প্রস্তুত বঙ্গবন্ধু টানেল

নদীর নিচ দিয়ে তৈরি বঙ্গবন্ধু টানেল, অপেক্ষা উদ্বোধনের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৩:৩০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৯, ২০২৩

স্বপ্নের পদ্মাসেতু, প্রথম মেট্রোরেলের উদ্বোধন দেখে ফেলেছে দেশবাসী। এবার অপেক্ষা আরেক মাহেন্দ্রক্ষণের। কারণ কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে যান চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। আগামী ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটির উদ্বোধন করবেন। যান চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।

শনিবার (১৯ আগস্ট) টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ গণমাধ্যমকে জানান, টানেলের রাস্তা ও অ্যাপ্রোচ সড়কসহ যাবতীয় কাজই শতভাগ শেষ হয়েছে। শুধু বাকি রয়েছে সার্ভিস এরিয়ার কিছু কাজ। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। আগামী ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানেলের উদ্বোধন করবেন।

টানেলটি যোগাযোগের পাশাপাশি দক্ষিণ চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটাবে বলে আশা বিশেষজ্ঞদের।

মাল্টিলেন টানেলটি সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরকে আনোয়ারা উপজেলার সঙ্গে যুক্ত করার মাধ্যমে সরাসরি কক্সবাজারকে চট্টগ্রামের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, এই টানেল চালুর পর কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ের অর্থনৈতিক চিত্র বদলে যাবে, যা দেশের প্রবৃদ্ধিতে অনন্য অবদান রাখবে।

বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ অর্থায়নে টানেল প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। শুরুতে ৮ হাজার ৪৪৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু নির্মাণসামগ্রীসহ ডলারের দাম বৃদ্ধিতে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৫৩৮ কোটি ৪২ লাখ টাকায়।

প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নদীর তলদেশে নির্মিত এই টানেলের কাজ প্রায় শেষ। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরে টানেলটি নির্মাণ করা হয়েছে এবং এর মূল দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার।

Nagad

চার লেন বিশিষ্ট দুটি টিউবের প্রতিটির দৈর্ঘ্য হচ্ছে ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। মূল টানেলের পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক এবং আনোয়ারা প্রান্তে একটি ৭২৭ মিটার ফ্লাইওভার থাকছে।

টানেল প্রকল্পে রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায় করবে চীনা কোম্পানি। ২০২২ সালের ১৮ মে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ কাজের জন্য চায়না কমিউনিকেশন্স কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডকে (সিসিসিসি) নিয়োগের প্রস্তাব নীতিগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বন্দরনগরীকে চীনের সাংহাই নগরীর মতো ‘ওয়ান সিটি, টু টাউন’ মডেলে পরিণত করতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ও আনোয়ারা উপজেলাকে সংযুক্ত করতে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে এই টানেল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে।