‘বিএনপির ভুল রাজনীতির জন্য অনেক মানুষ দল থেকে সরে গেছেন’

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ১:৩৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২, ২০২৩

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্য রাখছেন। সংগৃহীত ছবি

বিএনপির ভুল রাজনীতির জন্য অনেক মানুষ দল থেকে সরে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, কোনো দলকে ভাগ করা আওয়ামী লীগের নীতি নয়। বিএনপির ভুল রাজনীতির জন্য অনেক মানুষ দল থেকে সরে গেছেন। পরিণত বয়সে শাহজাহান ওমর যেমন বের হয়ে এসেছেন। ভেতরে ভেতরে অনেক মানুষ আছেন যারা বলছেন, আর জীবনেও বিএনপি করব না।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলীয় কার্যালয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন-শাহজাহান ওমর অনুপ্রবেশকারী নয়, কেউ বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসলে গণতান্ত্রিক ভাবে কিছু বলার নেই। নির্বাচনে অনেক বাধা বিপত্তি আন্দোলনের নামে ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস, হরতাল দিয়েও বাংলাদেশের মানুষকে নির্বাচনকে বাধা দেওয়া যায়নি। কিছু কিছু দল নির্বাচন থেকে দূরে থাকলেও জনগণ নির্বাচনমুখী। অনেক অপচেষ্টার পরও বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।

তিনি বলেন, বিএনপির এক দফা গভীর গর্তে পড়েছে, তাদের আন্দোলন ভুলের চোরাবালিতে আটকে গেছে, এতে বিএনপির নেতাকর্মীরাও হতাশ। বিএনপির ডাকে নেতাকর্মীরা ভবিষ্যতে আন্দোলনের মাঠে নামবে কি না এটা সন্দেহ। বিএনপির সর্বনাশা ভুল নীতির জন্য দলে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির নেতৃত্বের ওপর হতাশ হয়ে অনেকেই নির্বাচন করেছেন। তৃণমূল বিএনপির সবাই বিএনপির লোক।

তিনি আরও বলেন, ২৯টি দল নির্বাচনমুখী, বিএনপিসহ ১৪/১৫ টি দল নির্বাচনের বাইরে। নির্বাচনে জনগণের উৎসব উদ্দীপনা দেখে মনে হচ্ছে বিপুল সংখ্যক ভোটার উপস্থিতি আসবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতকে জড়িয়ে যে প্রোপাগান্ডা এটা পাকিস্তানি স্বাধীনতার পর থেকেই শুরু হয়েছে। যে প্রোপাগান্ডা কখনও বাড়ে বা একটু স্তিমিত হয়। কিন্তু নির্বাচনের মতো পরিবেশ যখন আসে তখনই ভারতবিরোধী প্রোপাগান্ডা সবচেয়ে বেশি হয়। সেটা হবেই, সেটার জন্য আমরা একটুও বিচলিত বা চিন্তিত নই।

Nagad

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কোনো বাধা দেয়া হচ্ছে। প্রতিযোগিতা করে জয়ী হওয়াকে সাধুবাদ জানায় আওয়ামী লীগ। তবে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা বা বিশৃঙ্খলা হলে সেটা নির্বাচন কমিশন দেখবে। সারাদেশের মানুষ এখন নির্বাচনমুখী। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ভোটার উপস্থিতি হবে বলে আশা করছি।

এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী,আনোয়ার হোসেন, নির্মল চ্যাটাজী প্রমুখ।