আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
প্রতিমন্ত্রীর গাড়িতে তৃপ্তি
কালো টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার। নম্বর প্লেটে লেখা ‘ঢাকা ১৬২/অ’। গাড়ির সামনে জাতীয় সংসদের স্টিকার। হুটার বাজিয়ে গাড়িটি সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তাও দু’বছর। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য ল্যান্ড ক্রুজারটি শুল্কমুক্ত সুবিধায় কিনেছিলেন মাত্র এক কোটি ১২ লাখ টাকায়। তবে দেশে গাড়িটির বাজারমূল্য সাড়ে ১০ থেকে ১১ কোটি টাকা। এখন গাড়িটিতে চড়েন প্রতিমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা। নিয়ম অনুযায়ী, গাড়িটি সড়কে নামানোর ১৫ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটিতে (বিআরটিএ) নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে নিবন্ধনের (রেজিস্ট্রেশন) আবেদন করতে হয়। অথচ দুই বছরেও রেজিস্ট্রেশনের আবেদন করা হয়নি। সরকারের দায়িত্বশীল কোনো ব্যক্তি রেজিস্ট্রেশনহীন গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না বলে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর বার্তা থাকলেও নিয়ম ভেঙে প্রতিমন্ত্রীর গাড়ি ঠিকই সড়কে চলছে। প্রতিমন্ত্রীর গাড়িবিলাস এখানেই শেষ নয়, এর আগে শুল্কমুক্ত আরেকটি গাড়ি আমদানি করে নির্ধারিত সময়ের আগেই সেটি বিক্রি করে দিয়েছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী, সরকারি পরিবহন পুল থেকে তাঁর গাড়ি বরাদ্দ পাওয়ার কথা। সেই গাড়িও তিনি নিয়েছেন। এ ছাড়া তাঁর মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠানের আরও চারটি গাড়ি নিজে ও স্বজনরা ব্যবহার করছেন। প্রতিমন্ত্রী যে গাড়িটি এখন সার্বক্ষণিক ব্যবহার করেন, সেটিও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে নেওয়া। সূত্র: সমকাল
ফেসবুক আইডি হ্যাক করাটা এখন ‘ব্যবসা’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই একটি বার্তা দেখা যায়। সেখানে লেখা থাকে, ‘ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে। বাজে পোস্ট করা হচ্ছে। দুঃখিত।’ মাঝে মাঝে লেখা হয়, ‘কেউ টাকা চাইলে দেবেন না।’ মানুষের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিচয় (আইডি বা প্রোফাইল) যে চুরি হয়, তা সবার জানা। কিন্তু অজানা হলো, টাকার বিনিময়ে এই হ্যাক করার (নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়া) অবৈধ সেবা দিতে রীতিমতো ব্যবসা ফেঁদে বসেছে একাধিক চক্র। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চক্রগুলো নিজেদের মুঠোফোন নম্বর দিয়ে পোস্ট দিচ্ছে। নম্বর এখন আঙুলের ছাপ নিয়ে (বায়োমেট্রিক) নিবন্ধিত। ফলে চাইলেই অপরাধীদের শনাক্ত করা সম্ভব। অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি কিছু পোস্ট নজরে আসে। যেখানে ফেসবুক, জি–মেইল, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপের মতো মাধ্যমের আইডি হ্যাক করার বিজ্ঞাপন ছিল। হোয়াটসঅ্যাপেও এসেছে এ ধরনের কিছু বার্তা। আবার ‘ফেসবুকে আইডি হ্যাক’ লিখলেই প্রচুর গ্রুপ ও পেজ সামনে আসে। পুলিশ বলছে, এ ধরনের পোস্টের বেশির ভাগ ভুয়া। পরিচয় চুরি করে দেওয়ার কথা বলে সাধারণত অগ্রিম দেওয়া টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। তবে সেটিও একটি অপরাধ। আর এ ধরনের সেবা যাঁরা নিতে চান, তাঁরাও অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন। অবশ্য কেউ কেউ বলছেন, সব ক্ষেত্রে ভুয়া নয়। সে কারণেই মানুষের পরিচয় চুরির ঘটনা ঘটছে। সূত্র; প্রথম আলো
প্রযুক্তিনির্ভর নির্বাচনের প্রস্তুতি
