। সূত্র; কালের কণ্ঠ

বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাথমিক জ্বালানি আমদানি ব্যয়
৫ বিলিয়ন ডলারই কষ্টসাধ্য ২০ বিলিয়নের সংস্থান হবে কি?

দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা ও জ্বালানি তেল ফার্নেস অয়েল। এসব জ্বালানির বেশির ভাগই আমদানিনির্ভর। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে পরিমাণ জ্বালানি চাহিদার প্রয়োজন পড়ছে, তার বার্ষিক আমদানি ব্যয় প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার। বিপুল পরিমাণ এ জ্বালানি আমদানিতে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করতে হিমশিম খাচ্ছে জ্বালানি বিভাগ। আগামী ২০২৭ সাল নাগাদ নির্মাণাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো উৎপাদনে এলে বিদ্যমান জ্বালানির বাজারদর বিবেচনায় বছরে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলারের বেশি দরকার হবে।
জ্বালানিসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের বিদ্যমান বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনায় প্রয়োজনীয় ডলারের জোগান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগকে। নির্মাণাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো উৎপাদনে এলে জ্বালানি আমদানি বাবদ যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হবে, তার সংস্থান নিয়ে রয়েছে সংশয়। জ্বালানি নিরাপত্তায় টেকসই অর্থনীতি ও বাজেটে এ খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখার পরামর্শ দেন তারা।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর তথ্য অনুযায়ী, বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চালাতে বছরে প্রায় ছয় লাখ টন ফার্নেস অয়েল, এলএনজি ও কয়লা আমদানি করতে হয় জ্বালানি বিভাগকে। বছর শেষে হিসাব অনুযায়ী, এ অর্থের পরিমাণ প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার। সুত্র: বণিক বার্তা।

Nagad

বিদ্যুৎ সংকটের ব্যবচ্ছেদ
গত এক দশকের প্রাণান্তকর প্রচেষ্টার সুবাদে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের সব এলাকাকে বিদ্যুতের আওতায় আনার মাইলফলক অর্জন করে সরকার।

কিন্তু এই অর্জন উদযাপনের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হলো ইউক্রেন যুদ্ধ। এ যুদ্ধের প্রভাবে দেখা দিল জ্বালানি সরবরাহে বিঘ্ন। যার প্রভাব পড়েছে বিদ্যুৎ-সাফল্যের ওপর। দেশে আজ নজিরবিহীন প্রায় ২,৫০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে, যা নব্বইয়ের দশকের শেষদিকে মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের সমান। বিদ্যুৎ সংকটের কারণটা সোজাসাপটা। গ্যাস ও কয়লা আমদানির জন্য পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা নেই। ফলে দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা যেখানে ২৪,১৪৩ মেগাওয়াট, শনিবার সেখানে এই সক্ষমতার অর্ধেকের চেয়ে কিছু বেশি কাজে লাগানো গেছে। মোট ১৭০টি বিদ্যুৎ ইউনিটের মধ্যে শনিবার পূর্ণ সক্ষমতায় চলেছে মাত্র ৪৮টি, ৭৫টি চলেছে অর্ধেক সক্ষমতায়, এবং ৪৭টি ইউনিট অলস বসে ছিল। অলস বসিয়ে রাখা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকেও ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে। এছাড়া এই কেন্দ্রগুলো স্থাপনেও মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়েছে। এ কারণে এর আর্থিক প্রভাব বিশাল। সূত্র; বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

হত্যার ছকে এত নেতা
রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের উল্টো পাশটায় রেস্তোরাঁ ‘বার্ডস আই’। ২০২২ সালের ১৫ জানুয়ারি সেই রেস্তোরাঁর ছাদে বসে গোপন বৈঠক। ওই সময় পরিকল্পনাকারীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন বিদেশে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান ও ফ্রিডম মানিক। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত– মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুকে আর বাঁচিয়ে রাখা যাবে না। গেল বছর দেশজুড়ে বেশ আলোড়ন তুলেছিল টিপু হত্যাকাণ্ড। এ মামলার তদন্ত পুরোপুরি গুছিয়ে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ-কালের মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। অভিযোগপত্রে আসামি করা হচ্ছে ৩৪ জনকে। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও জাতীয় পার্টির একাধিক পদধারী নেতা আসামির তালিকায় থাকছেন। আছেন সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরও। হত্যাকাণ্ডে কার কী ভূমিকা ছিল, তা তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। তদন্ত-সংশ্লিষ্ট একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র থেকে গতকাল রোববার এসব তথ্য মিলেছে। সূত্র; সমকাল

