আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩

সংসদীয় আসনের খসড়া প্রকাশ শিগগিরই
জনসংখ্যার বড় পার্থক্য রেখেই সীমানা
৭৫ আসনে গড় জনসংখ্যার চেয়ে ২৬-৮৮ শতাংশ ব্যবধান

দেশের অন্তত ৭৫টি সংসদীয় আসনে জনসংখ্যার বড় ব্যবধান রেখেই সীমানা পুনর্নির্ধারণের খসড়া প্রকাশ করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব সংসদীয় আসনে সংশ্লিষ্ট জেলার গড় জনসংখ্যার চেয়ে ২৬ থেকে ৮৮ শতাংশ পার্থক্য রয়েছে। এই ৭৫টির মধ্যে ১৮ আসনে জনসংখ্যার ব্যবধান ৫১-৮৮ শতাংশ। বাকি ৫৭টি আসনে জনসংখ্যার ব্যবধান ২৬ থেকে ৫০ শতাংশের মধ্যে। এ পার্থক্যের কারণে ঢাকা জেলার গড় জনসংখ্যার চেয়ে একটি আসনে ৮৮ শতাংশ বেশি মানুষ আছে।অপরদিকে আরেকটি আসনে গড় থেকেও ৬৩.৩১ শতাংশ কম জনসংখ্যা রয়েছে। অথচ দুটি আসনের সংসদ সদস্যের মর্যাদা একই।এ ব্যবধান রেখে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ হলে যশোর-৩ আসনের নির্বাচিত সংসদ-সদস্য আট লাখ ২ হাজার ৯৪৪ জন মানুষের প্রতিনিধিত্ব করবেন। অপরদিকে একই জেলার যশোর-৬ আসনের জনপ্রতিনিধি হবেন দুই লাখ ৮০ হাজার ৯৩১ জনের।জনসংখ্যার এতবড় ব্যবধানের কারণে আসনভিত্তিক সংসদ-সদস্য প্রার্থীর নির্বাচনি ব্যয়সহ অন্যান্য কার্যক্রমেও ভিন্নতা আসবে। জনশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ৩০০ সংসদীয় আসনের জনসংখ্যা পর্যালোচনায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে।জনশুমারি অনুযায়ী দেশে এখন জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার।

রামপাল আজ রাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করতে পারে

কয়লাসংকটে বন্ধ হওয়ার এক মাস পর আজ বুধবার রাতে বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র আবার উৎপাদনে যেতে পারে। এ জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ একরাম উল্লাহ আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘দ্রুত উৎপাদন শুরু করতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। সব ঠিকঠাক থাকলে আজ রাতে কেন্দ্রটি থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।’রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু হলে দেশে চলমান লোডশেডিং বন্ধ হবে বলে আশা করছেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা।১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুই ইউনিটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ বিনিয়োগে। চুক্তির প্রায় ১০ বছর পর গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। কিন্তু কয়লার অভাবে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। মূলত, ডলার-সংকটে ঋণপত্র খুলতে না পারায় কয়লা আমদানি নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। এর জেরে কয়লার অভাব দেখা দেয়।

ঋণ ফেরতের অনীহা বাড়ছে

অর্থনীতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্যাংকের আমানত ও ঋণ বিতরণ। এর চেয়ে বেশি গতিতে বাড়ছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। তবে বিতরণ বাড়লেও বিতরণ করা ঋণ আশানুরূপ আদায় করতে পারছে না ব্যাংকগুলো। বছর ব্যবধানে ঋণ বিতরণ যেখানে বেড়েছে ১৯ দশমিক ৬১ শতাংশ, সেখানে আদায় কমেছে সাড়ে ৭ গুণ।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সম্প্রতি কয়েক বছরে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে আশঙ্কাজনক হারে। তাই হাতে টাকা থাকা সত্ত্বেও ব্যাংকের ঋণ ফেরত দিচ্ছেন না অনেকে।বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য মতে, ২০২২ সালের প্রথম ৯ মাসে নতুন করে ঋণ বিতরণ হয় ৬ লাখ ৬১ হাজার ৮১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। একই সময়ে আদায় হয়েছিল ৬ লাখ ৫ হাজার ২৭০ কোটি ৮০ লাখ। হিসাব অনুযায়ী বিতরণ ও আদায়ের মধ্যে পার্থক্য তৈরি হয় ৫৬ হাজার ৫৪৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকার। অপরদিকে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নতুন ঋণ বিতরণ হয় ৫ লাখ ৬ হাজার ৩৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকার। এর বিপরীতে আদায় হয় ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৫৩৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ বিতরণ ও আদায়ের পার্থক্য ছিল ৭ হাজার ৪৫৯ কোটি ৭৫ লাখ। সূত্র: প্রতিদিনের বাংলাদেশ

