নতুন বাজেট: কত আয় করলে কত কর দিতে হবে
স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট উত্থাপন হয়েছে। ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ স্লোগানে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন। এবারের বাজেটের পরিমাণ ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এই বাজেটেও ব্যক্তিপর্যায়ে করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা থাকছে। তবে আগের চেয়ে বেড়ে যাচ্ছে আয়কর।
আজ বৃহস্পতিবার (৬জুন) জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করার সময় ব্যক্তিপর্যায়ে আয়করের প্রস্তাবনায় এ বিষয়টি উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সর্বোচ্চ সীমা ২০০৯-১০ অর্থবছরে ছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, যা ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। নারী, প্রবীণ নাগরিক, শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী, তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য এবং গেজেটেড যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা আরও বেশি।’


তিনি বলেন, ‘এতে করে স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের করভার লাঘবের ফলে জীবনযাত্রায় কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্য ফিরে এসেছে এবং করদাতারা নিয়মিতভাবে কর পরিশোধে উৎসাহিত হয়েছেন। আমি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিদ্যমান স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা, ফার্ম ও হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের করমুক্ত আয়ের সীমা অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করছি।’
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী নারী ও প্রবীণ নাগরিকদের করমুক্ত আয়সীমা হবে ৪ লাখ টাকা, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের জন্য ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং যুদ্ধাহত গেজেটেড বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া, শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী শিশু বা দত্তক নেওয়া সন্তানের পিতামাতা বা আইনি অভিভাবকদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা সন্তান প্রতি ৫০ হাজার টাকা করে বাড়বে।
প্রস্তাবনা অনুযায়ী, স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা, ফার্ম ও হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের আয় সাড়ে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত থাকবে। পরবর্তী ১ লাখ টাকার ওপর পাঁচ শতাংশ কর বসবে। পরবর্তী চার লাখ টাকার ওপর ১০ শতাংশ কর দিতে হবে। পরবর্তী পাঁচ লাখ টাকার ওপর ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে। পরবর্তী পাঁচ লাখ টাকার ওপর ২০ শতাংশ দিতে হবে। পরবর্তী ২০ লাখ টাকার ওপর ২৫ শতাংশ কর দিতে হবে। আর অবশিষ্ট টাকার ওপর ৩০ শতাংশ কর দিতে হবে।
প্রসঙ্গত- প্রস্তাবিত বাজেটের আকার হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।