প্রশ্ন ফাঁস: দুই শিক্ষক দুই দিনের রিমান্ডে

কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা:কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা:
প্রকাশিত: ৪:০৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২, ২০২২

কুড়িগ্রামে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় গ্রেপ্তার ভুরুঙ্গামারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সুমন আলি শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আজহার আলী ওই দুই শিক্ষককে তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

এদিকে প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলার প্রধান আসামি নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব ও প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানের তিন দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে। তাকে আজ (রোববার) জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

আসামিরা হলেন- ভুরুঙ্গামারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাওলানা জোবায়ের হোসেন ও আমিনুর রহমান রাসেল।

এদিকে, এই মামলার প্রধান আসামি ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমানকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি (তদন্ত) আজাহার আলী জানান, দুই আসামির তিনদিনের রিমান্ড আবেদন করা হলেও শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। মুল আসামি লুৎফর রহমান তিন দিনের রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। সেগুলো যাচাই বাছাই করে দেখা হচ্ছে।

Nagad

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট দিলরুবা আহমেদ শিখা জানান, আসামিরা প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটিয়ে দেশ ও জাতির ক্ষতি সাধন করেছেন। তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ, প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় এ পর্যন্ত পাঁচ শিক্ষক এবং এক অফিস সহায়ককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তারা হলেন- প্রশ্নপত্র ফাঁসের মূলহোতা প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমান, ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল, ইসলাম শিক্ষা শিক্ষক মাওলানা জোবায়ের হোসেন, কৃষিবিজ্ঞানের শিক্ষক হামিদুর রহমান, বাংলা বিষয়ের শিক্ষক সোহেল আল মামুন এবং অফিস সহায়ক সুজন মিয়া।

এছাড়া এজাহারনামীয় আসামি অফিস সহকারী আবু হানিফ পলাতক রয়েছে। এদের সবাইকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি।

গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের নামে ভূরুঙ্গামারী থানায় মামলা করেন নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের ট্যাগ কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালিক চৌধুরী।

এ ঘটনায় গণিত, পদার্থ, রসায়ন ও কৃষিবিজ্ঞানের পরীক্ষা স্থগিত ও উচ্চতর গণিত এবং জীব বিজ্ঞানের প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করে পরীক্ষা গ্রহণ করা হচ্ছে।