ডা. জাহাঙ্গীর সাত্তার টিংকুর ১১ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ৯:১৬ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩

আজ ডা. জাহাঙ্গীর সাত্তার টিংকুর ১১ তম মৃত্যুবার্ষিকী। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের প্রথম সারির এই নেতা ২০১২ সালের এই দিনে ভোর ৪ টায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। মস্তিষ্কের ক্যান্সারের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

২০১০ সালের নভেম্বরে টিংকুর মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পড়লে তাকে যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুরে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে তা ক্যান্সারে রূপ নেয়। ২০১২ সালের জানুয়ারিতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভর্তি করানো হয়েছিল রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

সময়ের সাহসী সন্তান জাহাঙ্গীর সাত্তার টিংকুর জন্ম ১৯৬৩ সালের ১০ নভেম্বর চট্টগ্রামের রাউজানের কদলপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারে। ১৯৮৯ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন তিনি। স্কুল জীবনেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে হাতেখড়ি তার। চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধি ছিলেন তিনি।

১৯৮৯-৯০ মেয়াদে অধুনালুপ্ত বাকশাল সমর্থিত জাতীয় ছাত্রলীগের সর্বশেষ সভাপতি ছিলেন তিনি।

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় ‘সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য’ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন টিংকু। পরে ১৯৯১ সালে মহিউদ্দিন আহম্মেদ ও আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বাধীন বাকশাল আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হলে টিংকুও আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কার্যকরী কমিটির সদস্য।

রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, শিক্ষা, সেবা, ক্রীড়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন টিংকু। এক সময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রিকেট দলের ওপেনিং ব্যাটসম্যান ছিলেন তিনি। চট্টগ্রাম সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও কর্মজীবনে একটি নির্মাণ সংস্থার চেয়ারম্যান ছিলেন।

Nagad

প্রতি বছর এই দিনে ডা. জাহাঙ্গীর সাত্তার টিংকু স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে এই প্রয়াত ছাত্রনেতার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়। মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া মাহফিলসহ বিভিন্ন আয়োজনের ভেতর দিয়ে তাঁকে স্মরণ করা হয়।