মোটরবহর নিয়ে শোডাউন, পেশিশক্তির প্রদর্শন, মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধাসহ আচরণবিধি লঙ্ঘন ঠেকাতেই এসব পদক্ষেপ – মো. আহসান হাবিব খান, নির্বাচন কমিশনার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ব্যালট পেপারে অনুষ্ঠিত হলেও নির্বাচনী কার্যক্রমে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এ ক্ষেত্রে পেশিশক্তির নিয়ন্ত্রণ ও প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলে বাধাদান ঠেকাতে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে ই-ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অনলাইনে জামানতের টাকা পরিশোধের সুযোগও থাকবে। অন্যদিকে ভোট কেন্দ্রের নাম ও ভোটার নম্বর খুঁজে পাওয়ার ভোগান্তি কমাতে ‘বাংলাদেশ ইলেকশন অ্যাপ’ নামে একটি অ্যাপ তৈরি করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই অ্যাপে ভোটারের তথ্যের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের জন্য রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, ডিসি, এসপি, ওসিসহ নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের পরিচয়, ফোন নম্বর দেওয়া থাকবে। ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন এই অ্যাপ তৈরি করতে ৫ কোটি টাকার বেশি খরচ হতে পারে। ভোটার, রাজনৈতিক দল, প্রার্থী, রিটার্নিং অফিসার, ইসি ও সচিবসহ অন্যরাও এ অ্যাপে প্রবেশ করতে পারবেন।চলতি বছর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করার পরিকল্পনা ধরে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে কমিশন। এ ক্ষেত্রে নভেম্বরের শুরু বা মাঝামাঝিতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। ব্যালট পেপারে ৩০০ আসনে ভোট করতে রোডম্যাপ অনুযায়ী প্রস্তুতিমূলক কাজ চলছে। নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন কার্যক্রম এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। চলছে নির্বাচন পর্যবেক্ষক তালিকা চূড়ান্ত করার কাজ। নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ঢেলে সাজানো হচ্ছে। ৩০ জুলাই ভোট কেন্দ্র ও ভোটকক্ষ নির্ধারণে সারা দেশে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। ইসির কর্মকর্তা এবং ভোট কেন্দ্র নির্ধারণ কমিটির সদস্যরা সম্ভাব্য কেন্দ্র পরিদর্শন করছেন। সূত্র; বিডি প্রতিদিন।
সিন্ডিকেটের দাপুটে উত্থান
নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে অসহায় সরকার
দেশে নিত্যপণ্যের উৎপাদনে কোনো ঘাটতি নেই। সরবরাহব্যবস্থাও স্বাভাবিক। এরপরও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে পাগলা ঘোড়ার গতিতে। পাশাপাশি সব ধরনের সেবার মূল্যও বাড়ছে বেপরোয়া গতিতে। এতে ভোক্তার জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে লাগামহীনভাবে। দীর্ঘ সময় ধরে চলমান অর্থনৈতিক মন্দায় মানুষের আয় কমে যাচ্ছে।ফলে জীবনযাত্রার খরচ যেভাবে বেড়েছে, সেভাবে আয় বাড়েনি। এতে সংসার চালাতে মানুষ ঋণগ্রস্ত হচ্ছে। ভোক্তার পিঠ ঠেকে গেছে দেওয়ালে। বাজারে গিয়ে মানুষ ক্ষোভ ঝাড়ছেন সরকারের বিরুদ্ধে। সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে একটি চক্র। তারা প্রতিবছর ভোক্তাকে জিম্মি করে হাজার কোটি টাকা ছিনিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু ওই চক্রের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। এভাবেই নির্বিঘ্নে দাপুটে উত্থান ঘটছে বাজার সিন্ডিকেটের।সরকারি দু-একটি সংস্থা কোনো কোনো ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে নামমাত্র জরিমানা করছে। এতে জরিমানার অর্থ তুলতে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম আরও বাড়িয়ে দিচ্ছেন। বিদ্যমান প্রেক্ষাপটে সিন্ডিকেটর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে জোর দাবি উঠেছে। কিন্তু সরকারের একাধিক মন্ত্রী রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন। এ পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে-ভোক্তার স্বার্থরক্ষায় সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কে? সরকারের চেয়ে সিন্ডিকেট কি বেশি শক্তিশালী? ২০২০ সালে করোনার সময় সরবরাহ সংকট দেখিয়ে পণ্যের দাম একদফা বাড়ানো হয়েছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারির শেষদিকে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে আন্তর্জাতিক বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম অস্বাভাবিক গতিতে বাড়ে। এতে সরবরাহ সংকট দেখা দেয়। আমদানি ব্যয় মেটাতে গিয়ে সৃষ্টি হয় ডলার সংকট। বেড়ে যায় ডলারের দাম। এর প্রভাবে বাড়তে থাকে পণ্যের দামও। যতটুকু না আন্তর্জাতিক বাজার বা ডলারের দামের প্রভাব পড়েছে, এর চেয়ে বেশি বেড়েছে সিন্ডিকেটের কারসাজির কারণে। সূত্র: যুগান্তর
