আজকের দিনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১০, ২০২২

রাজা চার্লস ও ক্যামিলার দিকে ডিম ছুড়লেন তিনি

রাজা চার্লস ও কুইন কনসর্ট ক্যামিলার দিকে ডিম ছুড়ে মারার ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল বুধবার যুক্তরাজ্যের ইয়র্ক শহরে রাজা চার্লসের সফরের সময় এ ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসি ও গার্ডিয়ানের
সফরকালে রাজা চার্লস ও ক্যামিলাকে ইয়র্ক শহরে স্থানীয় নেতারা অভ্যর্থনা জানান। হঠাৎ একজন তাঁদের লক্ষ্য করে কয়েকটি ডিম ছোড়েন। গার্ডিয়ানের খবরে তিনটি ডিম ছোড়া হয়েছে বলা হয়। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, পাঁচটি ডিম ছোড়া হয়েছে। তবে ডিমগুলোর একটিও চার্লস ও ক্যামিলার গায়ে লাগেনি। বিবিসির খবর বলছে, আটক ওই ব্যক্তি ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাঁর বয়স ২৩ বছর।রাজা চার্লস ও ক্যামিলাকে স্বাগত জানাতে শহরের রাজকীয় প্রবেশদ্বার মিকেলগেট বারে ভিড় জমে যায়। এ সময় ডিম ছোড়ার ঘটনায় ওই ব্যক্তিকে ঠেকায় পুলিশ। চার পুলিশ সদস্য ওই ব্যক্তিকে আটক করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি চিৎকার করে বলেন, ‘এই দেশ দাসদের রক্তে তৈরি। তিনি আমার রাজা নন।’ সূত্র: প্রথম আলো

নিঃসরণ নিয়ে নতুন উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক দূত জন কেরি গতকাল বুধবার মিসরের শারম-এল-শেখ অবকাশ কেন্দ্রে চলমান কপ২৭ সম্মেলনে নতুন ‘বৈশ্বিক কার্বন ক্রেডিট বিনিময় উদ্যোগ’ উন্মোচন করেছেন। এর লক্ষ্য গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের বিষয়টি মোকাবেলা করা। এদিকে জ্বালানি উৎপাদন প্রক্রিয়া পরিবেশ অনুকূল করার জন্য বড় কয়লা উৎপাদক দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৬০ কোটি ৩০ লাখ ডলার দেবে বলে জানিয়েছে ফ্রান্স ও জার্মানি।মার্কিন বিশেষ দূত জন কেরি বলেছেন, তাঁর প্রকাশ করা নতুন বৈশ্বিক কার্বন ক্রেডিট বিনিময় উদ্যোগটি উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আরো পরিবেশ অনুকূল জ্বালানির পথে যেতে সহায়তা করার ক্ষেত্রে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ভূমিকা রাখবে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

অক্টোবরে জেট সরবরাহ বেড়েছে এয়ারবাসের, কমেছে বোয়িংয়ের

উড়োজাহাজ সরবরাহ ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে এয়ারবাসের। গত মাসে ইউরোপীয় নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি ৬০টি জেট সরবরাহ করেছে। যদিও চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সংস্থাটির উড়োজাহাজ সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে এয়ারবাসের বাড়লেও প্রতিদ্বন্দ্বী উড়োজাহাজ নির্মাতা বোয়িংয়ের সরবরাহ আগের মাসের তুলনায় সংকুচিত হয়েছে। মানসংক্রান্ত সমস্যার কারণে অক্টোবরে সংস্থাটি মাত্র ৩৫টি উড়োজাহাজ সরবরাহ করেছে। যদিও নতুন উড়োজাহাজের উচ্চ চাহিদার কারণে ক্রয়াদেশ বাড়ার কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে এয়ারবাসের জেট সরবরাহ ৪৯৭ ইউনিটে উন্নীত হয়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে বাতিল হওয়া দুটি অ্যারোফ্লটের সরবরাহ বাদ দিয়ে সংস্থাটির নিট সরবরাহ দাঁড়িয়েছে ৪৯৫টিতে। গত মাসে সংস্থাটির সরবরাহ সেপ্টেম্বরের তুলনায় পাঁচটি বেড়েছে। তবে বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতার কারণে চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৭০০ উড়োজাহাজ সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বছরের শেষ দুই মাসে সংস্থাটিকে ২০৫টি উড়োজাহাজ সরবরাহ করতে হবে। তবে আশার কথা হলো, বছরের শেষ দিকে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের জেট সরবরাহ বেড়ে যায়। লন্ডনভিত্তিক ব্রোকার কোম্পানি এজেন্সি পার্টনারসের বিশ্লেষক স্যাশ তুসা একটি নোটে লিখেছেন, এয়ারবাস কভিডপূর্ব সময়ের চ্যালেঞ্জে পড়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সংস্থাটিকে ২০১৭ সালের শেষ দুই মাসে ২০১, ২০১৮ সালে ২১৬ ও ২০১৯ সালে ২১৫টি উড়োজাহাজ সরবরাহ করতে হয়েছিল। তবে সেই বছরগুলোয় সরবরাহের ক্ষেত্রে এতটা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়নি প্রতিষ্ঠানটিকে। সূত্র: বণিক বার্তা।

