আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৮, ২০২২

২০২৩ সাল আরও কঠিন হতে পারে
খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুত রাখা, কৃষিপণ্যের উৎপাদন বাড়ানো, জঙ্গিদের বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়াসহ বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সচিবদের।
খাদ্যশস্যের সরকারি মজুত যাতে ১৫ লাখ টনের নিচে না নামে।
বিভিন্ন সংস্থার পতিত প্রায় আড়াই লাখ একর জমিতে উৎপাদনের নির্দেশ।
জ্বালানি, স্যার ও খাদ্যপণ্যে আমদানির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
ইসলামী ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংকের প্রকৃত চিত্র অবহিত করার নির্দেশ।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ কয়েকটি কারণে বিশ্বব্যাপী যে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে, তা সহজেই কাটছে না। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পূর্বাভাসের ভিত্তিতে সরকার মনে করছে, সামনের বছর ২০২৩ সাল আরও ‘কঠিন’ হতে পারে। এমন প্রেক্ষাপটে এখন থেকেই খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুত রাখা, কৃষিপণ্যের উৎপাদন বাড়ানো, নিত্যপণ্যে সরবরাহ ঠিক রাখা, ওএমএসসহ এ জাতীয় কার্যক্রমগুলো স্বাভাবিক রাখা, ব্যয় সংকোচন করাসহ সচিবদের একগুচ্ছ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জঙ্গিদের বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়াসহ আরও কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত সচিবসভার বৈঠকে এসব নিয়ে আলোচনার পর নির্দেশনা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় সচিবসভার বৈঠক। এতে প্রায় সব সচিব উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় পর অনুষ্ঠিত হলো ওই বৈঠক। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থেকে বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা দেন।সর্বশেষ গত বছরের ১৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল সচিবসভা। প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত বৈঠককে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা হয়। এর মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচনের বছরখানেক আগে অনুষ্ঠিত এই সভায় বাড়তি গুরুত্ব হিসেবে দেখা হচ্ছে। অবশ্য নির্বাচন সামনে রেখে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। সূত্র: প্রথম আলো

অত্যাধুনিক সেবা নিয়ে তৃতীয় টার্মিনাল চালু হচ্ছে অক্টোবরে

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে ৫১ শতাংশ। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর অক্টোবরে নতুন এই টার্মিনাল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের অন্যতম এই মেগাপ্রকল্পের কাজের অগ্রগতি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। এটি নির্মাণ শেষ হলে শাহজালালের যাত্রীসেবার মান আমূল বদলে যাবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।বেবিচক সূত্র জানায়, থার্ড টার্মিনাল চালু হলে বিমানবন্দরের সক্ষমতা বাড়বে আড়াই গুণ। ফলে তিনটি টার্মিনাল দিয়ে বছরে শাহজালালের যাত্রী পারাপারের সক্ষমতা ৮০ লাখ থেকে বেড়ে দুই কোটি ২০ লাখে দাঁড়াবে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

সচিব সভায় খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী
ছোঁয়া যাবে না আপৎকালীন মজুদ
চলবে ওএমএস টিসিবি ভিজিডি ♦ আবাদযোগ্য জমি পতিত নয় ♦ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির বিকল্প নেই ♦ এ বি সি ক্যাটাগরি মেনে প্রকল্প বাস্তবায়ন ♦ বিদেশি ঋণের প্রকল্প বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ সতর্কতা ♦ ব্যাংক খাতের পরিস্থিতি জানানোর নির্দেশ ♦ রেমিট্যান্স বৃদ্ধি ও সুশাসনে জোর

করোনা মহামারি-পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আগামী বছর (২০২৩) বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিতে পারে। এ কারণে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ যাতে অর্থনৈতিক সংকটে না পড়ে, সেজন্য সংশ্লিষ্টদের আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন, খাদ্যের আপৎকালীন মজুদে হাত দেওয়া যাবে না। সংকট মোকাবিলায় দেশের আপৎকালীন মজুদ অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। কোনোভাবেই যেন সরকারি গুদামে মজুদের পরিমাণ ১৫ লাখ মেট্রিক টনের কম না হয়। বর্তমানে দেশে ১৬ লাখ টন খাদ্য মজুদ রয়েছে। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সচিব সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব নির্দেশনা দেন। এতে সভায় খাদ্য সচিব ছাড়া অধিকাংশ সচিবই উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব, বিদ্যুৎ সচিব, আইন সচিব, জননিরাপত্তা সচিব, ভূমি সচিব, কৃষি সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিবসহ মোট ১৭ জন সচিব নিজ নিজ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আওতাধীন বিষয়ে বক্তব্য দেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আরও রয়েছে- দেশের খাদ্য নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, তা নিয়ে কাজ করতে হবে। সংকট যেন না হয়, এজন্য আমদানি ও উৎপাদন বাড়াতে হবে। এক ইঞ্চি আবাদযোগ্য জমি পতিত রাখা যাবে না। সূ্ত্র: বিডি প্রতিদিন।

