আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১০, ২০২২

সংকটে স্বস্তির ঋণ

অর্থনীতিতে সংকট চলছে। সরকারও বারবার সাবধান বাণী উচ্চারণ করছে। এই সময় আইএমএফের ঋণের সবুজ সংকেত কিছুটা স্বস্তি দেবে। তবে অর্থনীতির সামগ্রিক উন্নতির জন্য দরকার সংস্কার।আর আইএমএফের পক্ষ থেকে তা থাকল ঋণের স্বীকৃত-অস্বীকৃত শর্ত হিসেবে। অবশ্য আইএমএফের একটি শর্ত শুরুতে মানতে হয়েছে। সেটা হলো রিজার্ভের হিসাব। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবের সঙ্গে দ্বিমত ছিল আইএমএফের। বাংলাদেশ সেই আপত্তি মেনে নিয়েছে। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের হিসাব জানিয়েছিল ৩৪ বিলিয়ন ডলার। গতকাল তা থেকে আট বিলিয়ন ডলার বাদ দিয়ে রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন ডলার বলে জানিয়েছে। বাকি অর্থে মূলত রপ্তানি ও বিনিয়োগ উন্নয়ন নামের দুটি তবহিল করা হয়েছে এবং শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দেওয়া হয়েছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন হত্যার ঘটনায় বান্ধবীকে আসামি করে মামলা

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর ওরফে পরশ হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ফারদিনের বাবা বাদী হয়ে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় রাজধানীর রামপুরা থানায় মামলা করেন। মামলায় ফারদিন নূরের বান্ধবীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ফারদিন নূরের বান্ধবীসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা তাঁর ছেলেকে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে নদীতে ফেলে দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মামলাটি তদন্ত করে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছি।’ সূত্র: প্রথম আলো

ডলার সংকটে বাংলাদেশ ভারত অনানুষ্ঠানিক বাণিজ্য আবারো বাড়ছে

দীর্ঘ সীমান্ত ও সাংস্কৃতিক নৈকট্যের কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অত্যন্ত জোরালো বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। একসময় দুই দেশে পণ্য আমদানি-রফতানির বড় একটি অংশ ছিল অনানুষ্ঠানিক। তবে গত এক দশকে একাধিক বাণিজ্য চুক্তি সই, আমদানি-রফতানি সহজীকরণ, শুল্ক বাধা দূর করা, দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের সতর্ক প্রহরা এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার হওয়ায় সীমান্তকেন্দ্রিক অনানুষ্ঠানিক বাণিজ্য অনেকটাই কমে এসেছিল। এর বিপরীতে আনুষ্ঠানিক বাণিজ্যের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে দ্বিগুণেরও বেশিতে। ২০১০-১১ অর্থবছরেও বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যের মোট আকার ছিল ৫ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরে তা সাড়ে ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে দুই দেশের মধ্যে সীমান্তকেন্দ্রিক অনানুষ্ঠানিক বাণিজ্যের পরিমাণ এখন আবারো বাড়তে শুরু করছে। বাংলাদেশ ও ভারতে সীমান্তরক্ষী বাহিনী প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চোরাচালানির মাধ্যমে সীমান্ত পার হয়ে দুই দেশেই প্রবেশ করছে প্রচলিত ও নিষিদ্ধ নানা ধরনের পণ্য। এ তালিকায় চাল, পেঁয়াজের মতো নিত্যপণ্য যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে বিস্ফোরক ও মাদকের মতো নিষিদ্ধ পণ্যও। ভারত থেকে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে গবাদিপশু, মাদক, কসমেটিকস, শাড়ি ইত্যাদি দ্রব্য। আবার বাংলাদেশ থেকে পাচার হচ্ছে তুলা, কাপড়, চামড়া, স্বর্ণ, মাছ, ইলেকট্রনিকস ও কম্পিউটার পার্টস, সার, জ্বালানি ও ভোজ্যতেলের মতো পণ্য। বিশেষ করে সম্প্রতি স্বর্ণ চোরাচালানের মাত্রা অনেকটাই বেড়েছে। সূত্র: বণিক বার্তা।

Nagad

এককালে তুমুল জনপ্রিয় ঢাকার এফএম রেডিও স্টেশনগুলির পতন হলো যেভাবে

মোটামুটিভাবে ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সময়টা ছিল– এফএম রেডিওর স্বর্ণযুগ। এটা এমন একটা সময় ছিল, যখন ঢাকাবাসীর কানে দেখা যেত হেডফোন। কাজ করতে করতে, পথ চলতে চলতে রেডিও শুনছেন তারা। তখন নতুন গানগুলো প্রথমে রেডিওতেই মুক্তি পেত। হাজার হাজার শ্রোতা ম্যাসেজ করে অনুরোধ করতেন তাদের প্রিয় গান বাজানোর। সে সময়ে এতটাই এফএম রেডিওর জয়জয়কার ছিল, যে মানুষ তাদের গাড়ির সিডি প্লেয়ারের জায়গায় রেডিও বসিয়ে নিত। আর উন্মাদনার কেন্দ্রে ছিলেন আরজে’রা (রেডিও জকি)। এমন এক জনপ্রিয় রেডিও জকি ছিলেন আরজে সায়েম। তার ফ্যানবেইজও ছিল বেশ বড়। একবার তার সিলেটের ভক্তরা একটি ফ্যান ক্লাব খুলে বসে এবং তাকে অনুরোধ জানায় সেটির উদ্বোধন করার। সিলেটে যাওয়ার টিকেট থেকে শুরু করে হোটেল ঠিক করা পর্যন্ত ভালোবেসে পুরোটাই করে দেয় তার ভক্তরা। আর সেখানে গিয়ে এত এত উপহার পান, যে সেগুলো আনার জন্য আরেকজনের সাহায্য নিতে হয়েছিল। সেই সোনালী দিনের রেডিও জকিদের ঝুলিতে আছে– তাদের ভক্তদের সাথে অনেক মজার গল্প; যা তারা স্মৃতির ভাণ্ডারে রেখেছেন পরম যত্নে। কিন্তু, ঢাকার এফএম রেডিওগুলি ফেলে এসেছে সে সোনালী সময়। সেই রঙিন দিনগুলো যেন অনেক আগেই হারিয়ে গেছে। রেডিও যে একেবারেই নেই- তা নয়। এখনো অনেক এফএম রেডিও চালু আছে, তবে আগের মতো আর সেগুলো মানুষের কথোপোকথনের কেন্দ্রবিন্দুতে নেই, যেমনটি আগে ছিল। এর পেছনে অনেক কারণ আছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। প্রথমত রেডিওর প্রতি জনসাধারণের আগ্রহ কমে গেছে। আর ঘণ্টাপ্রতি বিজ্ঞাপনের সময় ২০ মিনিট থেকে গড়ে পাঁচ মিনিটে নেমে আসায় কমেছে আয়। (অর্থাৎ রেডিও স্টেশনগুলো বিজ্ঞাপন দিয়ে স্লটগুলো ঘণ্টাপ্রতি মাত্র পাঁচ মিনিট পূরণ করতেও হিমশিম খায়)।তাছাড়া, প্রোগ্রামগুলো এখন টাইটেল স্পন্সর ছাড়াই চালাতে হয়– যেখানে আগেকার দিনে স্পন্সরদের লম্বা সারি লেগে যেত। আরজে সায়েম রেডিও ক্যাপিটাল-এর হেড অভ অপারেশন্সের পদ থেকে অবসরের মাধ্যমে এই ইন্ডাস্ট্রি ছাড়েন। তিনি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, ‘সেলিব্রেটি থেকে সাধারণ মানুষ, সবাই রেডিও নিয়ে কথা বলত। কিন্তু, এখন আর কেউ কথা বলে না। এখন রেডিও আদৌ কেউ শোনে কিনা- তা নিয়েও আমার সন্দেহ হয়।’রেডিও টুডে এবং রেডিও ফ্রুটিতে কাজ করার সময়ে সায়েমের ক্যারিয়ার ছিল তুঙ্গে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

যেভাবে ঋণ চেয়েছি সেভাবেই পেয়েছি : অর্থমন্ত্রী
মিলল আইএমএফ’র ৪৫০ কোটি ডলার
যত শর্ত : খেলাপি ঋণ ১০% নিচে রাখা, অ্যাসেস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি গঠন, ব্যাংকের মূলধন ব্যাসেল-৩ অনুযায়ী পূরণ, রাজস্ব বাড়ানো ও ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন, নিট রিজার্ভ রাখা, জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়

জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) ৪৫০ কোটি (৪.৫ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে প্রথম কিস্তির প্রায় ৪৪ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার পাওয়া যাবে ফেব্রুয়ারিতে। ঋণের বাকি ৪০৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার দেওয়া হবে ৬টি কিস্তির মাধ্যমে। প্রতি ছয় মাস অন্তর প্রতি কিস্তি ৬৭ কোটি ৫৫ লাখ ডলারে দেওয়া হবে। পুরো ঋণের অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে আসবে ২০২৬ সালের মধ্যে। বুধবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আইএমএফ’র ঋণ পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেছেন, যেভাবে চেয়েছি, ঠিক সেভাবেই ঋণ পেয়েছি। অনেকে সমালোচনা করে বলেছেন, কঠিন শর্ত দিচ্ছে আইএমএফ। ঋণ পাওয়া যাবে না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই ব্রিফিংয়ে ঋণের সুদ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রথম কিস্তির জন্য কোনো সুদ দিতে হবে না। দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ কিস্তির ঋণের সুদহার হবে ২ দশমিক ২ শতাংশ। তবে শেষ দুই কিস্তির সুদহার ২ শতাংশ হবে। তবে আইএমএফ মনে করছে, সুদহার কমতে পারে। জানা যায়, আইএমএফ এই ঋণের বিপরীতে যে শর্ত দিয়েছে, সেগুলো হচ্ছে-হিসাবে খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের নিচে রাখা, খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে অ্যাসেস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি গঠন, ব্যাংকের মূলধন ব্যাসেল-৩ অনুযায়ী পূরণ, রাজস্ব আদায় বাড়ানো ও ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন, গ্রস নয় রিজার্ভের নিট হিসাব করা এবং জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে ওঠানামা পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। সূত্র: যুগান্তর।

কীভাবে কাতার বিশ্বকাপ পেয়েছে, নেপথ্যে কে ফাঁস করলেন ব্লাটার

নিকোলাস সারকোজি- বিশ্ব রাজনীতির আঙিনায় সে সময় যাঁকে নিয়ে চলে তুমুল বিতর্ক; সেপ ব্লাটার- দুর্নীতি, ভোট-বাণিজ্য থেকে শুরু করে ফিফার আর্থিক ভান্ডার ভাঙিয়ে খাওয়ার দায়ে যাঁকে যেতে হয়েছিল আদালতের কাঠগড়ায়, আরেকজন মিশেল প্লাতিনি- আপাদমস্তকে একজন নীতিবহির্ভূত মানুষ, যত দিন উয়েফার ‘মাস্টার কি’ ছিল তাঁর হাতে, তত দিন যা ইচ্ছে তা-ই করে বেড়িয়েছেন। ২০১০ সালের দিকে এই তিন মোড়লই ফন্দি আঁটেন লোকচক্ষুর আড়ালে। এরপর তো বেচেই দেন ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশের টিকিটটা।এতদিনে সেই হাঁড়ির খবরটা ফাঁস করলেন তাঁদেরই একজন সেপ ব্লাটার। সুইস সংবাদমাধ্যম তাগেস-আন্তসাইগারের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে দোষটা নিজের ঘাড়েই নিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি এটাও জানিয়েছেন, ওই সময় কীভাবে কী হয়েছিল। কাতারকে আয়োজক বানাতে তাঁদের নীলনকশার একটা অংশও তুলে ধরেন সাবেক এই ফিফা প্রেসিডেন্ট, ‘আসলে কাতার আয়তনের দিক থেকে খুবই ছোট দেশ। ফুটবল বিশ্বকাপ বড় একটা বিষয়। কাতারকে বিশ্বকাপের মতো বড় আসরের আয়োজন করতে দেওয়া ভুল ছিল। সে সময় আমিই ছিলাম ফিফা সভাপতি, এমন ভুলের জন্য আমি নিজেই দায়ী।’ ২০১০ সালে ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজন হতে লড়েছিল পাঁচটি দেশ- যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। যেহেতু ফিফাপ্রধানের হাতে থাকে চারটি ভোট, তাই তাঁকে হাত করতে পারলেই বড় কিছু সম্ভব হবে বলে ধরে নেয় কাতার। সে সময় কাতারের প্রিন্স ও বর্তমান আমির শেখ তামিম নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে লবিং করতে থাকেন। ভৌগোলিক রাজনীতিকেও হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগায় কাতার। সূত্র: সমকাল

