জাতিসংঘের বিবৃতি ত্রুটিপূর্ণ, প্রতিবাদ জানাবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:৫৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১, ২০২৩

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন: ফাইল ছবি

সাম্প্রতিক বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর থেকে দেওয়া বিবৃতি ক্রটিপূর্ণ বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন- ২৮ অক্টোবরের সহিংসতা নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দফতর (ওএইচসিএইচআর) এর বিবৃতি ত্রুটিপূর্ণ। এতে সার্বিক চিত্র ফুটে ওঠেনি। এ নিয়ে সরকারের অসন্তোষ ও প্রতিবাদ সংস্থাটিকে জানানো হবে।

বুধবার (১ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ও এর পরম্পরায় পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক মানুষ। এ ঘটনার শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমারা উদ্বেগ জানায়। আর গতকাল মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে ওএইচসিএইচআর। সংস্থাটির বিবৃতিতে বড় দুই দলের কর্মসূচি ঘিরে সংঘর্ষে বিরোধী দলের পাশাপাশি ক্ষমতাসীনদের দিকেও ইঙ্গিত করা হয়।

এ জন্য আন্দোলনরত বিএনপির পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলেরও দায় দেখছে ওএইচসিএইচআর। প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারকের বাসভবনে হামলার দায় বিরোধী দলের এবং সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের দিকে আঙুল তোলে তারা। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব পক্ষকে সংযমী হওয়ার আহ্বান ছিল বিবৃতিতে। ওএইচসিএইচআরের এ অবস্থানকে ত্রুটিপূর্ণ উল্লেখ করে সমালোচনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা মনে করি, ঘটনার বিষয়ে তারা যথাযথভাবে অবহিত নন। তাদের তথ্যে ঘাটতি আছে। এ রকম প্রতিষ্ঠানের তথ্যে ঘাটতি থাকা খুবই দুঃখজনক।

যুক্তরাষ্ট্রের নাম ভাঙিয়ে দেশে অনেকেই রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

Nagad

বিবৃতিতে নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময় ও নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সব নাগরিকের মানবাধিকার সমুন্নত রাখার আহ্বান জানানো হয়। এতে আরো বলা হয়, ‘বাংলাদেশে চলমান বিক্ষোভের মধ্যে একের পর এক সহিংসতার ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। দেশটিতে সামনে জাতীয় নির্বাচন থাকায় আমরা রাজনৈতিক সব পক্ষের প্রতি এটা স্পষ্ট করার আহ্বান জানাচ্ছি যে এমন সহিংসতা গ্রহণযোগ্য নয়। সেই সঙ্গে সহিংসতা উসকে দেয়—এমন বক্তব্য ও তৎপরতা থেকে বিরত থাকতেও আমরা রাজনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

সারাদিন. ১ নভেম্বর