রাগ-ক্ষোভ থেকেই এনবিআর কর্মকর্তা মাসুমা খাতুন অপহরণ: র‌্যাব

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:৫৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৬, ২০২৩

ছবি- সংগৃহীত

রাগ ও ক্ষোভ থেকেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) যুগ্ম-কমিশনার মাসুমা খাতুনকে অপহরণের পরিকল্পনা করেন সাবেক স্বামী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, সাবেক ড্রাইভার মাসুদের নেতৃত্বে অপহরণ মিশনে অংশ নেয় সাতজন। গত ১৭ আগস্ট অপহরণের রাতে তাকে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকার একটি গ্যারেজে নেওয়া হয় এবং সেসময় গাড়িতেই তাকে মারধর করা হয় বলে জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান।

অপহরণ ও নির্যাতনের ওই ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি মাসুম ওরফে মাসুদসহ জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- মো: মাসুম ওরফে মাসুদ (৪২), আব্দুল জলিল ওরফে পনু (৪৮) এবং হাফিজ ওরফে শাহনি (৪৮)।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গত ১৭ আগস্ট রাত সোয়া ৮টার দিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একজন যুগ্ম কর কমিশনার রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে অপহৃত হন। অপহরণের ১৮ ঘণ্টা পর গত ১৮ আগস্ট রাজধানীর মাদারটেক এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী নিজেই তার সাবেক গাড়িচালক মাসুদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। আটক সাইফুল ইসলাম, আবু বকর সিদ্দীক ও ইয়াছিন আরাফাত ওরফে রাজুকে গ্রেপ্তার দেখায় রমনা থানা পুলিশ। তবে এই ঘটনায় জড়িত শান্ত পলাতক।

র‌্যাব জানায়, শুক্রবার (২৬ আগস্ট) গভীর রাতে মামলার প্রধান আসামি মাসুম ওরফে মাসুদ সহযোগী আব্দুল জলিল ও হাফিজকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মাসুদ আগে ভুক্তভোগীর ব্যক্তিগত গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ১ আগস্ট ব্যক্তিগত শৃঙ্খলাজনিত কারণে ভুক্তভোগী তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেন। ফলে গ্রেপ্তার মাসুদের মধ্যে ভুক্তভোগীর প্রতি ব্যক্তিগত ক্ষোভ ও আক্রোশের জন্ম হয়।

র‌্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার মাসুদ জানান, তাকে চাকরিচ্যুতির পর ভুক্তভোগীর প্রথম স্বামী হারুন অর রশিদের সাথে যোগাযোগ করেন। ভুক্তভোগী নারী কর কর্মকর্তাকে উচিত শিক্ষা দিতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য মাসুদকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখানো হয়। হারুন এজন্য অগ্রিম ৭০ হাজার টাকা দেন। কাজের পরে তাকে আর ড্রাইভিং করতে হবে না ও উন্নত জীবনযাপন করার সব ব্যবস্থা করে দেবেন বলে আশ্বাস দেন।

Nagad

গত ১৫ আগস্ট রাজধানীর সবুজবাগ এলাকায় মাসুদ তার পরিচিতি হাফিজ, পনু, রাজু, সাব্বির, সাইফুল ও শান্তকে পরিকল্পনার কথা জানান ও সবাইকে টাকা ভাগ করে দেন। তারা রাজধানীর বেইলী রোড এলাকা থেকে ভুক্তভোগীকে অপহরণের সিদ্ধান্ত নেয়। ভুক্তভোগীর বর্তমান গাড়িচালকের সাথে গ্রেপ্তার করা হাফিজের সুসম্পর্ক থাকায় ভুক্তভোগীর অবস্থান গাড়িচালক থেকে জেনে মাসুদকে জানান।

সারাদিন/২৬ আগস্ট/এমবি