প্রধান সড়কে ময়লার স্তূপ

পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার-গুলিস্তান সড়কের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার লুতফুর রহমান সড়কের মাথায় আশপাশের সব এলাকার ময়লা এনে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। আর এসব আবর্জনার দুর্গন্ধে সৃষ্টি হয়েছে জনদুর্ভোগ। প্রবল দুর্গন্ধের মাঝেও ময়লার স্তূপের সামনে দিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে স্কুল-কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের। সিটি করপোরেশনে বারবার অভিযোগ দিয়েও কোনো সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
৩৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ একটা সড়কের মাঝখানে ময়লা ফেলে এটাকে রীতিমতো ভাগাড়ে পরিণত করা হয়েছে। দিনের পর দিন ময়লা ফেলে রাখা হয়। নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। এ নিয়ে সিটি করপোরেশনের কাছে বারবার অভিযোগ দিয়েও কোনো ‍সুরাহা হয়নি। দুর্গন্ধের কারণে আশপাশে দোকানদার ও পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বহু দিন ধরে। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম কার্যকর মাধ্যম

বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটানোর অন্যতম সহজ উপায় হচ্ছে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বাড়ানো। বৈধ উপায়ে বিদেশি মুদ্রার প্রবাহ বাড়াতে প্রবাসীদের জন্য রেমিট্যান্স পাঠানো সহজ করার পাশাপাশি সুবিধাভোগীর কাছেও তা নিরাপদে, তাৎক্ষণিকভাবে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্লাটফর্মই হতে পারে সবচেয়ে ভালো মাধ্যম।
গতকাল বুধবার ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত সেমিনারে এমন অভিমত তুলে ধরেন বক্তারা। রাজধানীর পুরানা পল্টনে সংগঠনটির কার্যালয়ে ‘বৈধ পথে সহজে নিরাপদে ডিজিটাল মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এতে অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার ও বিশেষজ্ঞরা নানা সুপারিশ তুলে ধরেন। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ যারা রেমিট্যান্স গ্রহণ করেন, তাদের ব্যাংকে গিয়ে লেনদেনের বিষয়ে এক ধরনের সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব আছে। ফলে ঘরে বসেই অবৈধ পথে রেমিট্যান্স গ্রহণ করাকেও তারা অপেক্ষাকৃত সহজ মনে করেন। বৈধপথে রেমিট্যান্স আনতে যারা কাজ করছেন তাদের সঙ্গে প্রবাসীদের দূরত্ব কমাতে না পারলে রেমিট্যান্স বাড়ানো যাবে না। এজন্য সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিচ্ছে। এক্ষেত্রে ডিজিটাল মাধ্যম কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। সূত্র: দেশ রুপাতন্তর

শব্দদূষণে বাড়ছে নানা রোগ

ভয়াবহ শব্দদূষণের কবলে দেশের রাজধানী ঢাকাসহ সিটি করপোরেশনগুলো। শুধু সড়কেই নয়, আবাসিক বা নীরব এলাকায় উচ্চ শব্দের হর্ন বাজিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে যানবাহন। শব্দদূষণের কারণে ৪২ ভাগ রিকশাচালক ও ৩১ ভাগ ট্রাফিক পুলিশ কম শুনছেন কানে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত শব্দদূষণ শুধু শ্রবণশক্তিই নষ্ট করে দিচ্ছে না, বাড়িয়ে তুলছে হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনি ও মানসিক রোগসহ নানা শারীরিক ও মানসিক জটিলতা। কমিয়ে দিচ্ছে সন্তান জন্মদানের ক্ষমতাও। লোপ পাচ্ছে শিশুর মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

জানুয়ারিতে পাস না হলে আটকে যাবে দেড়শ আসনে ইভিএমের ভোট: আলমগীর
ইসির ৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটি কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে ফেরত পাঠিয়েছে ইসি।

আগামী সংসদ নির্বাচনে অর্ধেক আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা নিয়ে আট হাজার টাকার প্রকল্প দাঁড় করিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।কয়েকটি পর্যবেক্ষণ দিয়ে তা পরিকল্পনা কমিশন থেকে ফেরত আসার পর ইসির পক্ষ বলা হল, মধ্য জানুয়ারিতে এই প্রকল্প অনুমোদন না পেলে তাদের পরিকল্পনা আটকে যাবে। নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বুধবার তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “প্রজেক্টটা মধ্য জানুয়ারির মধ্যে পাস না হলে পরবর্তী কাজগুলো করা সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে আমাদের অতিরিক্ত ইভিএম ব্যবহার সম্ভব হবে না।”আগামী বছরের শেষে কিংবা ২০২৪ সালের শুরুতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। ওই নির্বাচনে সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে দেড়শ আসনে যন্ত্র বা ইভিএমে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনাও সাজিয়েছে ইসি।বর্তমানে ইসির কাছে যে দেড় লাখ ইভিএম রয়েছে, তা দিয়ে সর্বাধিক ৭০-৮০টি আসনে যন্ত্রে ভোট নেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। সূত্র: বিডি নিউজ