আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
শীর্ষ সন্ত্রাসীদের কেউ বিদেশে, কেউ পলাতক থেকে নিয়ন্ত্রণ করছেন ঢাকার অপরাধজগৎ
শীর্ষ সন্ত্রাসীদের কেউ কারাগারে বসে, কেউ বিদেশে থেকে ঢাকার অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করছেন। এই নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে তাঁদের সহযোগীরা প্রতিপক্ষের সঙ্গে বিরোধে জড়াচ্ছেন, ঘটাচ্ছেন খুনখারাবিও। সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পাওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈদ মামুনের ওপর হামলার ঘটনায় ঢাকার অপরাধজগৎ নতুন করে আলোচনায় এসেছে। কারাবন্দী আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের সহযোগীরা ওই হামলা চালিয়েছেন বলে তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর মামুনের ওপর হামলার এক দিন আগে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী নাঈম আহমেদ টিটন জামিনে মুক্তি পান। দুই দশক তিনি কারাবন্দী ছিলেন। টিটন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের শ্যালক। টিটনের মুক্তির চার দিন পর ২২ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী খোরশেদ আলম রাসু। কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার পর তাঁরা নতুন করে আরও কোনো সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, জমি-বাড়ি দখল, কেব্ল টিভি ও ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করেই মূলত বিরোধে জড়ান শীর্ষ সন্ত্রাসীরা। সূত্র: প্রথম আলো


৩০ অবৈধ ইউ টার্নে ত্রিশাল মৃত্যুফাঁদ
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ত্রিশাল উপজেলার বগামারী থেকে বগারবাজার পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার। এটুকু পথে আছে ৩০টির বেশি অবৈধ ইউ টার্ন। এসব ইউ টার্নের বেশির ভাগই পাঁচটি এলাকায়। এর একটি চেলেরঘাট। গত বুধবার সেখানে বেপরোয়া এক বাসের চাপায় ছয়জন পোশাককর্মীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে গত তিন বছরে মহাসড়কের এই অংশে ৫০টির বেশি সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে।অবৈধ ইউ টার্ন ছাড়াও মহাসড়কের পাশে যত্রতত্র বাস-ট্রাক রাখা এবং উল্টো পথে তিন চাকার যান চলাচলকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বলে মনে করছে স্থানীয় লোকজন। তারা বলছে, এসব ইউ টার্নে যখন-তখন গাড়ি ঘুরছে।এতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। আবার ময়মনসিংহ শহর থেকে ভালুকার নাসির গ্লাস পর্যন্ত মহাসড়কের আশপাশে কোনো বাসস্ট্যান্ড নেই। পুরো মহাসড়কে যত্রতত্র বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন রাখা হচ্ছে। এতে সড়ক সরু হয়ে পড়েছে। সূত্র কালের কণ্ঠ
গ্রেফতার রায় আতঙ্কে বিএনপি
বিচারাধীন মামলা শেষ হচ্ছে পুরনো নাশকতা মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করছে পুলিশ
আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আবারও মামলা ও রায় আতঙ্কে পড়েছে বিএনপি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই দলের গুরুত্বপূর্ণ অনেক নেতাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিএনপি। এ সম্পর্কে দলীয় সূত্র বলছে, পুরনো, অচল ও স্থগিত মামলা সচল করে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। নাশকতার মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করছে পুলিশ। দলটির নীতিনির্ধারকদের মতে, সরকারের পরিকল্পনার মধ্যে আছে বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা ও আটকে রাখা, যাতে তারা কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন। অর্থাৎ বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করে নিজেদের ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করাটাই সরকারের একমাত্র উদ্দেশ্য। এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করার ব্যাপারে সরকারের এই মহাপরিকল্পনা আগে থেকেই রয়েছে। একটা মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় আদালতের মাধ্যমে ফরমায়েশি রায় ও সাজা দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে। পুরনো, স্থগিত ও অচল মামলাগুলো সচল করে দ্রুত রায় ও সাজা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
