আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১১, ২০২৩

সরকারি প্রতিষ্ঠানে চালু হচ্ছে ইন্টার্নশিপ

চাকরিপ্রার্থীদের জন্য শুভবার্তা নিয়ে আসছে সরকার। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এরই মধ্যে এ বিষয়ক নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ (ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ) নীতিমালা, ২০২৩’।
দেশের সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং রাষ্ট্রায়ত্ত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে চালু থাকা ইন্টার্নশিপ কার্যক্রম এ নীতিমালার বাইরে থাকবে। একই সঙ্গে সামরিক, আধাসামরিকসহ রাষ্ট্রের নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে ইন্টার্নশিপের এ সুযোগ থাকবে না। আগামীকাল বুধবার প্রশাসনিক উন্নয়ন-সংক্রান্ত সচিব কমিটির বৈঠকে এ নীতিমালা উঠতে যাচ্ছে।
নীতিমালার খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুগোপযোগী ও অভিজ্ঞ মানবসম্পদ সৃষ্টি, পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞানের সঙ্গে কর্মক্ষেত্রের অভিজ্ঞতার সমন্বয় এবং সরকারি দপ্তরের কাজের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সংবিধানের ১৭(খ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এ-সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে। এতে বলা হয়েছে, ‘সমাজের প্রয়োজনের সহিত শিক্ষাকে সংগতিপূর্ণ করিবার জন্য এবং সেই প্রয়োজন সিদ্ধ করিবার উদ্দেশ্যে যথাযথ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও সদিচ্ছাপ্রণোদিত নাগরিক সৃষ্টির জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ।’ সূত্র: সমকাল

উড়োজাহাজে যাত্রীর চাপ বেশি নয়, চড়া টিকিটের দাম
বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে উড়োজাহাজের টিকিটের চড়া দাম পড়ছে। টিকিট বাণিজ্যের একটি চক্র গড়ে উঠেছে অভিযোগ।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পরিবার নিয়ে থাইল্যান্ডে বেড়াতে যেতে চেয়েছিলেন মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা রাফিউজ্জামান। তবে উড়োজাহাজের টিকিটের দাম শুনে তিনি ভ্রমণ পরিকল্পনা স্থগিত করেছেন। তিনি বলেন, একজনের আসা-যাওয়ার টিকিটের দাম এখন ৫০ হাজার টাকার বেশি।মধ্যপ্রাচ্যে নিয়মিত কর্মী পাঠান জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান রাজধানী ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী টিপু সুলতান। তিনি দাবি করেন, ভারতের কলকাতা থেকে মধ্যপ্রাচ্য যেতে টিকিটের যে দাম, তার চেয়ে অনেক বেশি দর ঢাকা থেকে একই গন্তব্যে যেতে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মার্কিন ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া ও জীবনযাত্রার বাড়তি ব্যয়ের কারণে এখন বিদেশে বেড়াতে যাওয়ার টিকিটের চাহিদা কম। কিন্তু উড়োজাহাজের টিকিটের দাম কমছে না। বিদেশে কর্মী পাঠানোর সঙ্গে যুক্ত রিক্রুটিং এজেন্সি, ভ্রমণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ট্রাভেল এজেন্সি ও টিকিট কাটার সঙ্গে যুক্ত এজেন্সির কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে যাত্রার ক্ষেত্রে টিকিটের দাম বেশি। এ কারণে কেউ কেউ খরচ কমাতে কলকাতা থেকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গন্তব্যের টিকিট নিচ্ছেন (ভারতের ভিসা থাকা সাপেক্ষে)। সূত্র: প্রথম আলো

