আইপি রেটিং: বর্ষাকালে ফোন ব্যবহারের আগে যা জানা জরুরি

মেঘলা আকাশ। হঠাৎ ঝেঁপে নামলো বৃষ্টি। একপাশে কাদা, অন্যদিকে বৃষ্টির পানিতে ভেজা ব্যাগের ভেতরে রাখা ফোনটি। মুহূর্তেই উদ্বেগ ভর করে মনে। কি হবে এরপর? পানির ছোঁয়ায় হঠাৎ বন্ধ হয়ে যেতে পারে স্ক্রিন, বিকল হয়ে পড়তে পারে স্পিকার কিংবা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যেতে পারে ডিভাইসটি। বর্ষাকালের এমন অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে স্মার্টফোন সুরক্ষার বিষয়টি তাই আজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আর ফোনের সুরক্ষায় আস্থা রাখার অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছে ইনগ্রেস প্রোটেকশন বা আইপি রেটিং।

কিন্তু কি এই আইপি রেটিং? কি কাজ আইপি রেটিং এর? এটি কতটুকু কার্যকর? অনেকেই হয়তো জানি না এর সঠিক গুরুত্ব। আইপি রেটিং আসলে কেবল একটি টেকনিক্যাল টার্ম নয়, বরং এটি আজকের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর জন্য একান্ত প্রয়োজনীয় একটি নিরাপত্তার মান।

আইপি রেটিং নির্ধারণ করে কোন ডিভাইস কতটা ধুলো ও পানি থেকে সুরক্ষিত থাকবে। এটি সাধারণত দুটি সংখ্যায় প্রকাশিত হয় – প্রথম সংখ্যা শুন্য থেকে ছয় পর্যন্ত, যা কঠিন বস্তু যেমন ধুলাবালি থেকে সুরক্ষার মাত্রা বোঝায়। দ্বিতীয় সংখ্যা শুন্য থেকে নয় পর্যন্ত, যা তরল যেমন পানি থেকে সুরক্ষা নির্দেশ করে। সংখ্যাগুলো যত বেশি, সুরক্ষার মাত্রাও তত বেশি শক্তিশালী ধরা হয়। কখনো কখনো রেটিংয়ে একটি অতিরিক্ত অক্ষরও থাকে, যা বিশেষ পরিস্থিতিতে ডিভাইসের সুরক্ষা বা বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করে। তবে এই অক্ষর সাধারণত সবসময় উল্লেখ করা হয় না।

কোন স্মার্টফোন কোন পরিবেশে নিরাপদে ব্যবহার করা যাবে তা আইপি রেটিং-এর মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়। এটি স্মার্টফোনের স্থায়িত্ব বাড়ায়, ঝুঁকি কমায় এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়। তাই আইপি রেটিং শুধু একটি সংখ্যা নয়, এটি পণ্যের গুণমান ও নিরাপত্তার মানদণ্ড।

স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো বেশ কয়েক বছর থেকেই তাদের স্মার্টফোনে আইপি রেটিং সংযুক্ত করে ব্যবহারকারীদের জন্য আরও উন্নত সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিতে শুরু করেছে। বিশেষ করে, পানি ও ধুলাবালি প্রতিরোধের জন্য ভিভো নির্ভরযোগ্য আইপি৬৪, আইপি৬৮ ও আইপি৬৯ এর মতো উন্নত মানের রেটিং প্রয়োগ করছে।

আইপি৬৮ রেটিংযুক্ত একটি স্মার্টফোন সাধারণত ১.৫ মিটার গভীরতায় ৩০ মিনিট পর্যন্ত পানির নিচে সুরক্ষিত থাকতে পারে। অন্যদিকে, আইপি৬৯ রেটিং অতিরিক্ত সুরক্ষা প্রদান করে, যা ফোনকে উচ্চ চাপ ও উচ্চ তাপমাত্রার পানি থেকেও সুরক্ষিত রাখে।

Nagad

ভিভোর এক্স, ভি এবং ওয়াই সিরিজের বিভিন্ন ফোনেও আইপি রেটিং নিয়ে কাজ করা হয়েছে। ফলে মানুষ তার প্রয়োজন ও পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো প্রাইস রেঞ্জে আইপি রেটিংসহ ফোন বেছে নিতে পারেন। এভাবেই ভিভোর স্মার্টফোনগুলো হয়ে উঠছে প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আরও নির্ভরযোগ্য সঙ্গী।