দাবদাহে পুড়ছে দেশ প্রাইমারি স্কুলে ছুটি
এপ্রিলজুড়ে তীব্র দাবদাহ ভুগিয়েছে দেশবাসীকে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছাড়িয়েছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মে মাসে ঝড়বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও জুনে এসে ফের খরতাপে পুড়ছে দেশ। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে ৪১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এপ্রিলের তুলনায় জুনে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় গরম অনুভূত হচ্ছে বেশি। শরীরে প্রচুর ঘাম হচ্ছে, যা অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। একই সঙ্গে প্রচ- গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লোডশেডিং বাড়ায় দুর্ভোগের মাত্রা আরও বেড়েছে। বর্তমানে দেশের অর্ধেকের বেশি জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা আরও পাঁচ-ছয় দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। দাবদাহের কারণে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আজ থেকে ৮ জুন পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে গতকাল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

তীব্র গরমে লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন
সিন্ডিকেটে জিম্মি বিদ্যুৎ খাত

অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত বিদ্যুৎ প্রকল্পই এখন সরকারের গলার কাঁটা। জ্বালানি সংকটে প্রকল্পগুলো মুখ থুবড়ে পড়েছে। একই সঙ্গে বন্ধ থাকার পরও গুনতে হচ্ছে ক্যাপাসিটি চার্জ। আর ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দেখা দিয়েছে তীব্র দাবদাহ এবং চরম লোডশেডিং। সবমিলে এই মুহূর্তে বিদ্যুৎই সরকারকে বড় ধরনের অস্বস্তিতে ফেলেছে। কতদিনে এই অস্বস্তি দূর হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না কেউ। তবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে এই অবস্থা থেকে যেন বের হয়ে আসা যায়, সেই চেষ্টা করছি।’ রোববার সচিবালয়ে তিনি এ কথা বলেন। এতে স্পষ্ট-জ্বালানি সংকটের কারণে চলমান লোডশেডিং আরও কিছুদিন থাকবে।বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিদ্যুতের এই চরম লোডশেডিংয়ে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে রেন্টাল আর কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল থেকে আবারও বিদ্যুৎ কেনা শুরু করেছে সরকার। পাশাপাশি তাদের ক্যাপাসিটি চার্জও দিতে হচ্ছে। ডলার সংকটে কয়লা কিনতে না পারায় আজ থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিদ্যুত খাতের মেগা প্রকল্প পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র। এতে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কমে যাবে জাতীয় গ্রিড থেকে। বন্ধ পায়রার জন্যও গুনতে হবে কোটি কোটি টাকার ক্যাপাসিটি চার্জ। খাতসংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বড় ধরনের সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ সেক্টর-সূত্র: যুগান্তর

ভোটে আস্থা ফেরাচ্ছে গাজীপুর
গত প্রায় ১৪ বছর ধরে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে ভোটারদের মধ্যে এক ধরনের আস্থার সংকট ছিল। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর তা কাটতে শুরু করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বিশেষ করে, এ নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ ও সাধারণ মানুষ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারায় বাকি চারটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়েও আগ্রহ আলোচনা তৈরি হয়েছে। নিজেদের ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হচ্ছেন এমন আস্থা ফিরে পেতে ভোটাররা ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবেন বলে আশা বিশেষজ্ঞদের। রাজনৈতিক ও নির্বাচনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ২০১৪ ও ’১৮ সালে একতরফা জাতীয় সংসদ নির্বাচন। গত বছর ও তার আগের বছর অনুষ্ঠিত স্থানীয় নির্বাচনগুলো ছিল গোলযোগপূর্ণ। আস্থার সংকটের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা ঝুঁকিও ছিল। প্রার্থী নিখোঁজ হওয়া, হামলা, প্রতিপক্ষ প্রার্থীর এজেন্ট বের করে দেওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ, ভোটারকে সুযোগ না দিয়ে কেন্দ্রের গোপন কক্ষে থাকা ব্যক্তির ভোট দিয়ে দেওয়া এবং ভোট গণনার শেষ মুহূর্তে ফল পাল্টে দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ নির্বাচনী সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। গত ১৪ বছর ধরে এমন একটা পরিবেশ বিরাজ করছে যেন ভোটের ফল মানুষের আগেই জানা ছিল। ফলে সাধারণ ভোটাররা কেন্দ্রে যেতে আগ্রহী ছিলেন না। এতে ভোটার উপস্থিতিও ছিল অনেক কম। দেশের নির্বাচনী রাজনীতিতে কিছু অমীমাংসিত বিষয় তো রয়েছেই। রাজনৈতিক দলগুলোর সমস্যা নিরসনে ইসি মুখে বললেও কার্যকর কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি। বরং ভোটার উপস্থিতি নিয়ে নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন সময় নানান কথা বলেছে। সাধারণ জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ভোটের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নানান উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানা গেছে।জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ইসির যে বিধান রয়েছে সেটি মেনেই নির্বাচনগুলোতে সব প্রস্তুতি নিয়ে থাকি। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমরা যে প্রস্তুতি নিয়েছি সেটি অন্য চারটি নির্বাচনেও অব্যাহত থাকবে। বরং আমরা চেষ্টা করছি যেসব ভুলত্রুটি ছিল সেগুলো সংশোধন করার। ফলে ভোটাররা নিঃসংকোচে ভোট দিয়েছে, সামনের নির্বাচনগুলোতেও দিতে পারবে।’ সূত্র: দেশ রুপান্তর