বেরিয়ে আসছে ব্যাটারদের হতশ্রী চেহারা
নিউজিল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটের হার
একটু ভালো খেলা, জয় এবং স্বপ্নে বেঁচে থাকা; ক্রিকেটার, সমর্থক সবারই চাওয়া তাই। বিশ্বকাপ কখনও এই চাওয়ায় রং ছিটায়, কখনও ধূলিকণা। বাংলাদেশের স্বপ্নের রং যেমন ফিকে হতে শুরু করেছে পরাজয়ের ধুলাবালিতে। টানা দুই হারে নিম্নমুখী পয়েন্ট টেবিল। তিন ম্যাচ খেলে দুটিতেই পরাজিত টাইগার বাহিনী। চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের পর রানার্সআপ নিউজিল্যান্ডের কাছেও জুটেছে বড় হার। গতকাল চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে কেন উইলিয়ামসন আর ড্যারেল মিচেলের পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংসে ৮ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। আইপিএল খেলার সময় এই ভারত থেকে চোট নিয়ে সাত মাস আগে ক্রিকেট থেকে ছিটকে যেতে হয়েছিল কেন উইলিয়ামসনকে। হাঁটুর এসিএল লিগামেন্ট প্রতিস্থাপন করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরলেন ভারত থেকেই। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে কেন দেখালেন তিনি এখনও অপ্রতিরোধ্য। রিটায়ার্ড হার্ট হতে না হলে আন্তর্জাতিক প্রত্যাবর্তনকে শতকে স্মরণীয় করে রাখতে পারতেন। হাতের আঙুলে বলের আঘাত তা হতে দেয়নি। ব্যথা নিয়ে ৭৮ রানে মাঠ থেকে স্বেচ্ছায় উঠে গেলেন অধিনায়ক। তিনি ছিটকে গেলেও নিউজিল্যান্ড ভালোভাবে টিকে থাকে ম্যাচে ড্যারেল মিচেলের দৃঢ়তায়। ছয়টি চার ও চার ছক্কায় ৬৭ বলে ৮৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে ৪৩ বল হাতে রেখেই দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। সূত্র: সমকাল
অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলা
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ চার অগ্রাধিকার নীতি ঘোষণা
বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ বৈঠক: পুনরুদ্ধার করতে হবে রাজস্ব খাত * বাড়াতে হবে মধ্যমেয়াদি প্রবৃদ্ধি * আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষা জরুরি
বাংলাদেশসহ বিশ্বের স্বল্প আয়ের দেশগুলোতে অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াইসহ চারটি অগ্রাধিকার নীতি ঘোষণা করেছে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ। অন্য নীতিগুলো হচ্ছে-আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষা, রাজস্ব আদায় এবং মধ্যমেয়াদে প্রবৃদ্ধি বাড়ানো। মরক্কোতে অনুষ্ঠিত বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ’র চলমান বার্ষিক বৈঠকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। সেখানে আইএমএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, নতুন করে স্বাভাবিক হয়ে উঠছে বিশ্বের দুর্বল প্রবৃদ্ধি ও অর্থনীতির গতি। যদিও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অনেক দেশের অর্থনীতিতে ক্ষতি করেছে এবং চরম দুর্ভোগে ঠেলে দিয়েছে মানুষের জীবনকে।বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ’র মতে, অগ্রাধিকার নীতিগুলো সংশ্লিষ্ট দেশে স্মার্টভাবে সংস্কার করতে পারলে অর্থনীতিতে স্বল্পমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে। যার সুফল হিসাবে অনেক দেশের প্রবৃদ্ধি আগামী চার বছরের মধ্যে ৮ শতাংশের ঘরে পৌঁছে যেতে পারে।