মিয়ানমারে সংখ্যালঘু বিদ্রোহীদের সাথে সংঘর্ষ, পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:৩৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০২৩

সংগৃহীত ছবি

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সাথে দেশটির জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহীদের তুমুল সংঘর্ষ চলছে। দেশটির কয়েকটি রাজ্যে বিদ্রোহীদের সাথে সামরিক বাহিনীর এই সংঘাতে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর একাধিক চৌকিতে হামলা চালিয়েছে বিদ্রোহীরা। এমন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার আশায় প্রতিবেশী দেশ ভারতে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমারের কয়েক হাজার মানুষ।

মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী জেলা চম্পাইয়ের প্রশাসক জেমস লালরিঞ্চানা বলেছেন, প্রায় ৫ হাজার মানুষ ভারতের মিজোরামে প্রবেশ করেছেন সংঘাত থেকে নিরাপদ আশ্রয়ের আশায়। এদিকে, সংঘাতের বিষয়ে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের মুখপাত্রের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সম্প্রতি সবচেয়ে বড় সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। গত মাসের শেষের দিকে দেশটির জাতিগত সংখ্যালঘু তিনটি গোষ্ঠীর সদস্যরা জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে একযোগে সমন্বিত হামলা শুরু করে। ইতোমধ্যে তারা নিরাপত্তা বাহিনীকে হটিয়ে কিছু শহর ও সামরিক চৌকির দখল নিয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্রোহীদের নতুন হামলা জান্তা সরকারের সেনাবাহিনীর জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা। এমনিতেই দেশটির সেনাবাহিনী বিভিন্ন দায়িত্বে জড়িত, যা তাদের শক্তি ও সামর্থ্যের তুলনায় বেশি।

২৭ অক্টোবর শান রাজ্যে সমন্বিত জান্তাবিরোধী হামলা শুরু হয়। এরপরই মূলত চীন সীমান্তবর্তী এ রাজ্যের একাধিক শহর ও শতাধিক সামরিক ফাঁড়ির দখল নেয় সশস্ত্র বিদ্রোহীরা।

Nagad

মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় সাগাইং অঞ্চলেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া শনিবার কায়াহ রাজ্যে একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে বিদ্রোহীরা। যদিও সেনাবাহিনী বলছে, কারিগরি ত্রুটির কারণে সেটি বিধ্বস্ত হয়েছে।

ক্রাইসিস গ্রুপ থিংক ট্যাংকের মিয়ানমার-বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা রিচার্ড হর্সে বলেছেন, রাখাইনে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে সেনাবাহিনীর। কিন্তু শত্রুবাহিনী একাধিক এলাকায় হামলা চালালে জটিলতায় পড়তে পারে সেনাবাহিনী। সূত্র: রয়টার্স