স্ত্রীকে হত্যা: বিদেশে যাওয়ার আগ মুহূর্তে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

নওগাঁ সংবাদদাতা:নওগাঁ সংবাদদাতা:
প্রকাশিত: ৮:০২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০২৩

স্ত্রীকে হত্যার ১২ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জিয়াউর রহমানকে (৩৭) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যা করে দীর্ঘ ৯ বছর পলাতক ছিলেন তিনি। ওই ঘটনায় করা মামলায় সম্প্রতি আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। রায়ের বিষয়টি জানতে পেরে মালয়েশিয়া পালিয়ে যাচ্ছিলেন জিয়াউর রহমান। কিন্তু বিমানে চড়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েন তিনি।

শনিবার (২১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিয়াউর রহমান বগুড়ার শিবগঞ্জের শোলাগাড়ী গ্রামের তোজাম্মেল হকের ছেলে।

র‍্যাব জানায়, ২০১১ সালে জিয়া তার চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মিনা আক্তার লিপিকে যৌতুকের জন্য শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে নিহত লিপির বাবা লতিফুল বারী তবলু বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন। বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত ২০২৩ সালের আগস্টে জিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দেন। ওই মামলায় ২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন। জামিনে ছাড়া পেয়ে তিনি দুই বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিচয় বদলে বসবাস করেন।

২০১৮ সালে এক দালালের মাধ্যমে অবৈধপথে ভারতে পালিয়ে যান জিয়া। সেখানে তামিলনাড়ুতে মো. জিয়া নামে ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়ে রেশন, আধারকার্ড, আইকার্ড ও অন্যান্য নাগরিক সুবিধা ভোগ করতে থাকেন।

তামিল ভাষা আয়ত্ত করতে না পারায় সুযোগ বুঝে ভারতীয় পাসপোর্ট ও ভিসা সংগ্রহ করে ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারিতে জিয়া দুবাই চলে যান। ওই বছরের শেষের দিকে তিনি আবারও ভারতে ফিরে এসে অবৈধপথে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। দেশে ফিরে গাজীপুরের সূত্রাপুর এলাকায় দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর তিনি পরিচয় বদলিয়ে সেখানেই কসমেটিকস ব্যবসার পাশাপাশি বিভিন্ন গার্মেন্টসে চাকরি করতে থাকেন।

র‍্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানি কমান্ডার (পুলিশ সুপার) মীর মনির হোসেন বলেন, ২০১৫ সালের জামিনের পর থেকেই জিয়া শিবগঞ্জে তার আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। তবে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় তার অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। জিয়ার গ্রেপ্তার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

Nagad

সারাদিন. ২২ অক্টোবর