আপিল কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিন, জমা মোট ৪২ জন আবেদন
সংসদ নির্বাচনে যেসব প্রার্থীর মনোনয়ন নির্বাচন কমিশনের যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল হয়েছে তারা আজ মঙ্গলবার (৫ডিসেম্বর) থেকে আপিল করার সুযোগ পাচ্ছেন। আপিল কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিন মোট ৪২ জন আবেদন করেছেন। মনোনয়ন বাতিল হলে তার বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি জানান, এসব আপিলের শুনানি হবে ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তখন পুরো নির্বাচন কমিশন বসে আপিল শুনে সিদ্ধান্ত দেবো। যে কেউ এ আপিল করতে পারবেন।


মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আপিল দায়ের, শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য তৈরি অস্থায়ী ১০টি বুথ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, সকাল ১০টায় আপিল শুরুর পর থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সর্বমোট ৪২টি আপিল জমা পড়েছে। এরমধ্যে রংপুর অঞ্চলের বুথে ২টি, খুলনা অঞ্চলের বুথে ৮টি, বরিশাল অঞ্চলের বুথে ২টি, ময়মনসিংহ অঞ্চলের বুথে ৯টি, ফরিদপুর অঞ্চলের বুথে ৫টি, চট্টগ্রাম অঞ্চলের বুথে ৬টি, ঢাকা অঞ্চলের বুথে ৬টি, কুমিল্লা অঞ্চলের বুথে ৩টি এবং সিলেট অঞ্চলের বুথে ১টি আবেদন জমা পড়েছে।
তবে রাজশাহী অঞ্চলের বুথে কোনো আপিল জমা পড়েনি বলে জানানো হয়েছে।
এরআগে, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের আপিল সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা নেওয়া শুরু হয়।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নমিনেশন সাবমিশনের পর সংক্ষুব্ধ যারা, তারা আপিল করতে পারেন। আমাদের যারা রিটার্নিং অফিসার আছেন তারা পরীক্ষা করে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন। কিছু কিছু প্রত্যাখ্যানও হয়। যারা প্রত্যাখ্যাত হন ও যাদের নমিনেশন পেপার গ্রহণ করা হয়, দুটোর বিরুদ্ধেই কিন্তু আপিল করা যায়। এক্সসেপ্টেশন অ্যান্ড রিজেক্টশন, আপিল করার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় আছে। ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিল করতে পারবেন যে কেউ।
তিনি আরও বলেন, আপিলের জন্য ১০টা অঞ্চল ঠিক করা হয়েছে। ওই অঞ্চলভিত্তিক আপিল করা হবে। আমি দেখলাম কর্মকর্তারা চমৎকারভাবে আপিলগুলো গ্রহণ করছেন। এগুলো আপিল শুনানিতে দাখিল করা হবে। শুনানি হবে ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আমরা তখন পুরো কমিশন বসে আপিলগুলো শুনবো। শুনে সিদ্ধান্ত দেবো।
এদিকে বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত ভাইস চেয়ারম্যান ও ঝালকাঠি-১ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহজাহান ওমর বীর উত্তমের ইসিতে যাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, ওটা আমার কোনো বিষয় না।
অনুসন্ধান কমিটি একের পর এক শোকজ করছে, কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না- এমন বিষয় সামনে আনলে সিইসি বলেন, আমি যতটুকু বলার ততটুকু বলেছি। এর বাইরে কিছু বলবো না।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সারা দেশে প্রার্থীদের জমা দেওয়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে সোমবার (৪ ডিসেম্বর)। সারা দেশে ১৯৮৫ জন প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে ৭৩১ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র।