নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ : প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৬:০৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৮, ২০২২

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, নিরাপদ অভিবাসনের লক্ষ্যে জনসচেতনতা বাড়াতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের সরকার বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলা থেকে বছরে গড়ে ১ হাজার কর্মীকে বিদেশে পাঠানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এ লক্ষ্য অর্জনে সরকারের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগী, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, এনজিও, সুশীলসমাজসহ সব অংশীজনকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে অতিক্রম করা সম্ভব।

ইমরান আহমদ আজ রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো: আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। সভাপতিত্ব করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।

প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার জন্য দক্ষ জনশক্তির কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যথাযথ প্রশিক্ষণ পেলে আমাদের অভিবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে আরও বড় অবদান রাখতে পারবে’।

Nagad

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় উপজেলা পর্যায়ে একটি করে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ কর্মী তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী চলতি বছরের ২৮জুলাই ২৪টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন। এরই ধরাবাহিকতায় মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে আরো ১০০ টি উপজেলায় ১০০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রনির্মাণ প্রকল্প অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ইমরান আহমদ বলেন, ‘আমাদের অভিবাসী কর্মীরা দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখছেন। দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে তারা দেশের সুনাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিচ্ছেন। রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন ও জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদের অভিবাসী কর্মীরা বিশেষ অবদান রাখছেন।’

অন্যান্যের মধ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: শফিকুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা’র (আইএলও) ট্রমো পটেনিন, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) চীফ অব মিশন আব্দুসাত্তার ইসোয়েভ, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডর মহাপরিচালক মো: হামিদুর রহমান, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো: শহীদুল আলম, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সীস’র (বায়রা) সভাপতি আবুল বাশার ও এনআরবি সিআইপি এসোসিয়েশনের সভাপতি মো: মাহতাবুর রহমান এ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

এ অনুষ্ঠান এন আরবি-সি আই পি ২০১৯’র জন্য মনোনীত ৬৭ জন প্রবাসী বাংলাদেশীকে ক্রেস্ট ও সম্মাননা এবং ১৬৮৮ জন প্রবাসী কর্মীর সন্তানদের বৃত্তি প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সারাদিন. ১৮ ডিসেম্বর