আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২

অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হবে, আশা প্রধানমন্ত্রীর

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি আশা করেন, একটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হবে। আজ মঙ্গলবার সকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনারের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানানো হয়।
শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি ভবনে গেলে তাঁকে স্বাগত জানান নরেন্দ্র মোদি। দুই প্রধানমন্ত্রী করমর্দন করেন। পরে শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমি আশা করি, একটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হবে। আমাদের মূল লক্ষ্য অর্থনৈতিকভাবে বিকাশ। আমাদের জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা, যা আমরা করতে সক্ষম হব। বন্ধুত্বের মাধ্যমে আপনি যেকোনো সমস্যার সমাধান করতে পারেন। সুতরাং, আমরা সর্বদা তা করি।’ সূত্র: প্রথম আলো

ব্যাংকের টাকা মেরে দেউলিয়া ঘোষণা

দুটি ব্যাংকের কাছে দেনার পরিমাণ ৩৩৫ কোটি টাকা। এ দেনার বিপরীতে জামানত হিসেবে আছে শুধু ঢাকার মিরপুর ১২ নম্বরের একটি ৯ তলা জরাজীর্ণ ভবন। ব্যবসা গুটিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাশেদ পালিয়েছেন থাইল্যান্ডে। এক সময় দেশে যাতায়াত থাকলেও অনেকদিন আর তাঁর দেখা নেই। ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এএইচএম রায়হান শরীফ দেশে থাকলেও কিছুদিন ধরে তাঁকেও খুঁজে পাচ্ছে না ব্যাংক। ব্যাংকের টাকা মেরে এখন আইনি প্রক্রিয়া ঝুলিয়ে দিতে তাঁরা নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণার জন্য আবেদন করেছেন ঢাকার একটি আদালতে।
জানা গেছে, ঢাকার দেউলিয়াবিষয়ক আদালতের অতিরিক্ত জেলা জজ সৈয়দা কানিজ কামরুন নাহার গত ১১ মে মোট তিনটি মামলা গ্রহণ করেন। এর প্রথম শুনানি হয় ১৫ জুন। মামলার বাদী ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠান ক্লাসিক সাপ্লাইজ ও কোমো অ্যাপারেলসের এমডি মোহাম্মদ রাশেদ এবং পরিচালক এএইচএম রায়হান শরীফ এ আবেদন করেছেন। বিবাদী করা হয়েছে পাওনাদার রাষ্ট্রীয় মালিকানার সোনালী ব্যাংক ও বেসরকারি খাতের মার্কেন্টাইল ব্যাংক এবং পলাতক মোহাম্মদ রাশেদের সাবেক স্ত্রী ফারহানা রাশেদকে। দেউলিয়া ঘোষণা সংক্রান্ত পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে তাঁদের কাছে পাওনার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ৩৩৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা। সূত্র: সমকাল

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি
পান্তা খেয়ে কাটছে দিন
► ভিক্ষা আর ময়লা ফেলে তাদের যে আয় হয়, তা দিয়ে সবার জন্য পর্যাপ্ত চাল কেনা যায় না
► মহামারি করোনা আর নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি তাদের পথে নামিয়েছে

ঘর নেই। মাথা গোঁজার অবলম্বন বলতে পদচারি সেতু। খাবার জোটে মানুষের কাছে হাত পেতে আর বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে।রাজধানীতে চার সদস্যের এই পরিবারের দিন কাটছে এভাবে। ভিক্ষা আর ময়লা ফেলে তাদের যে আয় হয়, তা দিয়ে সবার জন্য পর্যাপ্ত চাল কেনা যায় না। এর সঙ্গে ব্যঞ্জন যোগ করা তো দূরের কথা। তাই পথ একটাই। একবেলা ভাত রেঁধে পান্তা করে দুই দিন ধরে খাওয়া।অর্ধাহারের কষ্টে ভোগা এই পরিবারের জন্য গত রবিবার দিনটি ছিল কিঞ্চিৎ স্বস্তির। আজিমপুর কবরস্থানে এক মৃত ব্যক্তির চল্লিশা যাপন উপলক্ষে একবাটি বিরিয়ানি জুটেছিল তাদের। চারজনে মিলে ভাগাভাগি করে তা খেয়ে বৈচিত্র্যের স্বাদ পেয়েছে।আগে তারা পুরান ঢাকার শহীদ নগরে একটি বস্তিতে ভাড়া থাকত। মহামারি করোনা আর নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি তাদের পথে নামিয়েছে। বস্তি ছেড়ে এখন আশ্রয় নিয়েছে আজিমপুর সরকারি গার্লস স্কুলের সামনের পদচারি সেতুর নিচের সড়ক বিভাজকে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

Nagad

ধারে চলছে সরকারি মেডিকেল
হাসপাতাল নেই ১৮ কলেজে
জেলা হাসপাতালে চলছে হাতেকলমে শিক্ষা * অন্য প্রতিষ্ঠানের বারান্দায় চলছে পাঠদান * অনেক বিষয়ে নেই শিক্ষক, সংকট শিক্ষা উপকরণের * নেই কলেজ ক্যাম্পাস ও ছাত্রাবাস, রয়েছে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের আবাসন সংকট

দেশে ১৮টি সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে নিজস্ব কোনো হাসপাতাল ভবন নেই। শিক্ষক সংখ্যা অপ্রতুল। শ্রেণিকক্ষ না থাকায় অন্য প্রতিষ্ঠানের বারান্দায় চলছে পাঠদান। কলেজ ক্যাম্পাস নেই কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের। নেই ছাত্রাবাস ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের জন্য হোস্টেল সুবিধা। কোথাও কলেজের অবকাঠামো থাকলেও প্রয়োজনীয় লোকবল ও শিক্ষা উপকরণের সংকট আছে। এ অবস্থায় ধার করা চিকিৎসাকেন্দ্র হিসাবে জেলা পর্যায়ের জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে হাতেকলমে শিখতে হচ্ছে নবীন চিকিৎসকদের। এসব কারণে ১৮টি সরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের দক্ষ চিকিৎসক হয়ে ওঠাই চ্যালেঞ্জ মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সরকারি পাবনা মেডিকেল কলেজ, আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ (নোয়াখালী), কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, যশোর মেডিকেল কলেজ, শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ (জামালপুর), রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ, শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ (হবিগঞ্জ), নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজ, নীলফামারী মেডিকেল কলেজ, নওগাঁ মেডিকেল কলেজ, মাগুরা মেডিকেল কলেজ ও চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের নিজস্ব কোনো হাসপাতাল নেই। এছাড়া কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ (গোপালগঞ্জ), শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ (গাজীপুর), পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ (সুনামগঞ্জ) এবং শেখ লুৎফর রহমান ডেন্টাল কলেজ (গোপালগঞ্জ) নির্মাণাধীন। এগুলোর ক্যাম্পাস ও হাসপাতাল কিছুই নেই। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্র্থীরা অস্থায়ী ক্যাম্পাসে গিয়ে লেখাপড়া এবং অন্য হাসপাতালে ক্লিনিক্যাল পাঠ নিচ্ছেন। সূত্র: যুগান্তর

সময় ক্ষেপণে বেড়েছে ব্যয়

বর্তমান সরকারের নেওয়া অবকাঠামো খাতের বৃহৎ প্রকল্পগুলোর মধ্যে স্বপ্নের পদ্মা সেতু এবং ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের সুফল ইতোমধ্যে পেতে শুরু করেছেন দেশবাসী। এদিকে প্রায় সমাপ্তির পথে রয়েছে মেট্রোরেল লাইন-৬ ও কর্ণফুলী টানেল। এ দুটি প্রকল্প চলতি বছরেই যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হতে পারে। এ ছাড়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম অংশ বিমানবন্দর থেকে বনানী পর্যন্ত ডিসেম্বরের মধ্যে খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার। সমাপ্ত হওয়া বৃহৎ প্রকল্প এবং চলমান প্রকল্পগুলোর কোনোটাই সঠিক সময়ে শেষ করা সম্ভব হয়নি। এমনকি কোনো কোনোটার কাজ হয়েছে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি সময় অতিবাহিত হওয়ার পর। এতে প্রকল্প ব্যয় বেড়েছে গুণীতক হারে। এ ছাড়া পদ্মা সেতু রেলসংযোগ, দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুমধুম রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প, মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু রেল সেতু নির্মাণ প্রকল্প, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালসহ ১১টি বৃহৎ প্রকল্পের কোনোটিই নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি। হচ্ছে না। এসব প্রকল্পের ডিপিপি একাধিকবার সংশোধন করা হয়েছে। এতে ব্যয়ও বেড়েছে বারবার। এমনকি কোনো কোনো প্রকল্পের ব্যয় দ্বিগুণ, তিন গুণও বৃদ্ধি পেয়েছে। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু রেলসংযোগ, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেলসহ ১২ বৃহৎ প্রকল্পে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা। শেষ পর্যন্ত এসব প্রকল্পের চূড়ান্ত ব্যয় দাঁড়ায় প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকা। অন্তত ১ লাখ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। একে অপচয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