প্রসঙ্গত, বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির আসর বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ বৈঠক গত ৯ অক্টোবর থেকে মরক্কোতে শুরু হয়। আগামী ১৫ অক্টোবর এ বৈঠক শেষ হবে। বৈঠকের পঞ্চম দিনে সংকটের মুখ থেকে অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারে চারটি অগ্রাধিকার নীতি ঘোষণা দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, এখন বিশ্ব অর্থনীতি কিছুটা স্থিতিশীলতার পথে হাঁটছে। মূল্যস্ফীতি পর্যায়ক্রমে কমছে। এই মুহূর্তে সামষ্টিক অর্থনীতিকে স্থিতিশীলতা রাখা এবং ঋণের স্থিতিস্থাপককে শক্তিশালী করাই এখন চ্যালেঞ্জ। বৈঠকে আইএমএফ’র পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে প্রবৃদ্ধি কম থাকবে। ২০২০ সালের পর থেকে অর্থনীতিতে নানা ধাক্কায় বিশ্বব্যাপী জিডিপির তিন লাখ ৬০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিুআয়ের অর্থনীতির দেশগুলো। কারণ তাদের হাতে সম্পদের পরিমাণ কম ছিল। ফলে অর্থনীতি ও মানুষের দুর্ভোগ রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে। সূত্র: যুগান্তর
সংলাপ নিয়ে ইতিবাচক বিএনপি
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আলোচনার পরিবেশ সৃষ্টি হলে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সংলাপে বসার বিষয়ে ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে বিএনপি। দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অন্ততপক্ষে দুটি বিষয়ে সরকার নমনীয় হলে সংলাপ বা আলোচনার ব্যাপারে আন্তরিকতা দেখাবেন তারা। এ দুটি বিষয় হচ্ছে ‘নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার’ ও ‘চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তি’। বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা দেশ রূপান্তরকে বলেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার অনুমতি দিয়ে বিদেশে পাঠানোর সুযোগ তৈরির মাধ্যমে সেই আলোচনা শুরু হতে পারে বলে মনে করেন তারা। সম্প্রতি বিদেশি দেশগুলোর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির নেতারা এ মনোভাব পোষণ করেছেন। তবে যেহেতু ২০১৪ ও ’১৮ সালের সংলাপ নিয়ে তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাই বর্তমান রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে ‘সতর্ক’ভাবে পা ফেলতে চাইছে দলটি। কেননা, তারা এবার সরকারের কৌশলের কাছে ধরাশায়ী হতে চায় না।বিএনপিদলীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বরাবরই বিদেশি শক্তিগুলো পরামর্শ দিয়ে থাকে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখেও একই প্রক্রিয়া চলমান। সুত্র: দেশ রুপান্তর
ফার্মগেট এখন মেট্রোপলিটন ট্রাফিকের বড় উদ্বেগ
ঢাকার প্রাণকেন্দ্র ফার্মগেট। রাজধানীর বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াতকারীদের এ মোড় ব্যবহার করতে হয়। আবার এলাকাটিও গড়ে উঠেছে বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকার সমন্বয়ে। মানুষ ও যানবাহনের চলাচল বেশি হওয়ায় এখানে যানজটও বেশি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের তথ্য বলছে, গত ২ সেপ্টেম্বর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালুর পর থেকে এখান দিয়ে প্রতিদিন চলাচলকারী যানবাহনের সংখ্যার সঙ্গে নতুন করে আরো পাঁচ হাজার যুক্ত হয়েছে। আগামী ২৯ অক্টোবর মেট্রোরেলের ফার্মগেট স্টেশন চালু হলে এখান দিয়ে আরো প্রায় ৫০ হাজার মানুষের চলাচল বাড়বে। যানবাহন ও জনসমাগম বাড়লেও ফার্মগেটের সড়ক অবকাঠামোর উন্নয়ন হয়নি। উল্টো প্রকৌশলগত ত্রুটির কারণে সংকুচিত হয়ে পড়েছে সড়ক ও মানুষের চলার পথ। এ পরিস্থিতিতে স্টেশনটি চালুর পর ফার্মগেটে যানজট আরো তীব্র আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা করছে রাজধানীর ট্রাফিক বিভাগ। সূত্র; বণিক বার্তা।
