মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে উত্তেজনা, ফলাফলে এগিয়ে ট্রাম্প
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পর্ব চলছে, যেখানে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে আছেন। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসতে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ভোটগ্রহণের পর শুরু হয় ফলাফল ঘোষণা, যা নিয়ে বিশ্বব্যাপী কৌতূহল।
মার্কিন গণমাধ্যমের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্প আলাবামা, আরকানসাস, ফ্লোরিডা, ইন্ডিয়ানা, কেন্টাকি, ওকলাহোমা, সাউথ ক্যারোলাইনা, টেনেসি, এবং ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় এগিয়ে আছেন। অন্যদিকে, কমলা হ্যারিস মেরিল্যান্ড, মেসাচুসেটস, ভারমন্ট এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে এগিয়ে আছেন। এ পর্যন্ত পাওয়া ফলাফলে ট্রাম্পের ইলেকটোরাল ভোট ২৩০ এবং হ্যারিসের ১৮২। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করতে প্রার্থীদের প্রয়োজন ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট। খবর সিএনএন-এএফপির
দুজন প্রার্থীই এই নির্বাচনে তাদের সমর্থকদের ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ করতে মরিয়া ছিলেন। বিশেষ করে, দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে প্রভাব বিস্তারে তারা আলাদাভাবে মনোযোগ দিয়েছেন, যা এবারের নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় দুই দলের শিবির ছিল আলোড়িত। প্রার্থিতার মঞ্চে জো বাইডেনের অবর্তমান এবং কমলা হ্যারিসের প্রার্থী হওয়া, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলা, এবং তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার দোষী সাব্যস্ত হওয়া—এ ধরনের ঘটনাগুলো নির্বাচনের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছিল।
এএফপির তথ্যানুসারে, এবারের নির্বাচন হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের আধুনিক ইতিহাসের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে কমলা হ্যারিস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, “আজ আমরা ভোট দিচ্ছি কারণ আমরা আমাদের দেশকে ভালোবাসি।” অন্যদিকে, ট্রাম্প এক মিনিটের একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, “আজকের এই দিনটি আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকবে।”
নর্থ ক্যারোলাইনার ব্ল্যাক মাউন্টেনসহ বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রে দেখা গেছে ভোটারদের দীর্ঘ সারি। সুইং স্টেট পেনসিলভানিয়ার ইরি শহরেও ছিল একই চিত্র। কমলা হ্যারিস ডাকযোগে তার ভোট দিয়ে দিয়েছেন, আর ডোনাল্ড ট্রাম্প আশা করা হচ্ছে ফ্লোরিডায় তার ভোট প্রদান করবেন।
এবারের চূড়ান্ত ফলাফল পেতে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে, বিশেষ করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা যদি খুব কাছাকাছি হয়। ফলাফল যাই হোক, এই উত্তেজনাপূর্ণ নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের বিভক্ত জনগোষ্ঠী প্রতীক্ষায় রয়েছে।