Nagad

অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের সব রাজ্য থেকে প্রতিনিধি পরিষদে নারীরা নির্বাচিত হলেন

২৩৪ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ– কংগ্রেসের সদস্য হবেন প্রতিটি রাজ্য থেকে মধ্যবর্তী নির্বাচনে জয়ী নারীরা। জানুয়ারিতে তাদের দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে সৃষ্টি হবে এ ইতিহাস। খবর ব্লুমবার্গের
একমাত্র ভারমন্ট রাজ্যেই এতদিন কংগ্রেসওম্যান নির্বাচিত হননি, কিন্তু এবার সেখান থেকেও একজন নারী নির্বাচিত হতে চলেছেন। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস প্রক্ষেপণ করছে, এ রাজ্যের একটি কংগ্রেসীয় আসনে জয়লাভ করতে চলেছেন ডেমোক্রেট দলের বেকা বেলেন্ট। ৫৪ বছরের বেলেন্ট ইতঃপূর্বে দায়িত্ব পালন করেছেন রাজ্য সিনেটে। কংগ্রেসের যে আসনে তিনি জিতছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, এর আগে সেটি ছিল পিটার ওয়েলশ- এর দখলে। মঙ্গলবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ওয়েলশ সিনেট সদস্য পদে প্রার্থিতা করেন এবং জয়ীও হয়েছেন। তার কংগ্রেসের আসনটিতেই প্রার্থী হন বেলেন্ট। অন্যদিকে, রাজনীতি থেকে অবসর নিতে চলা প্যাট্রিক লিহির সিনেট আসনটি পূরণ করবেন ওয়েলশ। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন
ইতিহাস গড়লেন যারা

এ কথা ঠিক, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন জো বাইডেনের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তা যেমন প্রেসিডেন্ট হিসাবে টিকে থাকতে, তেমনি ২০২৪ সালের নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসাবেও। কিন্তু এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনকে ঘিরে সৃষ্ট উন্মাদনার আরও একটি ভিন্ন জায়গাও রয়েছে। দলীয়ভাবে নয়, ব্যক্তিগত কিংবা সামাজিক কারণে আগের গল্প বদলে দিয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী। এমন কিছু বিজয়ী প্রার্থীর সেই গুরুত্ব তুলে ধরেছে বিবিসি।
কেটি ব্রিট : কেটি ব্রিটের বয়স ৪০। সিবিএস নিউজ অনুমান করছে-নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন এই রিপাবলিকান। সেই হিসাবে তিনিই হবেন অ্যালাবামা রাজ্যের প্রথম নারী সিনেটর। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী উইন বয়েডকে হারিয়ে চলতি মেয়াদ শেষে ৩৬ বছর পর অবসর নিতে যাওয়া রিচার্ড শেলবির স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন ব্রিট। ১৯৩২ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫৮ জন মহিলা মার্কিন সিনেটর হিসাবে কাজ করেছেন। ম্যাক্সওয়েল ফ্রস্ট : ডেমোক্র্যাট ম্যাক্সওয়েল ফ্রস্টের বয়স মাত্র ২৫ বছর। মার্কিন কংগ্রেসে কাজ করার জন্য নির্বাচিত ফ্রস্ট জেনারেশন জেডের প্রথম সদস্য। ফ্লোরিডার ১০ম কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্টে জয়ী হন ১৯৯৭ সালে জন্ম নেওয়া এ যুবক। বন্দুক সহিংসতা, জলবায়ু পরিবর্তন, গর্ভপাতের অধিকার এবং বর্ধিত স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক প্রচারণা তাকে ভোটারদের কাছে আকৃষ্ট করেছিল। সূত্র: যুগান্তর

জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে হাস্যকর চেঁচামেচি

জলবায়ু সম্মেলনে বিষয়ভিত্তিক আলোচনার বিশেষ দিন ছিল গতকাল বুধবার। দিনটিকে বলা হয়, ফাইন্যান্স ডে বা অর্থায়ন দিবস। এই উদ্যোগের অধীনে দিনব্যাপী অনেকগুলো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জলবায়ু অর্থায়নের বিভিন্ন উদ্যোগ, প্রতিকূলতা, সমস্যা ও সম্ভাবনার বিবিধ মাত্রা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।তবে বাংলাদেশে নীতিনির্ধারক থেকে শুরু করে জনসাধারণ পর্যন্ত প্রায় সব মহলে জলবায়ু অর্থায়ন বিষয়ে যথাযথ কৌশলগত অনুধাবনের অভাব রয়েছে। ইউএনএফসিসিসিতে অর্থায়ন বিষয়টি সীমিত পরিসরে অতীতেও ছিল। তবে ২০০৭ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিত কপ থেকে এটা জলবায়ু আলোচনার অন্যতম একটি কেন্দ্রীয় বিষয়ে পরিণত হয়। বালি অ্যাকশন প্ল্যানের মূলধারা ছিল চারটি- গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন কমানো, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর অভিযোজন, নির্গমন কমানো ও অভিযোজনের জন্য প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং এ কাজের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়ন।পৃথিবীর প্রতিবেশ ব্যবস্থা, মানুষসহ সব প্রাণের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন একটি বড় হুমকি। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জন্য তাই ক্ষতিকর গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন কমানোর কোনো বিকল্প নেই। নির্গমন কমানোর জন্য প্রযুক্তি গবেষণা, উন্নয়ন ও প্রয়োগ এবং অভিযোজনের জন্য জনগণকে সহায়তা করতে প্রয়োজনীয় অর্থায়নের জন্য উন্নয়নশীল, স্বল্পোন্নত ও বিপন্ন দেশগুলো নির্গমনকারী ধনী দেশগুলোর ওপর যথেষ্ট চাপ তৈরি করেও এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত ও আশানুরূপ সাড়া পায়নি। সূত্র; সমকাল

যে কারণে জাকার্তা থেকে স্থানান্তর হচ্ছে রাজধানী

প্রবল যানজট আর বায়ুদূষণের জন্য দুর্নাম আছে জাকার্তার। পাশাপাশি জলবায়ু ও পরিবেশ বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে রয়েছে শহরটি। তাই ইন্দোনেশিয়ার সরকার জাকার্তা থেকে রাজধানী অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। কারণ ইতিহাসের ঝলমলে এই নগরী ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা আল-জাজিরা জানায়, ভারী বৃষ্টিপাত, বন্যা আর সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ক্রমশ বাড়তে থাকায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মেগাসিটি জাকার্তার ১ কোটি ৫ লাখের বেশি বাসিন্দা এখন প্রবল ঝুঁকির মুখোমুখি। জাভা দ্বীপের পশ্চিম প্রান্তে শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এক-চতুর্থাংশ ২০৫০ সাল নাগাদ সাগরে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নগর পরিকল্পনাবিদ ও পরিবেশবিজ্ঞানীরা এ কথা জানিয়েছেন। সূত্র: দৈনিক বাংলা ।

রাষ্ট্রের ভেতরে রাষ্ট্র
পাকিস্তানে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ

পাকিস্তানের সংবিধানের ২৪৩ নম্বর ধারার শুরুতেই বলা হয়েছে, দেশটির সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ থাকবে ফেডারেল সরকারের হাতে। অথচ বাস্তবতা বলছে, দেশটির সরকারকেই নিয়ন্ত্রণ করে সামরিক বাহিনী। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর দেশটিতে এ পর্যন্ত তিনটি বড় সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে। ১৯৫৮ সালে অভ্যুত্থানে ক্ষমতায় আসেন জেনারেল আইয়ুব খান, তার পতনে ১৯৬৯ সালে আসেন জেনারেল ইয়াহিয়া খান। কিন্তু দুই বছর পর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজয়ের পর তাকেও ক্ষমতা ছাড়তে হয়। এরপর ১৯৭৭ সালে আরেক সেনা অভ্যুত্থান হয় জিয়াউল হকের নেতৃত্বে। ১৯৭৭ সালে তিনি সামরিক আইন জারি করেন এবং এর পরের বছর ১৯৭৮ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট হন। তিনি ক্ষমতায় ছিলেন ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত। পাকিস্তানের তৃতীয় সেনা অভ্যুত্থান হয় ১৯৯৯ সালে জেনারেল পারভেজ মোশাররফের নেতৃত্বে। পরে অবশ্য ২০০১ সালে তিনি বেসামরিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসেন। সব মিলিয়ে ৩৩ বছর পাকিস্তানকে সরাসরি শাসন করেছে সামরিক বাহিনী। মোশাররফের পর প্রকাশ্যে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীকে দেশ চালাতে দেখা যায়নি। কিন্তু দেশটির প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ যে গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআইয়ের হাতে, তা বারবার আলোচনায় এসেছে। একের পর এক বেসামরিক সরকারের আসা-যাওয়াতে তা প্রমাণও হয়েছে। পাকিস্তানের রাজনীতিতে ঘুরে-ফিরে আসে সামরিক বাহিনী প্রসঙ্গ। সূত্র: দেশ রুপান্তর।

