আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২

জাতীয় সংসদ নির্বাচন
নির্বাচনকেন্দ্রিক ‘সমঝোতা’র চেষ্টা ইসলামি দলগুলোতে
ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দলের মধ্যে নির্বাচনকেন্দ্রিক সমঝোতার লক্ষ্যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনাও শুরু।
নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ইসলামপন্থী দলের সংখ্যা ১০।
আগামী নির্বাচনে ইসলামি দলগুলোকে এক জায়গায় আনার উদ্যোগটি নিয়েছে ইসলামী আন্দোলন।

কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক ইসলামি দলগুলো নিজেদের মধ্যে ‘নির্বাচনী সমঝোতা’ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। এর লক্ষ্য হচ্ছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সমঝোতার ভিত্তিতে প্রার্থী দেওয়া এবং মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলা। তবে এই প্রক্রিয়া শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক কোনো জোট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে না। ধর্মভিত্তিক দলগুলো যাতে নিজেদের মতো করে ‘নির্বাচনী সমঝোতা’ গড়ে তুলতে পারে, সেই চেষ্টায় সরকারের দিক থেকেও উৎসাহ আছে। ইতিমধ্যে ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দলের মধ্যে নির্বাচনকেন্দ্রিক সমঝোতার লক্ষ্যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনাও শুরু হয়েছে।ধর্মভিত্তিক ছয়টি দলের দায়িত্বশীল সাতজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনী সমঝোতার উদ্যোগটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আগামী নির্বাচন কীভাবে হবে—নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, নাকি সরকারের ধরাবাঁধা পদ্ধতিতে, সেটি এখনো দলগুলোর কাছে পরিষ্কার নয়। সূত্র: প্রথম আলো

৩০৭ কর্মকর্তার বিদেশ সফরে অনিয়ম

প্রকল্পের টাকায় সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর এখন অনেকটা ‘চলো বন্ধু ঘুরে আসি’ পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ৩০৭ কর্মকর্তার বিদেশ সফর নিয়ে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের দপ্তরের চূড়ান্ত নিরীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্য পর্যালোচনা করলে এমনটি বলাই যায়।গত জুনে জাতীয় সংসদে জমা পড়া নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১২ প্রকল্পের অধীনে বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য যাওয়া এই ৩০৭ কর্মকর্তার প্রায় ২৯ শতাংশই সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত নন। বিদেশে শিক্ষা সফরের শর্তানুযায়ী প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নিয়ম থাকলেও কর্মকর্তারা তা দেননি।প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশ সফর করা হলেও অর্জন করা জ্ঞানের বাস্তব প্রয়োগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে নিরীক্ষা প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়।মাছ চাষ ও কৃষিকাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এই প্রকল্পগুলোর অধীন কর্মকর্তারা কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, ইতালি, জাপান, চীন, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ব্রাজিল ও ইন্দোনেশিয়ায় গিয়েছিলেন। ১৫ দেশে বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তার এ সফর ঘিরে নানা অনিয়ম তুলে ধরা হয়েছে নিরীক্ষায়। সূত্র: কালের কণ্ঠ

বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ
পুরনোগুলোর অগ্রগতি শ্লথ তবু নতুন নতুন উদ্যোগ

গুগল, ফেসবুক, অ্যাপল, ইন্টেল, আসুস থেকে শুরু করে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রসিদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর কেন্দ্রস্থল যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি। তবে উচ্চ শুল্ক, আবাসন ও কার্যালয় ভবনের জন্য অত্যধিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই প্রযুক্তিভিত্তিক সবচেয়ে বৃহৎ ওই বাণিজ্য কেন্দ্র ছাড়ছে। এদের কেউ কেউ তাদের উৎপাদনকেন্দ্র স্থানান্তর শুরু করেছে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে ভারতে। এছাড়া চীনভিত্তিক বৈশ্বিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোও স্বল্প খরচে কার্যক্রম চালানো যায় এমন সব দেশে কারখানা স্থানান্তর করছে। আর এসব বিনিয়োগ যাতে বাংলাদেশে আসে সে জন্য নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন উদ্যোগ। এমনকি সিলিকন ভ্যালির উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে এ দেশে বিশ্বমানের পরিবেশ দিতে চায় সরকার। সে লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ (বিএইচটিপিএ)। নির্মাণ করা হচ্ছে ৯২টি পার্ক। এর মধ্যে ৯টিতে চালু হয়েছে ব্যবসায়িক কার্যক্রম। তবে যে আশার আলো ছড়িয়ে উদ্যোগটি নেয়া হয়েছিল সময়ের আবর্তে তাতে কিছুটা মেঘ জমেছে। শ্লথগতিতে চলছে সব কাজ। যদিও নতুন নতুন পরিকল্পনা গ্রহণে থেমে নেই সংস্থাটি। লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে থাকলেও একের পর এক নতুন প্রকল্প নিয়েই বেশি আগ্রহ কর্তৃপক্ষের। জানা গিয়েছে, হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের আওতাধীন দুটি হাই-টেক পার্ক, তিনটি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ও চারটি আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারে বর্তমানে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়া একটি হাই-টেক পার্কসহ মোট ৪৮টি আইটি পার্ক, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক নির্মাণাধীন। আরো ৩৫টি পার্কের প্রকল্প অনুমোদন পেলেও কাজ শুরু হয়নি। এর মধ্যেই আবার আরো ৮৭টি নতুন পার্ক গড়ার পরিকল্পনা করছে বিএইচটিপিএ। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখেই এ উদ্যোগ বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। সূত্র: বণিক বার্তা।