চায়ের উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন

একসময় বিদেশে প্রচুর পরিমাণ চা রপ্তানি করলেও কয়েক বছর ধরে চা আমদানি করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। বলা হচ্ছে, দেশে চায়ের চাহিদা বাড়ার কারণে আমদানি করতে হচ্ছে বেশি।এ অবস্থায় চায়ের উচ্চফলনশীল (বিটি-২৪) নতুন ধরন আবিষ্কার নিয়ে গবেষণা করছে বাংলাদেশ টি রিচার্স ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই)। সবকিছু ঠিক থাকলে এ বছরে অবমুক্ত হবে নতুন এ জাতটি। আর নতুন এ চায়ের জাত নিয়ে দেশে মোট চায়ের জাত হবে ২৪টি।বিটি-১ চা বিটিআরআই উদ্ভাবিত প্রথম চা, যেটি ১৯৬৬ সালে অবমুক্ত করা হয়। সর্বশেষ ২০২১ সালে অবমুক্ত হয় (বিটি-২৩)। আগামী চা দিবসকে কেন্দ্র করে নতুন উচ্চফলনশীল জাতের গবেষণার পাশাপাশি বিশ্বমানের চা তৈরিতে চায়ের উন্নত প্যাকেজিং নিয়ে কাজ করছে বিটিআরআই ।বাংলাদেশ চা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে দেশে চায়ের চাহিদা ৯০ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন কেজি থাকলেও ২০১৯ সালে বেড়ে তা হয় ৯৫ দশমিক ২০ মিলিয়ন কেজি। ২০২০ চাহিদা আরও বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ১০০ দশমিক ২০ মিলিয়ন কেজি।এদিকে দেশে ২০১৮ সালে উৎপাদন হয় ৮২ দশমিক ১৩ মিলিয়ন কেজি চা, যা পর্যায়ক্রমে ২০১৯ সালে ৯৬ দশমিক শূন্য ৭, ২০২০ সালে ৮৬ দশমিক ৩৯, ২০২১ সালে ৯৬ দশমিক ৫১ এবং ২০২২ সালে ৯৩ দশমিক ৮৩ কেজিতে দাঁড়ায়। তবে চায়ের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বিদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে চা আমদানি করতে হচ্ছে বিভিন্ন প্রাইভেট কোম্পানিকে। ২০১৯ সালে ২ দশমিক ৭৩ মিলিয়ন কেজি, ২০২০ সালে শূন্য দশমিক ৬৮, ২০২১ সালে শূন্য দশমিক ৭৪ এবং সর্বশেষ ২০২২ সালে ১ দশমিক শূন্য মিলিয়ন কেজি চা আমদানি করা হয়। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

‘জাপা জোট করবে কিনা জানতে চায় যুক্তরাষ্ট্র’

জাপা জোট করবে কিনা জানতে চায় যুক্তরাষ্ট্র- দৈনিক সমকাল পত্রিকার শিরোনাম এটি। খবরটিতে বলা হয়েছে, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সাথে বৈঠক করেছেন সংসদের বিরোধীদল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
গতকাল রোববার বিকেলে মার্কিন দূতের গুলশানের বাসভবনে ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক হয়। বৈঠকে জাপার নির্বাচন পরিকল্পনা, আগামি নির্বাচনে জোট করবে কিনা তা জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৈঠকে অংশ নেয়া জাপা চেয়ারম্যানের বিশেষ দূত মাশরুর মওলাকে উদ্ধৃত করে খবরটি প্রকাশ করেছে সমকাল। একই ঘটনা নিয়ে দৈনিক কালবেলার শিরোনাম, ‘নির্বাচন নিয়ে চাপ আছে কিনা না জানতে চেয়েছেন পিটার হাস’। এতে বলা হয়েছে, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলগুলোর উপর সরকারের চাপ আছে কি না তা জানতে চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র: বিবিসি বাংলা।