Nagad

দুটি পদ্মা সেতু নির্মাণ খরচের সমান
দশ প্রকল্পে বাড়তি ব্যয় ৫২০০০ কোটি টাকা

নির্ধারিত সময় ও ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না দেশের গুরুত্বপূর্ণ ১০টি উন্নয়ন প্রকল্প। দায়িত্বপ্রাপ্তদের গাফিলতি, নকশায় ত্রুটি, সঠিকভাবে সম্ভাব্যতা যাচাই না হওয়া, পণ্যমূল্য বেড়ে যাওয়া এবং যথাসময়ে অর্থ না পাওয়ার কারণেই মূলত এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া আছে ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন ব্যয়বৃদ্ধি, অহেতুক দীর্ঘসূত্রতা, বাস্তবায়নে নানা অনিয়ম এবং নতুন কাজ অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টিও। এতে প্রকল্পগুলোয় এখন পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৪৪১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, যা দুটি পদ্মা সেতু নির্মাণ ব্যয়ের সমান।এছাড়া কোনো প্রকল্পই নির্ধারিত মেয়াদে শেষ হয়নি। ফলে বাস্তবায়নের মেয়াদ কমপক্ষে আড়াই বছর এবং সর্বোচ্চ ৯ বছর বাড়তি সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। চিহ্নিত সমস্যাগুলো জরুরি ভিত্তিতে দূর করা না হলে বর্ধিত মেয়াদের মধ্যেও কয়েকটির বাস্তবায়ন শেষ নাও হতে পারে, সেক্ষেত্রে আবার বেড়ে যেতে পারে প্রকল্প ব্যয়-এমন আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। সূত্র: যুগান্তর।

পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু, ডিসেম্বরে আসছে আদানির বিদ্যুৎ

বিল পরিশোধে চাপ আরো বাড়বে সরকারের

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রফতানির জন্য ভারতের ঝাড়খন্ডের গড্ডায় নির্মিত আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্র পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করেছে। কেন্দ্রটি প্রথম ইউনিটের ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে। আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্র এমন সময় উৎপাদনে এল, যখন দেশের বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে কেনা বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করতে পারছে না সরকার। এ অবস্থায় আদানির বিদ্যুৎ ক্রয় বাবদ যে পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হবে, তা সরকারের আর্থিক খাতে আরো এক দফা চাপ তৈরি করবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে বেসরকারি বিদু্যুৎকেন্দ্রগুলোর পাওনা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকার মতো (অক্টোবর পর্যন্ত)। ডিসেম্বরে আদানির বিদ্যুৎ কেনা শুরু হলে বড় অংকের অর্থ পরিশোধ করতে হবে বিপিডিবিকে। আমদানির এ বিদ্যুতের দাম পরিশোধ করতে হবে ডলারে। সরকারের অর্থ সংকটের পাশাপাশি এ মুহূর্তে ডলারেরও তীব্র সংকট চলছে। এ অবস্থায় আদানির বিদ্যুৎ কেনায় বাড়তি কোনো সুফল দেখছেন না জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: বণিক বার্তা।

