ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০৮ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৯, ২০২৩

ছবি- সংগৃহীত

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) ভোরে দেশটির অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র বালিসহ লম্বক অঞ্চলে এ ভূমিকম্প হয়।

ইউরোপিয়ান-মেডিটেরিনিয়ান সিমোলজিক্যাল সেন্টারের (ইএমএসসি) বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানায় একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। অবশ্য ইন্দোনেশিয়া ও মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সংস্থাগুলো জানিয়েছে, এ ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ দশমিক ১ ছিল। এদিকে, এ ঘটনায় কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করেনি দেশটির সরকার।

ইএমএসসি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ইন্দোনেশিয়ার মাতারাম থেকে ২০৩ কিলোমিটার (১২৬ মাইল) উত্তরে এবং ভূপৃষ্ঠের ৫১৬ কিলোমিটার নীচে খুব গভীরে।

ইন্দোনেশিয়া এবং মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সংস্থাগুলো অবশ্য মঙ্গলবার ভোরে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা ৭.১ ছিল বলে জানিয়েছে। এই ঘটনায় কোনোও ধরনের সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়নি।

ইন্দোনেশিয়ার ভূতাত্ত্বিক সংস্থা অনুসারে, বালি এবং লম্বকের উপকূলীয় অঞ্চলজুড়ে আগাত হানা ভূমিকম্পটি মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ভোর ৪ টার আগে অনুভূত হয়। এরপরে ৬.১ এবং ৬.৫ মাত্রার আরও দুটি ভূমিকম্প অনুভূত হয় ওই অঞ্চলে।

এদিকে ভূমিকম্পের জেরে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি বলে ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ সংস্থা বিএনপিবি জানিয়েছে। বিএনপিবি মুখপাত্র আব্দুল মুহারী বলেন, ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠের অনেক গভীরে আঘাত হেনেছে, তাই এটি হয়তো ধ্বংসাত্মক হয়নি।

Nagad

এর আগে গত বছরের ২১ নভেম্বর ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা প্রদেশে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেবার প্রাথমিকভাবে ৫৬ জনের প্রাণহানির তথ্য জানানো হয়। পরে ওই ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা ৩১০ জনে পৌঁছায়।

এছাড়া ২০০৯ সালে দেশটির পাদাং শহরে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই দুর্যোগে এক হাজার ১০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারায়, আহত হয় আরও অনেকে। পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।