Nagad

বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে সম্মত কম্বোডিয়া, সম্ভাবনা ওষুধ শিল্পে
মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়া। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মতে, এই চুক্তি কার্যকর হলে নমপেনের ১ বিলিয়ন ডলারের ফার্মাসিউটিক্যাল বাজারে ব্যবসা করার সুযোগ পাবে ঢাকা। জাতীসংঘের ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিয়ে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষীয় বৈঠকে এ চুক্তির ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীসংঘের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর কাজের বর্ণনা দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। এলডিসি পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নেপাল, ভুটান, মালয়শিয়া, ভিয়েতনাম, ভারতসহ ১৭টি দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বা এফটিএ নিয়ে আলোচনা করছে বাংলাদেশ। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো দেশের সঙ্গে এ চুক্তিতে যাওয়া সম্ভব হয়নি। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

জেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন
প্রভাব বিস্তারে মাঠে এমপিরা
এমপি-মন্ত্রীরা প্রচারণাতে নামতে পারবেন না-ইসি * নির্বাচন অবশ্যই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং স্থানীয় এমপিদের প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে -বদিউল আলম মজুমদার

আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটার না হলেও প্রভাব বিস্তারে মাঠে তৎপর স্থানীয় সংসদ-সদস্যরা। ভোটাররা স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন ধাপের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। এদের অনেকেই দলীয় নেতা হওয়ায় নানাভাবে তাদের সবার ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টাও করছেন তারা।পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে নানা ধরনের চাপ দেওয়ার অভিযোগও উঠছে। করছেন নানা ধরনের সভা-সমাবেশ। এতে আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে। এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ দাখিলের ঘটনাও ঘটেছে। একই সঙ্গে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও উঠেছে। ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচন। স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন-ভোটে এমপিরা প্রভাব বিস্তার করলে নির্বাচন আরও বিতর্কিত হবে। নির্বাচন কমিশন বলছে-নির্বাচনি পরিবেশ সুষ্ঠু ও প্রভাবমুক্ত রাখতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন তারা। কোনো জেলায় যাতে স্থানীয় এমপি-মন্ত্রী বা প্রভাবশালী কেউ ভোটে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে সে বিষয়ে কঠোর দৃষ্টি রাখছেন। সূত্র: যুগান্তর

ভাটিয়ারীতে বগি লাইনচ্যুত, ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রেন বন্ধ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারীতে একটি ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হাসান মাহমুদ জানান, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভাটিয়ারীতে আসার পর একটি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সূত্র: সমকাল

শিক্ষিকার মাথা ন্যাড়া করে প্রতিবাদ নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

চট্টগ্রাম নগরীর এয়াকুব আলী দোভাষ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার ন্যাড়া মাথার ফেসবুক পোস্ট নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। ওই শিক্ষিকা জাহিদা পারভীন বলছেন, আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের ফ্রেঞ্চ বেণী করার কারণে তাদের মারধর করার প্রতিবাদে তিনি তার মাথা ন্যাড়া করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন।তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের মারধর করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। শিক্ষিকার ফেসবুক পোস্ট-ঘটনার সূত্রপাত ‘শারীরিক শিক্ষা’ বিষয়ের সহকারী শিক্ষিকা জাহিদা পারভীনের একটি ফেসবুক ছবি ও পোস্ট থেকে। বৃহস্পতিবার ফেসবুকে তিনি তার ন্যাড়া মাথার ছবি পোস্ট করে লেখেন: ‘স্কুলের মেয়েদের মাসখানেক কষ্ট করে খেলা শিখিয়ে মাঠে নিতে যাওয়ার আগের দিন তাদের ফ্রেঞ্চ বেণী করে ছবি তোলা ও খেলতে যাওয়া অপরাধ, আমার স্কুলের হেডমাস্টার মেয়েদের চুল ধরে মারা ও বকার প্রতিবাদে নিজের মাথার চুল ফেলে দিয়েছি। খুব কি খারাপ দেখা যাচ্ছে?’ সূত্র: বিবিসি বাংলা ।