১৬ কোটি মানুষকে তিন মাস খাওয়ানো যাবে– এ পরিমাণ খাদ্য নষ্ট হচ্ছে প্রতিবছর

জলবায়ু সংকটের চরম প্রভাব, যুদ্ধ এবং মহামারির কারণে ব্যাপক খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ার সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে বারবার। তারপরও ভাগাড়ে বাড়ছে খাদ্য বর্জ্যের স্তূপ। ধনী দেশগুলোর কাছে এটি মিথেন গ্যাস নিঃসরণ বৃদ্ধির মতো জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত উদ্বেগ। কিন্তু, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য– বছরে ১.৪৫ কোটি টন খাদ্য অপচয়– দুর্ভিক্ষের আসন্ন হুমকির মতোন গুরুতর। লাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও জাতিসংঘের তথ্যমতে, নষ্ট নাহলে এই খাদ্য দিয়ে ১৬ কোটি মানুষকে তিন মাস খাওয়ানো যেত।
অথচ মাঠ থেকে শস্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে গুদামজাতকরণ এবং সেখান থেকে পরিবহন পর্যায়ে খাদ্যের অপচয় কমাতে সরকারের ছিল দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন কর্মসূচি। এসব কর্মসূচিতে ফসল সংগ্রহ পর্যায়ে দুর্বলতার মতো বিষয় দূরীকরণকে অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে রাখা হয়। এমন একটি পাইলট প্রকল্প সাফল্যের মুখও দেখেছিল। কিন্তু, তাতে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি তারপরে। এদিকে বারবার বৈশ্বিক খাদ্য সংকটের হুঁশিয়ারি দিচ্ছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও বা ফাও)। এই বাস্তবতায়, জনগণকে সম্ভাব্য খাদ্য সংকটের বিষয়ে সতর্ক করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

টাকা থাকলে জেলও মুক্ত জীবনের মতো

মোবাইলে কথোপকথনের প্রায় ১০ মিনিটের একটি অডিও রেকর্ড। এক প্রান্ত থেকে একজন কার কার বাসায় ডাকাতি করা যাবে সেসব নির্দেশনা দিচ্ছেন। ফিসফিসিয়ে কথা বলছেন তিনি। অন্য প্রান্তে থাকা ব্যক্তি সেসব নির্দেশনা শুনে যাচ্ছেন। মাঝেমধ্যে সম্মতিসূচক আলাপচারিতাও চলছে। এটি আড়িপাতা কোনো অডিও রেকর্ড নয়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ডাকাত সন্দেহে কয়েক যুবককে গ্রেপ্তারের পর তাদের এক সহযোগীর মোবাইলে এই অডিও রেকর্ড পাওয়া যায়। ওই ডাকাত দল সাধারণ কেউ নয়, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য। আর যে দুজন কথা বলেছেন, তার একজন জঙ্গি সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম হৃদয়। অন্যজন কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি কারাগারে থাকা আরেক জঙ্গি আল-আমিন। পরে আল-আমিনকেও ওই ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে আনা হয়। জেল থেকেই মোবাইল ফোন ব্যবহার ও ডাকাতির নির্দেশনা দেয়ার কথা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন আল-আমিন। শুধু মোবাইল ফোনই নয়, কারাগারে টাকা দিলে সবই মেলে। উন্নত জীবনযাপনের প্রায় সব ধরনের সুবিধাই পাওয়া যায় সেখানে। মোবাইলে কথোপকথন, ইন্টারনেট ব্যবহার, ভালো খাবার কিংবা মাদক- সবই হাতের নাগালে।গত বছরের প্রথম দিকে কারাগারে থাকা অবস্থায় হল-মার্কের কর্মকর্তা তুষারের নারীসঙ্গের একটি ঘটনাও ফাঁস হওয়ার পর তোলপাড় হয়েছিল। জেল থেকে আদালতে আনা-নেয়ার মধ্যবর্তী সময়ে নিজ বাসায় স্ত্রীর সঙ্গে একান্ত সময় কাটানোর তথ্যও রয়েছে। দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার আব্বাস ও কাইল্যা পলাশ আদালতে আনা-নেয়ার সময় নিজ বাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ সময় কাটাতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।সম্প্রতি কারাগার থেকে আদালতে ১২ জঙ্গিকে হাজির করার পর শুনানি শেষে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় কারাগারের ভেতর দুর্নীতি ও বাণিজ্যের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কারাগারের ভেতরটি পুরোপুরি দুর্নীতি আর অনিয়মে ভরা। যার টাকা আছে, কারাগারে তার কোনো সমস্যা হয় না। একমাত্র বাইরে মুক্ত বাতাসে ঘোরাঘুরি ছাড়া বাকি সবই পাওয়া যায় টাকার বিনিময়ে। একশ্রেণির অসাধু কারা কর্মকর্তা ও দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা মিলে একেকটি সিন্ডিকেট তৈরি করেছে দেশের বিভিন্ন কারাগারের ভেতর। এই সিন্ডিকেটই নিয়ন্ত্রণ করে কারাগারের সবকিছু। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