তিস্তার উজানে আরো বাঁধ আরো জলবিদ্যুৎ প্রকল্প
বাংলাদেশে নদী অববাহিকায় শুষ্ক মৌসুমে খরা, বর্ষা মৌসুমে বন্যা

৪১৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নদী তিস্তার বাংলাদেশে রয়েছে শুধু ১২১ কিলোমিটার। যদিও এখানেই বসবাস করছে নদী অববাহিকার ৭১ শতাংশ বাসিন্দা। নদীটির উজানে সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গে বাঁধ দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে একের পর এক জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। এতে নদীর জলপ্রবাহও এখন দিনে দিনে শীর্ণ হয়ে আসছে। পানিপ্রবাহ কমতে থাকায় বাংলাদেশ অংশের বাসিন্দারাই এখন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উজানে দেয়া বাঁধগুলোর কারণে শুষ্ক মৌসুমে মারাত্মক খরা মোকাবেলা করতে হচ্ছে তাদের। আবার বর্ষা মৌসুমে বাঁধগুলো খুলে দেয়ার কারণে মারাত্মক বন্যারও শিকার হচ্ছে তারা।
বর্তমানে ভারতে তিস্তার ওপর বিদ্যমান ও নির্মাণাধীন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সংখ্যা ২০। প্রস্তাব ও পরিকল্পনা রয়েছে এর চেয়েও বেশিসংখ্যক প্রকল্প বাস্তবায়নের। হাতেগোনা কয়েকটি বাদ দিয়ে এসব জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের অধিকাংশেরই অবস্থান নদীটির সিকিম অংশে। এনভায়রনমেন্টাল জাস্টিস এটলাসের তথ্য অনুযায়ী, তিস্তার শুধু সিকিম অংশেই ২৮টি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে ভারত সরকারের। প্রকল্পগুলোর জন্য বাঁধ নির্মাণ করতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশের আগেই শীর্ণ হয়ে যাচ্ছে তিস্তা নদী। আবার সেখানেও আরো কয়েকটি বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে ভারত সরকারের।সূত্র: বণিক বার্তা।

বন্ধুত্বেই মুশকিল আসান: শেখ হাসিনা
ভারত সফরে শেখ হাসিনা বলেছেন, “বন্ধুত্বের মাধ্যমে আপনি যেকোন সমস্যার সমাধান

ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেওয়ার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বন্ধুত্ব থাকলে যে কোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব। চার দিনের ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে কথা বলছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় তিনি বলেন, “ভারত আমাদের বন্ধু। আমি যখনই ভারতে আসি, সেটা আমার জন্য আনন্দের। বিশেষ করে আমরা সবসময় আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করি। আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব আছে, আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করছি।”প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহর মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ৯টায় দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছালে একটি অশ্বারোহী দল তাকে স্বাগত জানিয়ে পথ দেখিয়ে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে নিয়ে যায়। সেখানে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলাদেশের সরকারপ্রধানকে দেওয়া হয় লাল গালিচা সংবর্ধনা, ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার দেয়। সূত্র: ;বিডি নিউজ

ছাত্র রাজনীতি: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কমিটি দেয়া নিয়ে যা বলছে কর্তৃপক্ষ

সম্প্রতি বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রায় ৪০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট, ইস্ট ওয়েস্ট, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এআইইউবি, ড্যাফোডিলের মতো বড় এবং নামী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও রয়েছে।এছাড়া ৩রা সেপ্টেম্বর সমন্বিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি সম্মেলনও করেছে সংগঠনটি।বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই সেখানে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ ছিল। যে কারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কমিটি গঠন নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই নানা আলোচনা চলছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ নিয়ে পৃথকভাবে তাদের মতামত এবং প্রতিক্রিয়াও জানাচ্ছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা ।

‘… দোষটা পড়ে আমার ওপর’

ফুটবলের ভরসা হয়ে ২০০৮ সালে বাফুফে সভাপতি হওয়া, একই চেয়ারে ১৪ বছর কাটানোর পর কাজী সালাউদ্দিনের নাম এখন দীর্ঘশ্বাসেও। কেন? তার নিজের কী মনে হয়? বাফুফে সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছেন আসম ফেরদৌস রহমান ও রাজ শুভ নারায়ন চৌধুরী- • ফুটবলে কোনো আলোচনা মানেই তো না পাওয়ার হাহাকার। আপনি বলেই প্রত্যাশাটা বেশি ছিল। কাজী সালাউদ্দিন যেহেতু এসেছেন, ভালো কিছুই হবে। ভালো অনেক কিছুই হয়েছে, কিন্তু প্রত্যাশা আর বাস্তবে ব্যবধান থেকে গেছে অনেক। আরও ভালো কিছু কেন হলো না? : ফুটবল ২০০টা দেশ খেলে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ, ইতালির মতো দল বিশ্বকাপে নিয়মিত থাকে না। আমরা যেভাবে যাচ্ছি, এর চেয়ে বেশি উন্নতি আর কীভাবে আশা করেন! বাইরে একটা খেলোয়াড়ের বেতন সপ্তাহে দেড় কোটি টাকা, আমার একটা ক্লাবের পুরো মৌসুমের বাজেটই হয়তো দেড় কোটি! যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি বাদ দেন, আমাকে লড়তে হবে এশিয়ার সঙ্গে। কোরিয়ায় ভালো খেলোয়াড়ের বেতন এক-দুই লাখ ডলারের মতো। ওদের সঙ্গে আমরা এখনই কীভাবে লড়াই করি!ফিফা আমাদের একটা টাকা দেয়, সেটা ব্যবহার হয় ওদের নির্দেশনা অনুযায়ী। স্টাফের বেতন, ইলেকট্রিসিটি… এসবের পেছনে; এমন কোনো টাকা না যেটা নিয়ে আলোচনা করা যায়। নিজে যখন খেলতাম, আমার গোলে কাতারকে হারিয়েছি। কিন্তু এই কাতার তো আর সেই কাতার নেই। গত ৪০ বছরে ওরা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। আমার এখানে না একটা ক্লাব আছে, না কিছু আছে। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

স্মার্টফোনের জালে বন্দি শৈশব

রাজধানীর একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ। সকালে স্কুল থেকে ফিরে আর সময় কাটে না তার। এলাকায় একটি মাঠ আছে। তবে পরিবারের কেউ সময় দিতে না পারায় খেলতে যেতে পারে না তানভীর। বিনোদন ও সময় কাটানোর একমাত্র মাধ্যম তাই স্মার্টফোন। শিশুটির মা সামিরা আক্তার বলেন, তানভীর স্কুলে যায় সকাল সাড়ে ৮টায়। এরপর বাসায় ফেরে সাড়ে ১০টায়। এসেই মোবাইল ফোন নিয়ে বসে পড়ে। এটা ওর অভ্যাস হয়ে গেছে, ফোন হাতে নিয়েই সে খায়। এমনকি ঘুমের আগেও তার হাতে মোবাইল ফোন থাকে। এলাকায় একটা মাঠ থাকলেও আমরা সঙ্গে যেতে পারি না, আর তাকে একাও ছাড়তে পারি না। তাই তানভীর বাসায় নিজে নিজে খেলাধুলা করে।মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে শিশুদের বুদ্ধিবৃত্তিক কিছু উন্নতি হলেও সার্বিকভাবে তারা সামাজিক জ্ঞান অর্জন করতে পারে না। শিশুদের শারীরিক কিংবা মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলা অত্যন্ত জরুরি।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে শিশুদের বুদ্ধিবৃত্তিক কিছু উন্নতি হলেও সার্বিকভাবে তারা সামাজিক জ্ঞান অর্জন করতে পারে না। সূত্র: জাগো নিউজ