ভ্যাটের বোঝা সাধারণের ঘাড়ে
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অঙ্কের ভ্যাট (ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স) বা মূসক (মূল্য সংযোজন কর) আদায়ের ছক কষা হয়েছে। এর পরিমাণ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মোট লক্ষ্যমাত্রার ৩৫ শতাংশ অর্থাৎ ১ লাখ ৫০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ঋণদানকারী সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলেরও (আইএমএফ) উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে সুপারিশ আছে।অর্থনীতির বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেছেন, বৈশ্বিক মন্দা ও ডলার সংকটের কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। ভ্যাটের ভার বাড়ানো হলে অনেক খাতে খরচ বাড়বে। এতে সাধারণ আয়ের বেশিরভাগ মানুষের ভোগান্তিও বাড়বে। এনবিআর সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ভ্যাট যোগ করে দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করা হয়। সাধারণ মানুষ দামের সঙ্গে বাধ্যতামূলকভাবে ঠিকই ভ্যাট পরিশোধ করে। বিক্রেতারা কড়ায় গন্ডায় হিসাব কষে তা আদায়ও করে। ভ্যাট বাড়ানোর অজুহাতে দাম বাড়ানো হয়। আদায়কৃত ভ্যাট বেশিরভাগ ব্যবসায়ী সরকারের কোষাগারে জমা দেয় না, অনেক সময় কিছু জমা দেয়। এ ফাঁকি ধরতে এনবিআরের সক্ষমতা এখনো হয়নি। তাই লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হলেও আদায় তেমন বাড়ে না। সরকার লাভবান কম হয়। সাধারণ মানুষ কিন্তু ভ্যাট পরিশোধ থেকে রেহাই পায় না। শেষ পর্যন্ত অসাধু ব্যবসায়ীদের পকেট ভারী হয়। সূত্র: দেশ রুপান্তর

মধ্যপ্রাচ্যে সাত বছরে ২৭৩ নারী শ্রমিকের আত্মহত্যা
মধ্যপ্রাচ্যের পাঁচ দেশে গত সাত বছরে ২৭৩ নারী শ্রমিক আত্মহত্যা করেছেন। নারী শ্রমিকের লাশ আসা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সৌদি আরব, জর্দান, ওমান, লেবানন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূতাবাসে মৃত নারী শ্রমিকদের তালিকা চেয়ে পাঠায়। ওই তালিকা থেকেই এই তথ্য জানা গেছে।
এমন একাধিক নারী শ্রমিকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছে কালের কণ্ঠ। স্বজনরা এমন মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে মেনে নিতে পারছে না। পূর্বাপর ঘটনা বর্ণনা করে তারা এসব মৃত্যুকে হত্যা বলে দাবি করেছে। চেয়েছে সুষ্ঠু তদন্ত। আত্মহত্যার এই বিপুল সংখ্যার কথা জানার পর গত ২০ মার্চ বৈঠক করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড। বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্যে নারী শ্রমিকের ওপর নির্যাতন ও মৃত্যু কমাতে ১০টি সুপারিশ করা হয়েছে।দূতাবাসগুলো ২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তথ্য পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়ে। সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এই সময়ে শুধু সৌদি আরবেই ১৮৩ জন প্রবাসী নারী আত্মহত্যা করেছেন। এর মধ্যে রিয়াদে ১৬৪ জন, আর জেদ্দায় ১৯ জন। সূত্র: কালের কণ্ঠ

Nagad

সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ
যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা
আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র ও দেশের মানুষের শত্রু প্রথম আলো: যুক্তরাষ্ট্র চাইলে যে কোনো দেশের ক্ষমতা ওলটাতেপালটাতে পারে, গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে তারা এখানে এমন একটা সরকার আনতে চাচ্ছে, যেখানে গণতন্ত্রের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। এখন তারা গণতন্ত্রের জ্ঞান দিচ্ছে, মানবাধিকারের কথা বলছে, তাদের দেশের অবস্থাটা কী? * সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সরকারকে স্থিতিশীলতা দেয় * গণতন্ত্র স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলেই উন্নয়নটা সম্ভব হয়েছে-যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্র চাইলে যে কোনো দেশের ক্ষমতা ওলটাতেপালটাতে পারে-এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে তারা এখানে এমন একটা সরকার আনতে চাচ্ছে, এতে করে গণতন্ত্রের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। আর সেক্ষেত্রে আমাদের কিছু বুদ্ধিজীবী, সামান্য কিছু পয়সার লোভে এদের তাঁবেদারি করে। পদলেহন করে। সোমবার জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বিশেষ অধিবেশনে ১৪৭ বিধির সাধারণ প্রস্তাব ও সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা আমাদের এখন গণতন্ত্রের জ্ঞান দিচ্ছে। কথায় কথায় ডেমোক্রেসি আর হিউম্যান রাইটসের (মানবাধিকার) কথা বলছে। তাদের দেশের অবস্থাটা কী? কয়েকদিন আগের কথা, আমেরিকার টেনেসিস রাজ্যে তিনজন কংগ্রেসম্যান, এই তিনজনের অপরাধ হচ্ছে তারা অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের জন্য আবেদন করেছিল। তারা ডেমোনেস্ট্রেশন দিয়েছিল যে, এভাবে যারতার হাতে অস্ত্র থাকা, আর এভাবে গুলি করে শিশুহত্যা বন্ধ করতে হবে। এটাই ছিল তাদের অপরাধ। আর এই অপরাধে দুজনকে কংগ্রেস থেকে এক্সপেলড করা হয়। তারা হলেন-জাস্টিস জন ও জাস্টিস পিয়ারসন। একজন সাদা চামড়া ছিল বলে বেঁচে যান। তাদের অপরাধ হলো-তারা কালো চামড়া। সেই কারণে তাদের সিট আনসিট হয়ে যায়। তো এখানে মানবাধিকার কোথায়? এখানে গণতন্ত্র কোথায়? এটা আমার প্রশ্ন। সূত্র: যুগান্তর