ভয়ংকর এলসি জালিয়াতি: এসআইবিএলের ১৬ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে দুই প্রতিষ্ঠান

প্রশ্নবিদ্ধ আমদানি ঋণপত্রে (এলসি) আটকে গেছ সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ১৬ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা। বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্স না থাকলেও বছরের পর বছর ধরে ব্যাক টু ব্যাক এলসি খুলে এই অর্থ নিয়ে গেছে দুটি প্রতিষ্ঠান। কাগজে-কলমে কাঁচামাল আমদানি দেখানো হলেও এর বিপরীতে পণ্য রপ্তানি হয়নি। প্রতিষ্ঠানের গুদামেও এসব কাঁচামাল বা পণ্যের অস্তিত্ব নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে ধরা পড়েছে এলসি জালিয়াতির ভয়ংকর এ ঘটনা। শুল্ক ও তদন্ত অধিদপ্তরে পাঠানো বাংলাদেশ ব্যাংকের আলাদা দুটি চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। কারসাজির মাধ্যমে ঋণ নিয়ে বিপুল পরিমাণ এই অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়েছে কিনা—এমন প্রশ্ন তুলছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। চলতি বছরের ২১ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি ও কাস্টমার সার্ভিসেস বিভাগ থেকে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরে পাঠানো চিঠির তথ্য অনুযায়ী, এসআইবিএলের বনানী শাখা থেকে শার্প নিটিং অ্যান্ড ডাইং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান ২০১৫ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ৮৮৯টি ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলে। এসব এলসির বিপরীতে ব্যাংকটি পরিশোধ করেছে ১৫৮ কোটি ৫০ লাখ ২৪ হাজার ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ১৬ হাজার ৬৪২ কোটি ৭৫ টাকা। সূত্র: কালবেলা।

ডিসেম্বরে চালু হতে পারে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, পরিবেশ বিপর্যয়ের ঝুঁকি থাকছেই

বাংলাদেশে পরিবেশ ইস্যুতে বহুল আলোচিত-সমালোচিত রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করতে পারে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা আভাস দিয়েছেন।আপাতত প্রকল্পের মোট দুটি ইউনিটের মধ্যে একটি ইউনিট এর সর্বোচ্চ সক্ষমতায় ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে কিনা, সে বিষয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে সঞ্চালন লাইনে দেয়া হয়।সেখানে কিছু সমস্যা ধরা পড়ায় সেগুলো সমাধানে কাজ চলছে বলে জানাচ্ছেন কর্মকর্তারা।পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেইন জানান, সব ঠিকঠাক থাকলে ন্যাশনাল লোড ডেসপাস সেন্টারের (এনএলডিসি) সনদ পাওয়া যাবে।সে হিসেবে ডিসেম্বর নাগাদ বিদ্যুত কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডের সঞ্চালন লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

চার মাস ধরে কাজ শুরুর অপেক্ষায় একটি কারখানা
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিসিক শিল্প নগরীতে এমএস ডায়িং, প্রিন্টিং অ্যান্ড ফিনিশিং লিমিটেডের নতুন কারখানাটি গত জুলাই মাসে যখন উৎপাদনে যাওয়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হল, তখনই দেশে গ্যাস সংকট বাজে চেহারা নিল। ফলে শুরুতেই যাত্রানাস্তি। প্রায় দুই বছরের চেষ্টায় সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬০ টন উৎপাদন সক্ষমতার ওই ডায়িং প্ল্যান্টটি স্থাপন করেছে এমএস ডায়িং। সেখানে এখনও কাজ শুরু করা যায়নি।নতুন ওই কারখানার পাশেই ৩৫ টন উৎপাদন সক্ষমতার আরেকটি পুরোনো ডায়িং ইউনিট রয়েছে এমএস ডায়িংয়ের। স্বল্প চাপের গ্যাস দিয়ে পুরোনো ইউনিটে সক্ষমতার ১৫ শতাংশ কাজ করা যাচ্ছে।এমএস ফিনিশিংয়ের মত একই দশা এমবি ফ্যাশন, ফোর ডিজাইন লিমিটেডসহ শিল্প নগরীর অন্য কারখানাগুলোর। শিল্প মালিকরা অভিযোগ করছেন, নারায়ণগঞ্জের অন্যান্য শিল্প এলাকা, গাজীপুর আর চট্টগ্রাম– সবখানেই শিল্প কারখানাগুলো গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটে ধুঁকছে। সূত্র: বিডি নিউজ