২৩ বছর পর বন্ধুর মৃতদেহ উদ্ধারে এভারেস্টে বেয়ার গ্রিলস

১৯৯৯ সালে ২২ বছর বয়সে এভারেস্ট জয় করে তৎকালীন ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ঠ এভারেস্ট জয়ী হিসেবে রেকর্ড গড়েছিলেন মাইকেল ম্যাথিউস। কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টা পরই এক দুর্ঘটনায় এভারেস্টের কোলে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। ম্যাথিউস ছিলেন ‘ম্যান ভার্সাস ওয়াইল্ড’ খ্যাত ব্রিটিশ অভিযাত্রী ও উপস্থাপক বেয়ার গ্রিলসের বন্ধু। গ্রিলস জানিয়েছেন, সম্প্রতি তিনি ম্যাথিউসের লাশ উদ্ধারের জন্য এভারেস্ট অভিযানে গিয়েছিলেন। ম্যাথিউসের এক ভাই স্পেন্সার ম্যাথিউস। তিনি বিখ্যাত টিভি সিরিজ ‘মেড ইন চেলসি’ এর তারকা। মাইকেল ম্যাথিউসের আরেক ভাই জেমস ম্যাথিউস ব্রিটিশ রাজপরিবারের বধূ কেট মিডলটনের বোন পিপা মিডলটনের স্বামী। মাইকেল ম্যাথিউস যেবার অর্থাৎ ১৯৯৯ সালে এভারেস্ট জয় করেন এর আগে বেয়ার গ্রিলস ২৩ বছর বয়সে এভারেস্ট জয় করে ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ঠ এভারেস্ট জয়ীর খেতাব লাভ করেন। তাকে দেখেই এভারেস্ট অভিযানে যেতে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন মাইকেল।কিন্তু রেকর্ড গড়ার কয়েক ঘণ্টা পরে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন মাইকেল। ২৩ বছর পরেও তার লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ফলে শোকের বোঝা আরও ভারি হয়ে চেপে বসেছে এ পরিবারটির বুকে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

মানুষ বেড়ে হচ্ছে ৮০০ কোটি, পৃথিবীর কী হবে?

এক যুগের ব্যবধানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ১০০ কোটি বেড়ে ৮০০ কোটির মাইলফলক স্পর্শ করতে চলেছে মাঝ নভেম্বরে।

এমনিতেই বিশ্বজুড়ে অভাব আর অসমতায় যতি টানা যাচ্ছে না; দ্বন্দ্ব-সংঘাতে উদ্বাস্তু ও অভিবাসন সংকট দিন দিন বাড়ছে। জলবায়ু ঝুঁকি আরও বড় বিপদের সংকেত দিয়ে রেখেছে। এর মধ্যে মানুষ আরও বাড়লে এ গ্রহে কী ঘটবে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৮০০০০০০০০০ সংখ্যাটি বিশাল বটে, দুশ্চিন্তাগুলোও অমূলক নয়। তবে এ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়াই মঙ্গলজনক। জাতিসংঘ বিষয়টিকে উদযাপনের উপলক্ষ হিসেবে দেখার পরামর্শ দিয়ে বলেছে, “মানব ইতিহাসের এক যুগান্তকারী মুহূর্তে উপস্থিত আমাদের এই পৃথিবী। আগামী ১৫ নভেম্বর এই গ্রহের মোট জনসংখ্যা ৮০০ কোটিতে পৌঁছাবে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগান্তকারী সব উদ্ভাবনের কল্যাণে আজ আমরা দীর্ঘ আয়ু পেয়েছি, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করছি।”বিশ্ব মানব পরিবারের জনসংখ্যা ১০০ কোটি থেকে ২০০ কোটি হতে লেগেছে ১২৫ বছর। আর এই জনসংখ্যা ৭০০ কোটি থেকে ৮০০ কোটি হতে চলেছে মাত্র ১২ বছরে। সূত্র: বিডি নিউজ