সংসদে সমাপনী ভাষণ
কড়া বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
প্রথম আলো আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র ও জনগণের শত্রু ♦ গণতন্ত্রের সবক দেওয়া যুক্তরাষ্ট্র নিজেরাই মানবাধিকার লঙ্ঘন করে বঙ্গবন্ধুর খুনিকে ফেরত দেয় না, তারা চাইলে যে কোনো দেশের ক্ষমতা ওল্টাতে পাল্টাতে পারে ♦ আরেকজন সুদখোরকে জিজ্ঞেস করে না তার মিলিয়ন ডলার কোথা থেকে এলো

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, আমেরিকা চাইলে যে কোনো দেশের ক্ষমতা ওল্টাতে-পাল্টাতে পারে। তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে, আবার দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্তদের পক্ষ হয়েই তারা ওকালতি করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ইচ্ছামতো সরকার ভাঙাগড়া করতে পারছেন না বলেই অনেকে ৭০ অনুচ্ছেদ পরিবর্তনের কথা বলছেন। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সরকারের স্থায়িত্ব ও উন্নয়ন এনে দিয়েছে। এ ছাড়া প্রথম আলোকে আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র ও জনগণের শত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি।
জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গতকাল বিশেষ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। পরে সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উত্থাপিত প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। প্রস্তাবে বলা হয় : ‘বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তির এই মাহেন্দ্রক্ষণে সংসদের অভিমত এই যে, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সংসদীয় গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দুরূপে জনগণের জীবনমান উন্নয়ন এবং আশা-আকাক্সক্ষার সফল বাস্তবায়নে অব্যাহতভাবে কার্যকর ও সক্রিয় ভূমিকা রাখবে। এর মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র হবে সুসংহত, শোষণমুক্ত সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে, সকলের জন্য সাম্য ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে, সংবিধানের এ অঙ্গীকারসমূহ পূরণে আমরা সকলে একযোগে কাজ করব, গড়ে তুলব আগামীর সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা, এই হোক আমাদের প্রত্যয়।’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