Nagad

ঋণ ফেরতের অনীহা বাড়ছে

অর্থনীতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্যাংকের আমানত ও ঋণ বিতরণ। এর চেয়ে বেশি গতিতে বাড়ছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। তবে বিতরণ বাড়লেও বিতরণ করা ঋণ আশানুরূপ আদায় করতে পারছে না ব্যাংকগুলো। বছর ব্যবধানে ঋণ বিতরণ যেখানে বেড়েছে ১৯ দশমিক ৬১ শতাংশ, সেখানে আদায় কমেছে সাড়ে ৭ গুণ।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সম্প্রতি কয়েক বছরে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে আশঙ্কাজনক হারে। তাই হাতে টাকা থাকা সত্ত্বেও ব্যাংকের ঋণ ফেরত দিচ্ছেন না অনেকে।বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য মতে, ২০২২ সালের প্রথম ৯ মাসে নতুন করে ঋণ বিতরণ হয় ৬ লাখ ৬১ হাজার ৮১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। একই সময়ে আদায় হয়েছিল ৬ লাখ ৫ হাজার ২৭০ কোটি ৮০ লাখ। হিসাব অনুযায়ী বিতরণ ও আদায়ের মধ্যে পার্থক্য তৈরি হয় ৫৬ হাজার ৫৪৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকার। অপরদিকে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নতুন ঋণ বিতরণ হয় ৫ লাখ ৬ হাজার ৩৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকার। এর বিপরীতে আদায় হয় ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৫৩৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ বিতরণ ও আদায়ের পার্থক্য ছিল ৭ হাজার ৪৫৯ কোটি ৭৫ লাখ। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে ঋণ ফেরত দেওয়ার প্রবণতা কমেছে সাড়ে সাত গুণ। ২০২১ সালের আলোচ্য নয় মাসে নতুন করে খেলাপিতে পরিণত হয়েছিল ৮ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ওই নয় মাসে নতুন করে ঋণ খেলাপিতে পরিণত হয় ৩১ হাজার ১২২ কোটি ১১ লাখ টাকা। তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায় ঋণ ফেরত দেওয়ার প্রবণতা কমার সঙ্গে সঙ্গে এক বছরে ঋণ খেলাপির পরিমাণ বেড়েছে ৩.৭৫ গুণ। সূত্র: প্রতিদিনের বাংলাদেশ

শনাক্ত শিশুদের ৮০ ভাগ রক্তের ক্যান্সারে আক্রান্ত

আড়াই বছরের শিশু সানজিদা। প্রথমে জ্বরে আক্রান্ত হয়। সাধারণ জ্বর ভেবে মা-বাবা ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খাওয়ান। কিন্তু থেমে থেমে জ্বর আসতে থাকে। কয়েক দিন না যেতেই গলার নিচের অংশ ফুলে যায়। অবশেষে চিকিৎসকের কাছে যান সানজিদার মা শিমু আক্তার। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে স্থানীয় চিকিৎসক পরামর্শ দেন ঢাকায় নেওয়ার। ঢাকায় আরেক দফা পরীক্ষা করিয়ে শনাক্ত হয় সানজিদা রক্তের ক্যান্সারে আক্রান্ত। গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শিশু হেমাটোলজি অ্যান্ড অনকোলজি বিভাগে কথা হয় শিমুর সঙ্গে। তিনি বলেন, দেড় মাস হলো মেয়ের ক্যান্সার শনাক্ত হলো। চিকিৎসকরা বলছেন, ‘এখন অনেকটাই সুস্থ আছে। আর কিছুদিন গেলে মেয়ে আমার পুরো সুস্থ হয়ে যাবে।’ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুদের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ চিকিৎসায় সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যায়। প্রথম অবস্থায় চিকিৎসা নিলে ৯৫ শতাংশ শিশু রোগীর ক্যান্সার নির্মূল করা সম্ভব। শিশু রোগীদের ৮০ শতাংশই রক্তের ক্যান্সারে আক্রান্ত। কিন্তু এ সত্ত্বেও মানুষের মধ্যে আস্থা তৈরি করা যায়নি। এখনো অনেকে ঝাড়-ফুঁক বা কবিরাজি চিকিৎসা নিয়ে থাকে। কেউ আবার হোমিওপ্যাথি ওষুধের ওপর নির্ভর করে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

