জীবিত নারীর শরীর থেকে মাংস তুলে নির্যাতন!

কক্সবাজার সংবাদদাতাকক্সবাজার সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৭:১৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৭, ২০২৩

ছবি- সংগৃহীত

কক্সবাজারের চকরিয়ায় এক নারীকে বিবস্ত্র করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের মাংস তুলে নিয়ে নির্মম নির্যাতনের একপর্যায়ে জ্ঞান হারালে মৃত ভেবে তাকে রাস্তায় ফেলে চলে যান নির্যাতনকারীরা। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) ভোর ৭টার দিকে চকরিয়ার কাকারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলাম নগর এলাকায় এই নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় শনিবার (১৫ জুলাই) দিনগত রাতে এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব)।

কক্সবাজার র‌্যাব-১৫-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন শামীম গণমাধ্যমকে এইসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- প্রধান অভিযুক্ত চকরিয়ার কাকারা ইউনিয়নের ইসলাম নগর এলাকার মৃত ছৈয়দ হোছন ওরফে বুদু ড্রাইভারের ছেলে আবুল হোছন (৫০), আরিফ পুতিয়া (৪০) এবং একই এলাকার আবু তাহেরের স্ত্রী ডলি আক্তার (৩০)।

র‌্যাব জানায়, ভুক্তভোগী নারীর নাম ইসমত আরা বেগম (৩৮)। তিনি চকরিয়ার কাকারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলাম নগর এলাকার বাসিন্দা। তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে ১১ জুলাই প্রতিবেশী আবুল হোছন, সেলিম, মোহাম্মদ আরিফ পুতিয়া, ডলি আক্তারসহ আরও কয়েকজন তাকে বিবস্ত্র করে নৃশংসভাবে নির্যাতন করেন। এ সময় নির্যাতনকারীরা দা, কিরিচ ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভিকটিম ইসমত আরাকে এলোপাতাড়ি কোপান। একপর্যায়ে রান ও শরীরের বিভিন্ন অংশের মাংস তুলে ফেলেন। এতে ওই নারী জ্ঞান হারালে মৃত ভেবে টেনেহিঁচড়ে মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখে আসেন। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন।

এই ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হলে মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়। এই ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৫-৬ জনকে আসামি করে ১৫ জুলাই চকরিয়া থানায় একটি মামলা করেন ভিকটিমের বোন জিন্নাত আরা (৪০)। পরে অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত আবুল হোছনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

Nagad

র‌্যাব-১৫-এর মিডিয়া কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুস সালাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা ঘটনার সাথে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

সারাদিন/১৭ জুলাই/এমবি