খুলনায় তরুণীকে দলবেঁধে ‘ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ১
খুলনা নগরীর তেলিগাতী মধ্যপাড়ায় এক তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
আড়ংঘাটা থানার ওসি মো. ওহিদুজ্জামান জানান, শুক্রবার দুপুরে ভুক্তভোগী (১৯) বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।গ্রেপ্তার ফজলুর রহমান শাওনের (৩১) বাড়ি খলিশপুর নয়াবাটি এলাকায়।মামলার বাকি আসামিরা হলেন- খালিশপুর হাউজিং এলাকার আবু কাশেমের ছেলে সোয়ান (৩১) তেলিগাতী মধ্যপাড়া ক্লাব মোড়ের লিয়াকত শেখের ছেলে রুবেল শেখ (৩২) ও অজ্ঞাত পরিচয় একজন।মামলার বরাতে ওসি বলেন, পূর্ব পরিচয়ের সূত্রধরে শাওন বৃহস্পতিবার বিকালে ওই তরুণীকে নগরীর ফুলবাড়িগেট এলাকায় নিয়ে যান। পরে সন্ধ্যায় আড্ডা দেওয়ার সময় চায়ের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে তেলিগাতী মধ্যপাড়ার আজগর সরদারের বাড়িতে নেন। রাতে চারজন মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। সূত্র: বিডি নিউজ

মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলি, এপারের উৎসবে ছেদ

আর কয়েক দিন পর বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। যে উৎসব উপলক্ষে প্রতিমা তৈরি শেষ করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এখন চলছে রংতুলির আঁচড়ে সাজিয়ে নেওয়ার কাজ। এরপর হবে সাজসজ্জা। গত দুই বছর করোনা পরিস্থিতিতে বিধিনিষেধের মধ্যে সীমিত পরিসরে উৎসবটি পালন করা হয়। তাই দেশজুড়েই এবারের আয়োজন হচ্ছে বেশ ঘটা করে। তবে ব্যতিক্রম শুধু বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের একমাত্র দুর্গা মন্দিরে।
সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে এক মাস ধরে চলা গোলাগুলির বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে এপারের সীমান্তের জনপদও। এ ছাড়া এরই মধ্যে ওপার থেকে ছোড়া বেশ কিছু গুলি ও মর্টার শেলের গোলা এসে পড়েছে বাংলাদেশ ভূখণ্ডেও। এমন পরিস্থিতিতে ছেদ পড়েছে ঘুমধুমের সনাতনপাড়ায় ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে উদযাপিত হয়ে আসা শারদীয় দুর্গোৎসবে। গত দুই মাস ধরে নানা আনুষ্ঠানিকতার কাজ গুছিয়ে এনে এখন পূজা উদযাপন নিয়ে শঙ্কিত সেখানকার পূজা উদযাপন কমিটির নেতা ও স্থানীয় সনাতনীরা। ইতিমধ্যে দেবী দুর্গার প্রতিমা মন্দিরে আনা হলেও শূন্য রেখা থেকে সামান্য দূরে অবস্থিত মন্দির এলাকায় মুহুর্মুহু মর্টার শেল ও গোলাগুলির শব্দে আতঙ্কিত সেখানকার ১৭টি সনাতনী পরিবারের ১৫০ জন্য সদস্য। তাই দেবী দুর্গাকে কালো পলিথিনে মুড়িয়ে মন্দিরের একপাশে সুরক্ষিতভাবে রাখা হয়েছে। পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা জানান, প্রতিমা নিয়ে আসা হলেও সীমান্তে উত্তেজনার কারণে রঙের কাজে হাত দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সূত্র: দেশ রুপান্তর

 

সংকটে আধ্যাত্মিক ইতিহাসের সাক্ষী ‘জালালী কবুতর’

‘ঝাঁকে উড়ে আকাশ জুড়ে, দেখতে কি সুন্দর, জালালের জালালী কইতর’ বাউল আব্দুল হামিদের এই গানে দোলেননি শাহজালালের এমন ভক্তের সংখ্যা খুবই কম। তবে দিন যত যাচ্ছে সেই জালালী কইতর (কবুতর) এর অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। দেশিয় কবুতরের যন্ত্রণায় সিলেটের আধ্যাত্মিক ইতিহাসের সাক্ষী জালালী কবুতর মিশ্র জাতে রূপ নিচ্ছে। আর তাই ‘জালালী কইতর’ হিসেবে পরিচিত এই কবুতরকে বাঁচাতে এখনই উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সিলেটের বিশিষ্টজনরা। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, হযরত শাহজালাল (রহ.) এর সিলেট আগমনের সঙ্গে জালালী কবুতরের ইতিহাস একই সূত্রে গাঁথা। ১৩০১ সালে ইসলাম প্রচারে ইয়েমেন থেকে হজরত শাহজালাল (রহ.) ভারতের দিল্লিতে আসেন। সেখানকার ওলি নিজামউদ্দিন আউলিয়া (রহ.) শাহজালাল (রহ.) আধ্যাত্মিক শক্তিতে মুগ্ধ হয়ে তাকে নীল ও কালো রঙের এক জোড়া কবুতর উপহার দেন। হজরত শাহজালাল (রহ.) ৩৬০ জন আউলিয়া নিয়ে ১৩০৩ সালে তৎকালীন আসামের অন্তর্ভুক্ত সিলেট (শ্রীহট্ট) জয় করে উড়িয়ে দিয়েছিলেন সেই কবুতর জোড়া। শাহজালালের সঙ্গী এই কবুতরের বংশধরেরা ‘জালালী কবুতর’ নামেই পরিচিত। সেই থেকে সিলেটের আধ্যাত্মিক ইতিহাসের সঙ্গে মিশে রয়েছে জালালী কবুতর। সূত্র: দেশ রুপান্তর