‘ডিজিটাল ডিভাইস চালানোর মতো দক্ষতা অর্জন করতেই হবে’
দেশে শিক্ষার সম্প্রসারণ ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ফসল। ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ডিজিটাল শিক্ষা ও ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি নিজেকে প্রকাশ করার দক্ষতা অর্জন শিক্ষাথীদের জন্য অপরিহার্য। ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের জন্য কম্পিউটার বিজ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন নেই তবে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করলেই হবে।
মন্ত্রী মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) ঢাকায় আমেরিকান ইন্টার্ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পসে আয়োজিত নিরাপদ ইন্টারনেট বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।


মন্ত্রী নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকেই সবার আগে সচেতন হতে হবে। এই ক্ষেত্রে নিজের একাউন্ট নিরাপদ রাখার জন্য দুই স্তরের ভ্যারিফিকেশন নিশ্চিত করাসহ কতিপয় কৌশল অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বলেন, আমাদের তরুণ জনগোষ্ঠী অত্যন্ত মেধাবী। তারা চেষ্টা করলে পারে না এমন কোন কাজ নেই।
মহাকাশ বিজ্ঞানে পড়া লেখা না করেও গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে আমাদের তরুণরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ উৎক্ষেপণের পর থেকে দক্ষতার সাথে পরিচালনা করে আসছে। তিনি শিক্ষার্থীদেরকে তাদের মেধাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, তোমরা তোমাদের প্রতিভা কাজে লাগাও, তোমাদের কাছে অসাধ্য বলে কিছু নাই। কম্পিউটারে বাংলা ভাষার এই উদ্ভাবক ডিজিটাল প্রযুক্তি ও শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তরে তার ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, আমি বাংলা সাহিত্যের ছাত্র হয়েও ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতে অত্যন্ত সফলতার সাথে কাজ করছি।
তিনি এ ক্ষেত্রে অ্যাপল কম্পিউটারের জনক স্টিভ জবসের দৃষ্টান্ত শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরে বলেন, জবস কম্পিউটারে ইংরেজী ভাষার বাইরে যে কোন ভাষা প্রয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন এবং কম্পিউটারে মাউস ব্যবহার প্রযুক্তি দিয়ে কম্পিউটার দুনিয়ায় বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেছেন। মন্ত্রী ইন্টারনেটকে পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের মহাসড়ক আখ্যায়িত করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্বে দিচ্ছে। আমরা ফাইভ-জি প্রযুক্তি যুগে প্রবেশ করেছি। ফাইভ-জি প্রযুক্তির মহাসড়কের পথ বেয়ে বাংলাদেশ পঞ্চম শিল্প বিপ্লবেও নেতৃত্ব দিবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আমেরিকান ইন্টার্ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি‘র ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক বিভাগের ডিন ড. এবিএম সিদ্দিক হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইএসপিএবির সভাপতি এমদাদুল হক, সেক্রেটারি , নাজমুল কবির ভূইয়া. বলার মতো গল্প ফাউন্ডেশনের সভাপতি ইকবাল বাহার প্রমূখ বক্তৃতা করেন।