জীবনের ৫৩ বসন্তে পা রাখলেন কনকচাঁপা
বাংলা সংগীতের এক উজ্জল নক্ষত্রের নাম রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। যিনি কনকচাঁপা নামেই বেশি পরিচিত। সুরেলা কণ্ঠে অসংখ্য গান গেয়ে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন অনেক আগেই। খ্যাতিমান এই সংগীতশিল্পীর আজ (রোববার) জন্মদিন।
১৯৬৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকার শান্তিবাগে জন্মগ্রহণ করেন কনকচাঁপা। সেই হিসেবে জীবনের ৫৩ বসন্তে পা রাখলেন তিনি।
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে দাদার বাড়ি হলেও কনকচাঁপার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকাতেই। বাবার নাম আজিজুল হক মোর্শেদ। পরিবারে পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে এই গায়িকা তৃতীয়।
চলচ্চিত্র, আধুনিক গান, নজরুল সঙ্গীত, লোকগীতিসহ প্রায় সব ধরনের গানে তিনি সমান পারদর্শী। চলচ্চিত্রের গানে মাধ্যমে তিনি তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তাকে বলা হয় সিনেমার গানের রানী।
গানের ভুবনে কনকচাঁপার হাতেখড়ি একেবারে ছোট বেলায়। মাত্র ৯ বছর বয়সে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘নতুন কুঁড়ি’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছিলেন।
চলচ্চিত্রের গানে কনকচাঁপা অন্যতম নাম। চার দশকের সমৃদ্ধ সংগীত ক্যারিয়ার চলচ্চিত্রেই তিন হাজারের বেশি গান গেয়েছেন। এর বাইরে ৩৫টি একক অ্যালবামও প্রকাশ করেছেন তিনি।
কনকচাঁপার গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘ছোট্ট একটা জীবন নিয়ে’, ‘অনেক সাধনার পরে আমি পেলাম তোমার মন’, ‘তোমাকে চাই শুধু তোমাকে চাই’, ‘ভালো আছি ভালো থেকো আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো’, ‘যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে জীবনে অমর হয়ে রয়’, ‘আমার নাকেরই ফুল বলে রে তুমি যে আমার’, ‘তোমায় দেখলে মনে হয়’, ‘আকাশ ছুঁয়েছে মাটিকে’, ‘অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে’, ‘তুমি আমার এমনই একজন’, ‘বিরহে পোড়াইলা তুমি আমার এ অন্তর’ ইত্যাদি।
অসামান্য গায়কীর জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা গায়িকা হিসাবে তিনবার পুরস্কৃত হয়েছেন কনকচাঁপা। এছাড়াও বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কার, দর্শক ফোরাম পুরস্কার, প্রযোজক সমিতি পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
সংগীতের বাইরে সাহিত্যের প্রতিও বেশ ঝোঁক রয়েছে কনকচাঁপার। এই কারণে সময় পেলে লিখতে বসেন এই গায়িকা। ২০১০ সালে ‘স্থবির যাযাবর’, ২০১২ সালে ‘মুখোমুখি যোদ্ধা’ এবং ২০১৬ সালে ‘মেঘের ডানায় চড়ে’ নামে বই প্রকাশ হয় অমর একুশে বইমেলায়। কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে নিয়মিত কলামও লেখেন। এছাড়া ২০২০ সালে জীবনীমূলক বইকাটা ঘুড়ি প্রকাশ হয়েছে তার।
সারাদিন/১১ সেপ্টেম্বর/এমবি