জানুয়ারি-মার্চ
কারখানা বন্ধ হয়েছে ৯৭টি খুলেছে ৮৭টি

আর্থিক সংকটে ক্রেতা দেশগুলোয় সংকুচিত হয়েছে চাহিদা। মিলছে না ক্রয়াদেশ। বর্তমান পরিস্থিতিতে কারখানা চালু রাখা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি শিল্পোদ্যোক্তাদের। শিল্প খাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, দেশের শিল্প অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় গত তিন মাসে কারখানা চালুর চেয়ে বন্ধ হয়েছে বেশি। চলতি পঞ্জিকাবর্ষের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কারখানা বন্ধ হয়েছে ৯৭টি। একই সময়ে বন্ধ থেকে নতুন করে চালু হয়েছে ৮৭টি কারখানা।সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর ভাষ্যমতে, কভিডকালীন দুর্বিপাকেও অনেকেই এমন ক্রয়াদেশ সংকটে ভুগেছে। কিন্তু সে ভোগান্তি খুব বেশিদিনের ছিল না। এক পর্যায়ে ক্রয়াদেশে বড় উল্লম্ফনও দেখা দিয়েছিল। কিন্তু শিল্প খাতে এখন কভিডের চেয়েও বড় আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে শুরু হওয়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব। ক্রেতা দেশগুলোর অর্থনীতিতে এরই মধ্যে জেঁকে বসেছে মন্দার আশঙ্কা। ক্রয়াদেশ নেই রফতানিমুখী কারখানাগুলোয়। বিশেষ করে সাব-কন্ট্রাক্টে কাজ করা ছোট কারখানাগুলো এ মুহূর্তে বিপদে আছে সবচেয়ে বেশি। গত দুই মাসে বন্ধ হওয়া কারখানাগুলোর একটি বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সদস্য এমওএফ ফ্যাশন। সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, কাজ না থাকায় বন্ধ হয়েছে কারখানাটি। একই কারণে বন্ধ হওয়া আরেকটি কারখানা রিম নিটিং লিমিটেড। গত তিন মাসে এমন ৯৭টি কারখানা বন্ধ হয়েছে। সূত্র: বণিক বার্তা।

এক সপ্তাহেই ‘সোল্ড আউট’ সোনায় মোড়ানো ২০ হাজার টাকার জিলাপি

রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের ২০ হাজার টাকা কেজির সোনায় মোড়ানো জিলাপি এক সপ্তাহের আগেই ‘সোল্ড আউট’ হয়ে গেছে। সোমবার বিষয়টি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নিশ্চিত করেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জিলাপি বানানোর জন্য যে পরিমাণ খাওয়ারযোগ্য সোনা তারা এনেছিলেন, তা শেষ হয়ে গেছে। এ জন্য নতুন করে আর কোনো অর্ডার নিচ্ছেন না তারা। এক সপ্তাহে কী পরিমাণ জিলাপির অর্ডার পেয়েছেন সে সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে চায়নি হোটেল কর্তৃপক্ষ।হোটেলটির এক কর্মকর্তা মারুফ হোসেন টিবিএসকে বলেন, ‘আমরা গত মঙ্গলবার একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে সাধারণ গ্রাহকদের থেকে প্রি-অর্ডার নেওয়া শুরু করেছিলাম এবং গতকাল সোমবার সকাল ১১টা পর্যন্ত যে অর্ডার এসেছে তাতে সোল্ডআউট হয়ে গেছে। এখন আমরা শুধু অর্ডার নেওয়া গ্রাহকদের জিলাপিই ডেলিভারি দিবো।’ সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

জাবি: উন্নয়ন ফি না পেয়ে সমস্যায় বিভাগগুলো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলো উন্নয়ন ফি না পাওয়ায় সমস্যার মধ্যে কাজ চালাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষকরা। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার পর বিভাগের উন্নয়নের ফি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার পর উন্নয়ন ফি দেওয়া হয়নি।দ্রুত উন্নয়ন ফি দেওয়ার জন্য কলা ও মানবিকী অনুষদের সভাপতিরা উপাচার্য বরাবর একটি আবেদন দিয়েছেন। উপাচার্য এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে আলাপকালে বিভিন্ন বিভাগের সভাপতির দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা তাদের নানা অভিযোগের কথা তুলে ধরেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, “২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফরম বিক্রি করে ১৯ কোটি টাকা পেয়েছিল কর্তৃপক্ষ। সে বছরও বিভাগের উন্নয়নের জন্য ফি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ফরম বিক্রির ২২ কোটি টাকা পাওয়ার পরও এখন পর্যন্ত উন্নয়ন ফি দিতে পারছে না। এই টাকা কোথায় যায়?” তিনি আরও বলেন, “বিভাগ যে কীভাবে চলে সেটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে নেই। উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার পদে যারা আছে তাদের কোনো কাজ তো থেমে নেই। অথচ বিভাগসমূহের উন্নয়নের জন্য কোনোরকম ফি দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।” সূত্র: বিডি নিউজ