৬ মাসে তারল্য কমেছে ১২ শতাংশ

বড় ধরনের তারল্য সংকটে পড়েছে ব্যাংকিং খাত। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোতে তারল্যের পরিমাণ কমে ৩ লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকায় নেমে এসেছে। ছয় মাস আগে জুন পর্যন্ত এই তারল্যের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। শতাংশ হিসাবে ছয় মাসের ব্যবধানে ব্যাংক খাতে তারল্য কমেছে ১২ দশমিক ১৫ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা যায়, এই ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত, ইসলামী ও বেসরকারি ব্যাংকে তারল্য কমেছে। বিশেষায়িত ও বিদেশি ব্যাংকের তারল্য বেড়েছে। তবে সার্বিক দিক বিবেচনা করলে পুরো ব্যাংক খাতে তারল্য সংকট তৈরি হয়েছে।রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে জুনে তারল্য সম্পদ ছিল ১ লাখ ৪৭ হাজার কোটি টাকা। ডিসেম্বরে কমে দাঁড়ায় ১ লাখ ১৭ হাজার কোটি টাকা। ইসলামী ব্যাংকগুলোতে জুনে ছিল ৫৬ হাজার ৭৬ কোটি টাকা। ডিসেম্বরে কমে দাঁড়ায় ৪৫ হাজার ৯ কোটি টাকা।বেসরকারি ব্যাংকে জুনে ছিল ১ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকা, ডিসেম্বরে দাঁড়ায় ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

পর্যটন চাঙ্গায় প্রবৃদ্ধিতে ফিরেছে জাপানের অর্থনীতি

গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে জাপানের অর্থনীতি শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ সম্প্রসারিত হয়েছে। কয়েক প্রান্তিকে সংকোচন শেষে অবশেষে প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরেছে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতিটি। মঙ্গলবার প্রকাশিত সরকারি উপাত্তে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর এপি। করোনা মহামারীর প্রভাব, চীন থেকে যন্ত্রাংশ আমদানি হ্রাস ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ধুঁকেছে বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতিটি। ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি সরবরাহ চেইন সংকটে শিল্পোৎপাদন ব্যাহত হয়েছে বেশির ভাগ দেশেরই। তবে গত বছরের শেষের দিকে চীনসহ বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে করোনাবিধি শিথিল করা হয়েছে। এতে জাপান, থাইল্যান্ডসহ এশিয়ার অনেক দেশের পর্যটন খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে।জাপানের কেবিনেট অফিস জানায়, চতুর্থ প্রান্তিকে জাপানের অর্থনীতি তৃতীয় প্রান্তিকের তুলনায় শূন্য দশমিক ২ শতাংশ সম্প্রসারিত হয়েছে। উল্লেখ্য জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে জাপানের অর্থনীতি শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছিল। এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে দেশটির অর্থনীতি ১ দশমিক ১ শতাংশ সম্প্রসারিত হয়েছিল। সূত্র: বণিক বার্তা।

অনিক টেলিকমের উত্থান-পতন: যেভাবে একটি ওয়ারেন্টি কার্ড এক সফল ব্যবসায় ধস নামিয়েছিল

১৯৯৬ সালে ৩৬ বছর বয়সী মশিউল আজম কয়েকজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে রাজধানীর মগবাজার প্লাজা মার্কেটের তিন তলায় একটি ফোন ফ্যাক্সের দোকান খোলেন। দোকানের নাম দেওয়া হয় অনিক টেলিকম। বাংলাদেশের প্রথম মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলসহ আরও বেশ কিছু কোম্পানির জন্য টেলিকমিউনিকেশন সম্পর্কিত সার্ভিসিং সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে ব্যবসা শুরু করে তারা। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই অনিক টেলিকম হয়ে ওঠে বাংলাদেশের মোবাইল ফোন অ্যাক্সেসরি উৎপাদন করা সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে তাদের দুটো পণ্য সবার হাতে হাতে ছড়িয়ে পড়ে, মোবাইল ফোন চার্জার এবং ব্যাটারি।এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অনিক টেলিকমের পণ্যগুলো সারাদেশের মোবাইল ফোন জগতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। পণ্যগুলোর চমৎকার গুণমান এবং এর ছয় মাসের গ্যারান্টি কার্ডের (যদি ছয় মাসের মধ্যে পণ্যটি নষ্ট হয়ে যায়, তবে সম্পূর্ণ নতুন পণ্য দিতে বাধ্য থাকবে অনিক টেলিকম) জন্য কোম্পানিটির ব্যবসা হু হু করে বাড়তে থাকে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যত বড় ভূমিকম্প

