শেখ হাসিনাই এই মুহুর্তে আমাদের অস্তিত্বের কান্ডারি: সেতুমন্ত্রী কাদের
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন- আজকে আমাদের লড়তে হবে একসঙ্গে। মান অভিমান সব ভুলে যেতে হবে। আজ ওই শক্তি যদি আরও প্রশ্রয় পায় তাহলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে।
অশুভ শক্তি, মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র বিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করার কথা উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। শেখ হাসিনাই এই মুহুর্তে আমাদের অস্তিত্বের কান্ডারি।


বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের প্রতিরোধে মুখে দুর্বৃত্তরা পদ্মা সেতুতে আক্রমণ করতে পারেনি। কিন্তু সেতু ভবন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বিটিভি ভবন, মেট্রোরেলে আক্রমণ করতে সফল হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কাউকে বসিয়ে রাখব না। বিভিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের সাবেক ছাত্র নেতাসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হবে। সে কথা আজ জানিয়ে দেওয়া হলো।
‘যাকে যেখানে দায়িত্ব দেওয়া হবে, মনে রাখতে হবে; এ দায়িত্ব পালনের বিষয়টি আমরা ভবিষ্যতে মূল্যায়ন করব। এটা আমি দলের সভাপতির পক্ষ থেকে আপনাদের বলছি। সংকটে যারা ঝুঁকি নেবেন, তাদের ব্যাপারে অবশ্যই আমাদের মূল্যায়ন থাকবে।’-বলেন ওবায়দুল কাদের।
যারা কোনো কাজ করবে না, শুধু অফিসে এসে প্রটোকল দেবেন এমন নেতাকর্মীদের দরকার নেই জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো প্রটোকল দরকার নেই। আমাদের প্রটোকল আমাদের আদর্শ। আমাদের প্রটোকল আমাদের রাজনীতির আদর্শ। কোনো ব্যক্তির আওয়ামী লীগ অফিসের জন্য তার প্রটোকল দেওয়ার কোনো দরকার নেই। অনুগ্রহ করে আমি এটা মনে করিয়ে দিচ্ছি।’
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন সেইরকম একজন ভণ্ড মুখোশধারী মুক্তিযোদ্ধা। এই মানুষগুলোকে আমাদের জানতে হবে। এদের ব্যাকগ্রাউন্ড জানলেই এদের উত্তরসূরীদের কর্মকাণ্ডের আসল চেহারা উন্মোচিত হবে, যা এখন উন্মোচিত হয়েছে।
এদিকে সাবেক ছাত্রনেতাদের মতবিনিময় সভায় ডেকে তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে সংবাদ সম্মেলন করায় হট্টগোল শুরু হয়। পরে সংবাদ সম্মেলন শেষ না করেই সভাস্থল ত্যাগ করেন দলের এই শীর্ষ নেতা।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী এবং বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনসহ ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা।