মানবতাবিরোধী অপরাধে নেত্রকোনার খলিলের মৃত্যুদণ্ড

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২

মানবতাবিরোধী অপরাধে নেত্রকোণার খলিলুর রহমানকে (পলাতক) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন।

তবে খলিলুর রহমান পলাতক আছেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এমইএইচ তামিম।

এর আগে গত ১৮ জুলাই ট্রাইব্যুনাল শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখার আদেশ দিয়েছিলেন

২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মামলার আসামির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।সশুরুর দিকে এ মামলায় আসামি ছিল পাঁচজন। তারা হলেন- নেত্রকোনার দুর্গাপুর থানার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের মৃত নবী হোসেনের ছেলে খলিলুর রহমান, তার ভাই আজিজুর রহমান, একই থানার আলমপুর ইউনিয়নের মৃত তোরাব আলীর ছেলে আশক আলী, জানিরগাঁও ইউনিয়নের মৃত কদর আলীর ছেলে শাহনেওয়াজ ও রমজান আলী। তবে বিচার চলার সময় খলিলুর রহমান ছাড়া বাকি চার আসামি মারা যান।

এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা থানা এলাকায় অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগে ধ্বংস করা, ধর্ষণচেষ্টা, ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগ ২২ জনকে হত্যা, একজনকে ধর্ষণ, একজনকে ধর্ষণের চেষ্টা, অপহৃত চারজনের মধ্যে দুজনকে ক্যাম্পে নির্যাতন, ১৪/১৫টি বাড়িতে লুটপাট ও সাতটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

Nagad

আসামিদের মধ্যে খলিলুর রহমান ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্য ছিলেন। যুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরে চন্ডিগড় ইউনিয়নে আল বদর বাহিনীর কমান্ডার হন। বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক।