খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ছে, বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই : আইনমন্ত্রী

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:৪৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ২০, ২০২৪

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে আগের দুটি শর্তেই মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ছে। এ সংক্রান্ত আবেদনে মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর বিষয়ে মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। মতামত দিয়ে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হচ্ছে-বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বুধবার (২০ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আগের শর্তে তার (খালেদা জিয়া) মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর জন্য মতামত দেয়া হয়েছে। চিকিৎসার জন্য তার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই। দেশেই তাকে চিকিৎসা নিতে হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালের ২৫ মার্চ, খালেদা জিয়ার ভাইয়ের যে আবেদন ছিল ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা মতে, তার (খালেদা জিয়া) সাজা স্থগিত রেখে দুটি শর্তে যে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, সেটা সাতবার বাড়ানো হয়েছে। আজ একই শর্তে সাজা স্থগিত রেখে মুক্তির আদেশ আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হচ্ছে। আমি এ মতামত দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এখনই ফাইল পাঠিয়ে দিচ্ছি।

বেগম জিয়ার পরিবারের আবেদনে ছিল তার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা- এ বিষয় দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আনিসুল হক বলেন, আমি এ ব্যাপারে দুদিন আগেও আপনাদের বলেছি। যেহেতু ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় যে আবেদন ছিল সেটি নিষ্পত্তি হয়েছে। এখন সে আবেদনের উপরে আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ নেই, শুধু মেয়াদ বাড়ানো ছাড়া। ঠিক সে কারণে আমি মেয়াদ বাড়ানোর কথা বলে সুপারিশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফাইল পাঠাচ্ছি।

মন্ত্রী বলেন, মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেয়া হলেও একইরকম মানবিক কারণ দেখিয়ে বিদেশে চিকিৎসা নিতে পাঠানোর বিধান আইনে নেই। তার সাজা স্থগিত সংক্রান্ত ফাইল আজকেই আইন মন্ত্রণালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।

Nagad

উল্লেখ্য, এ নিয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ নির্বাহী আদেশে আটবারের মতো বাড়ানো হচ্ছে। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেন আদালত। সেই থেকে প্রায় দুই বছর জেলে ছিলেন তিনি। পরে মহামারী করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে দুটি শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।