বাংলাদেশে ও এর আশপাশের অঞ্চলে ভূমিকম্প নতুন কিছু না হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব ভূমিকম্প নিয়ে সঠিক তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায় না। এছাড়া ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি কতটা হয়েছিল তা বিভিন্ন নথিতে উল্লেখ পাওয়া গেলেও সুনির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক প্রমাণ মেলে কম। বাংলাদেশের সিলেট, চট্টগ্রাম এবং ঢাকায় ১৫৪৮, ১৬৪২, ১৬৬৩, ১৭৬২, ১৭৬৫, ১৮১২, ১৮৬৫, ১৮৬৯ সালে ভূমিকম্প হওয়ার ঐতিহাসিক উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে এসবের মাত্রা কত ছিল তা জানা যায় না।
এছাড়া ১৮২২ ও ১৮১৮ সালে সিলেট ও শ্রীমঙ্গলে ৭.৫ ও ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। তবে এর ক্ষয়ক্ষতির তেমন বর্ণনা পাওয়া যায় না।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক ড. মো. আনোয়ার হোসেন ভূঁঞা বলেন, বাংলাদেশে গত ১২০-২৫ মাঝারি ও বড় মাত্রার প্রায় শতাধিক ভূকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে এসবের মধ্যে সাত বা তার চেয়ে বড় মাত্রার ভূমিকম্পের সংখ্যা খুব বেশি নয়। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

আশ্রয়হীনের নির্ভরতার ঠিকানা শেরপুরের স্নিগ্ধা আশ্রম
কেউ এসেছেন কোনো নিকটাত্মীয় বেঁচে না থাকায়, কয়েকজনকে রেখে গেছেন প্রতিষ্ঠিত সন্তানরাই, আবার কেউ বা সন্তানের সংসারে অশান্তি এড়াতে নিজেই এখানে চলে এসছেন। তবে এই ‘স্নিগ্ধা আশ্রমে’ এসে তারা খুঁজে পেয়েছেন মমতার আশ্রয়। শেরপুর সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের নিভৃত নলবাইদ গ্রামের এই স্নিগ্ধা আশ্রমে বর্তমানে ঠাঁই পেয়েছেন আট জন বৃদ্ধা, পাঁচ জন বৃদ্ধ আর এক পথশিশু।পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এই আশ্রমে আশ্রয় পাওয়াদের সেবা ও তদারকির দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম মানিক জানান, ২০১৯ সালে সাড়ে তিন একর জমিতে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছেন এলজিইডির সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম আকন্দ। স্ত্রী ‘স্নিগ্ধা’র পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমিতে তার নামে মনোরম ও নির্মল পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত এই আশ্রমে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা থাকার ব্যবস্থা আছে।প্রকৌশলী শফিকুল তার স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় থাকেন। তাদের দুই ছেলে-মেয়ে কানাডায় থেকে পড়াশোনা করছেন। ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম মানিক বলেন, “পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি আশ্রমের বাসিন্দাদের যখন যার যেটা প্রয়োজন কাপড়-চোপড় থেকে শুরু করে ওষুধ পথ্যাদি সবকিছুরই ব্যয়ভার আশ্রমের মালিক বহন করছেন। আর আমি যার যেটা যখন প্রয়োজন সেটা সরবরাহ করে এই আশ্রম পরিচালনা করছি। সূত্র: বিডি নিউজ।

বেনামি ঋণে ব্যাংকের সর্বনাশ
পারস্পরিক যোগসাজশে এক ব্যাংকের পরিচালক ঋণ নেন আরেক ব্যাংক থেকে, জমা দেন ভুয়া দলিল, বাড়ে খেলাপি ঋণ, পাচার হয় অর্থ, কঠোর ব্যবস্থার পক্ষে বিশেষজ্ঞরা -সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক থেকে বেনামি ঋণ নেওয়ায় গভীর সংকট তৈরি হয়েছে ব্যাংক খাতে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বন্ধকি জমির ভুয়া ও জাল দলিল। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর এক পরিচালক অন্য পরিচালকদের সঙ্গে যোগসাজশ করেও ঋণ নিয়ে থাকেন এবং পরস্পরকে ঋণ দিয়ে থাকেন। এসব কারণে একদিকে খেলাপির পরিমাণ ও সংখ্যা বেড়েছে, অন্যদিকে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা ঋণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পাশাপাশি বাড়ছে বিদেশে হুন্ডিতে টাকা পাচার। দেশের ব্যাংক খাতে বর্তমানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। আর দেশ স্বাধীনের পর থেকে এ পর্যন্ত পাচার হয়েছে ৮ লাখ কোটি টাকা। ভুয়া ও বেনামি ঋণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গত বছরের ৫ ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে ভুয়া ও বেনামি ঋণ জালিয়াতি প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার আলোকে অবিলম্বে ব্যক্তিমালিকানাধীন খাতে ‘প্রকৃত মালিকানার স্বচ্ছতা’ আইন প্রণয়নের সুপারিশ করে সংস্থাটি। এ ছাড়া পাচার হওয়া অর্থের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেতে দেশে-বিদেশে সকল প্রকারের লেনদেনের তথ্য আদান-প্রদান সহায়ক কমন রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডে অবিলম্বে যুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।