কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি, নিহত ৪
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের দফায় দফায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাত ৮টার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পৃথক গোলাগুলির ঘটনায় উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৫ ব্লক জি/৩ এর কামাল উদ্দিনের ছেলে জয়নাল উদ্দিন (২৭), ক্যাম্প-১৭ এর আবুল বশরের ছেলে আবুল কাসেম (৩০), ক্যাম্প-১ ইস্ট ব্লক-জি/১২ এর মনি উল্লাহর ছেলে ইমাম হোসেন (৩০) এবং ক্যাম্প-১৫ ব্লক জি/৬ এর মো. শফিকের ছেলে আনোয়ার সাদেক (১৭)।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাত ৮টার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পৃথক গোলাগুলির ঘটনায় উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৫ ব্লক জি/৬ এর মো. শফিকের ছেলে আনোয়ার সাদেক (১৭), ক্যাম্প-১৫ ব্লক জি/৩ এর কামাল উদ্দিনের ছেলে জয়নাল উদ্দিন (২৭), ক্যাম্প-১ ইস্ট ব্লক-জি/১২ এর মনি উল্লাহর ছেলে ইমাম হোসেন (৩০) ও ক্যাম্প-১৭ এর আবুল বশরের ছেলে আবুল কাসেম (৩০)।
গণমাধ্যমকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসাইন।
তিনি জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলির ঘটনায় নিহতদের মরদেহ উদ্ধার ও সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য এসব মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৫ এর জি/৩ ব্লকে আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) বাহিনীর প্রায় ৩০-৪০ জনের জড়ো হয়। এ সময় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলি হয়। এই দুই গ্রুপের মধ্যে প্রায় এক ঘণ্টা গোলাগুলি চলে। এ ঘটনায় ৩ জন নিহত হন।
খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুই গ্রুপের সদস্যরা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
একই সময় রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৭ এর সি/৭৭ ব্লকে আরসার ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল আবুল কাসেম নামে এক রোহিঙ্গাকে আরএসওর সোর্স সন্দেহে গুলি করে হত্যা করে।