স্বাধীনতা বি‌রোধীদের বংশধ‌রেরা বে‌শি সংঘবদ্ধ: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫:০৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৭, ২০২৩

একাত্তরে যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি তারা এখন আরও বেশি সংগঠিত-বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারকে বিব্রত ও আমাদের মহান স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য তারা অব্যাহতভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে।

মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগর আম্রকাননে আজ সোমবার (১৭ এপ্রিল) সকালে মুজিবনগর দিবসের অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘দেশি-বিদেশি প্ররোচনায় ওই অপশক্তি দেশের স্বাভাবিক অবস্থাকে বিপন্ন করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এ অপশক্তি যাতে দেশে শিকড় গাড়তে না পারে সেই জন্য সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জনগণ ও মুক্তিযুদ্ধের সকল পক্ষ সচেতন রয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ২২ টি উপ‌জেলা বাদে সারা দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা চুড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। উপজেলা ভিত্তিক মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে দেওয়া হয়েছে। তবে, উপজেলা পর্যায়ের যাচাই বাছাই কমিটি যাদের নাম মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা থেকে নামুঞ্জর করেছে তাদেরকে আপিল করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এখনো ২২টি উপজেলাতে যাচাই বাছাইয়ের কাজ বাকি আছে। সেজন্য অল্পকিছু মুক্তিযোদ্ধাদের আপিল নিস্পত্তি অপেক্ষামান। সেগুলো আগামী জুন মাসের মধ্যে নিস্পত্তি হয়ে যাবে।

রাজাকারদের তালিকা প্রণয়ন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আগে রাজাকারদের তালিকা তৈরী করার বৈধ কোনো এখতিয়ার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ছিলনা। বিগত দিনে এ নিয়ে জাতীয় সংসদে আইন পাশ করা হয়েছে। ৭১ সালে যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিল। রাজাকার আলবদর আল সামস স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকা প্রস্তুত করার জন্য এবং কি প্রক্রিয়ায় হবে সেটিই সংসদে পাশ করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, এখন আমরা মুক্তিযুদ্ধ সংসদীয় কমিটির সভাপতি শাহাজান খান এমপিকে আহবায়ক করে কমিটি গঠণ ও রাজাকারদর তালিকা প্রনয়নের দায়ীত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই কমিটির মাধ্যমে খুব অল্পদিনেই রাজাকারদের তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করা হবে।

Nagad

মুজিবনগর দিবস পালনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মন্ত্রী। এর পরে শেখ হাসিনা মঞ্চের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। এসময় পুলিশ, বিজিবি, আনসার সদস্যদের গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, গালর্স গাইড, বিএনসিসির কুজকাওয়াজ প্রদর্শন করা হয়।

পরে ওই স্থানে বাংলাদেশ আনসার বাহিনী অর্কেস্ট্রা দলের গীতিনাট্য জল, মাটি ও মানুষ প্রদর্শন করে। যেখানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস এবং পর্যায়ক্রমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেভাবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে তা অভিনয়ের মাধ্যমে তুলে ধরেন আনসার আর্কেস্ট্রা দলের শিল্পীরা।