‘৭২ এর সংবিধান আ. লীগের সংবিধান নয়, এটি জনতার সংবিধান’

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৩:৩৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫

সংগৃহীত ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আজ নানান ধরনের সংস্কারকে পূর্বশর্ত দেওয়া হচ্ছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায়। সংবিধান সংস্কারের কথা বলেছেন, একটি গ্রুপ বলেছে ৭২ এর সংবিধান ছুড়ে ফেলা হবে। অনেক রক্তের বিনিময়ে জিয়াউর রহমান এবং ছাত্র-জনতার মিলিত সংগ্রামের ফলে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। ৭২ এর সংবিধান একটি চমৎকার সংবিধান। এটি আওয়ামী লীগের সংবিধান নয়, এটি জনতার সংবিধান।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কাটাছেঁড়া করে এর অঙ্গহানি ঘটিয়েছে। প্রয়োজন হলে সংবিধানে আরও সংযোজন করা যায়। কিন্তু যাই হোক, নতুন করে সংবিধান লেখা হোক বা সংশোধন করা হোক এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত সেবে দেশের সাধারণ জনগণ।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত ‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাফিজ এসব মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, গতকালের ঘটনাটি এখনও চলমান, এবং এর সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক ছিল কি না তা এখনো পরিষ্কার নয়। তিনি আরও বলেন, বিএনপি এবং ছাত্রদের আন্দোলন দমনের জন্য ছাত্রলীগ ও যুবলীগ বারবার পেশিশক্তি ব্যবহার করেছে।

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ভারতের ইন্ধন রয়েছে কি না তা জানতে চাওয়া উচিত। তিনি বলেন, এই হামলার ঘটনা দেশের গণতন্ত্র বিকাশের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

কোনো বুদ্ধিজীবী, কারও কোনো গুরু, বিদেশ থেকে আগত কোনো কোনো বুদ্ধিজীবীর পরামর্শে বাংলাদেশের সংবিধান নতুন করে লেখা বা সংশোধন করা যাবে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সংবিধান সংযোজন বা সংশোধন একমাত্র অধিকার রাখে স্বাধীন পার্লামেন্ট, নিরপেক্ষ একটি পার্লামেন্ট। যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, আমরা এখনো তা পুরোপুরি দেখিনি, আমরা এই সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে বিএনপি সর্বোচ্চ পর্যায়ে মনোভাব জানাবে।

স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ ও জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামানসহ অন্যান্যরা।

Nagad