হাতিয়ায় কৃষি কর্মকর্তার উপস্থিতিতেই বাড়তি দামে সার কিনতে হলো কৃষককে
৫০ কেজির এক বস্তা ইউরিয়া সারের সরকার-নির্ধারিত দাম ১ হাজার ৩৫০ টাকা। অথচ নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় তা বিক্রি হয়েছে দেড় হাজার টাকায়। অভিযোগ উঠেছে, এই বাড়তি দাম নেওয়া হয়েছে হাতিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল বাছেদ সবুজের উপস্থিতিতে। তবে তাঁর দাবি, দেড় হাজার নয়, মনিটরিং কমিটির নির্ধারিত দাম ১ হাজার ৪৭০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। হাতিয়ার তমরুদ্দি বাজারে গত বুধবার বিকেলে এক কৃষকের ধারণ করা ভিডিওতে সার ডিলারের দোকানে কৃষি কর্মকর্তা বাছেদকে সারের জন্য টাকা নিয়ে কৃষকদের টোকেন দিতে দেখা যায়। এ সময় সার ডিলার মোসলেউদ্দিন নিজাম যাঁদের কাছে ভাংতি নেই তাঁদের খুচরা রেখে যেতে বলছিলেন। ভিডিওটি আজকের পত্রিকার কাছেও এসেছে। সূত্র: আজকের পত্রিকা।
‘সরকার যে রেট দেয় এটার কোন মূল্য নাই’
গত মাসে সরকার যখন দেশের ইতিহাসে প্রথমবার ডিম-আলু-পেঁয়াজের মতো কয়েকটি পণ্যের দাম নির্ধারিত করে, তখন সেটি যেমন অনেককে আশান্বিত করেছিল, তেমনি এর বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় প্রকাশের লোকেরও অভাব ছিল না। আর এরপর মাস পার না হতেই সংশয় যেন সত্যি মনে হচ্ছে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী প্রতি পিস ডিমের দাম কোনভাবেই ১২ টাকার বেশি হবে না। অথচ ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাদের এখন ডিম কিনতেই খরচ পড়ছে ১২ টাকার উপর। বৃহস্পতিবার বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি ডজন ডিম কিনতে ক্রেতাদের খরচ হচ্ছে ১৬০ টাকার মতো।আলুর বাজারেও একই অবস্থা। সরকারের ৩৫টাকা কেজি মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া আলুর সর্বনিম্ন মূল্য এখন ৫০ টাকা।আলুর যখন হাফসেঞ্চুরি তখন সেঞ্চুরির পথে পেঁয়াজ। সরকারের ঠিক করে দেয় দেশি পেঁয়াজের বিক্রয়মূল্য হবে ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা, কিন্তু এখন তা ৯০ টাকা ছাড়িয়েছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
সবজি কিনতেই হিমশিম, ডিম ও মুরগির দামও বেড়েছে
সবজির এক দোকান থেকে আরেক দোকানে, তারপর আরেক দোকানে। উদ্দেশ্য একটাই কোনো দোকানে সবজির দাম একটু কম পাওয়া যায় কি না? কিন্তু নাহ্, সব দোকান ঘুরেও প্রায় একই দাম। অনেকটা হতাশার সুরে গতকাল শুক্রবার রাজধানীর তুরাগ এলাকার নতুন বাজারে বাজার করতে আসা নজরুল ইসলাম বললেন, সবজির এত দাম! একমাত্র পেঁপে ছাড়া ৭০/৮০ টাকা কেজির নিচে কোনো ধরনের সবজি নেই। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে শীতের আগাম সবজিখেত নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে হঠাৎ করেই রাজধানীর বাজারে সবজির সরবরাহ কমে গেছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোন কোন সবজির দাম কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।গতকাল রাজধানীর কাওরানবাজার, তুরাগ এলাকার নতুন বাজার ও শান্তিনগর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন ধরনের সবজির মধ্যে বরবটি ১০০ থেকে ১১০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ, পটোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, মূলা ৮০ টাকা, করলা, ঝিঙে, কাঁকরোল, চিচিঙ্গা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, বেগুন ১০০ থেকে ১৩০ টাকা, কচুরমুখী, কচুর লতি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, টম্যাটো ১০০ থেকে ১১০ টাকা, নতুন শিম ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, কাঁচামরিচ ২০০ থেকে ২৪০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ছোট আকারের একটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।সূত্র: ইত্তেফাক