জলাবদ্ধতার পর ভাঙা সড়কে দুর্ভোগ
জলাবদ্ধতার কারণে টানা ৪ দিন ডুবে ছিল চট্টগ্রাম শহরের বেশির ভাগ জায়গা। এতে অসহনীয় ভোগান্তির শিকার হন সব মানুষ। পানি একেবারে নেমে গেছে। কিন্তু নতুন যন্ত্রণা হাজির হয়েছে এখন নগরবাসীর সামনে। এই যন্ত্রণা-ভাঙা সড়কের।টানা জলাবদ্ধতার কারণে নগরের মূল সড়কের পাশাপাশি শাখা সড়কগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যাপকভাবে। এসব সড়কের কোথাও পিচ উঠে গেছে, কোথাও আবার তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। এমন ভাঙাচোরা সড়ক মাড়িয়ে বেশ ভোগান্তি নিয়ে নগরে চলাচল করতে হচ্ছে চালক ও যাত্রীদের। খানাখন্দে পড়ে গাড়ি নষ্ট হওয়ার দৃশ্যও নিয়মিত হয়ে দাঁড়িয়েছে।৩ আগস্ট রাতে চট্টগ্রামে ভারী বর্ষণ শুরু হয়। এই বৃষ্টি ও পূর্ণিমার অস্বাভাবিক জোয়ারে গত শুক্রবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম নগরে জলাবদ্ধতা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম নগরীর ৪০ শতাংশ এলাকা ডুবে যায়। সেই জলাবদ্ধতা লেগে ছিল গত মঙ্গলবার পর্যন্ত। অধিকাংশ এলাকায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত পানি জমে ছিল। আবার কিছু এলাকা টানা ডুবে ছিল। এতে অনেক সড়কের পিচ-ইট ভেসে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে ক্ষত। সূত্র; দৈনিক বাংলা।
মাদ্রাসায় নিয়োগই হয়নি, বেতনে গেল ১৪ কোটি
মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) শীর্ষ কর্মকর্তার বাড়িকে মাদ্রাসা দেখিয়ে দুজন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। এর কাগুজে নাম দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদ্রাসা। শিক্ষক হিসেবে মো. শাহাদাত ও মো. আলীর নামে প্রতি মাসে ১১ হাজার ৩০০ টাকা হারে ১৬ মাসের (২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৯ সালের জুলাই) বেতন-ভাতা বাবদ মোট ৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা তোলা হয়েছে সরকারি কোষাগার থেকে। ওই সময় ইফার মহাপরিচালক (ডিজি) ছিলেন সামীম মোহাম্মদ আফজাল। এভাবে সারা দেশে ভৌতিক মাদ্রাসার নামে সরকারি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। এমনকি সারা দেশে দারুল আরকাম মাদ্রাসায় ১ হাজার ১০ জন শিক্ষক নিয়োগ না দিয়েই বেতন-ভাতা বাবদ ১৩ কোটি ৬৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকা তছরুপ করা হয়েছে। সরকারি নিরীক্ষায়ই এই অনিয়ম ধরা পড়েছে। সূত্র: আজকের পত্রিকা ।
‘সিন্ডিকেটের দাপুটে উত্থান: নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে অসহায় সরকার’
বাজারে সিন্ডিকেটের কারসাজি নিয়ে যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, “সিন্ডিকেটের দাপুটে উত্থান: নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে অসহায় সরকার”। খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নিত্যপণ্যের উৎপাদনে ও সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হলেও পণ্য এবং সব ধরনের সেবার দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। ফলে অর্থনৈতিক মন্দায় মানুষের আয় কমে গেলেও জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। ভোক্তাদের অভিযোগ, সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে একটি চক্র। তারা প্রতিবছর ভোক্তাকে জিম্মি করে হাজার কোটি টাকা ছিনিয়ে নিচ্ছে।কিন্তু ওই চক্রের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। সরকারি দু-একটি সংস্থা কোনো কোনো ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে নামমাত্র জরিমানা করছে। এতে জরিমানার অর্থ তুলতে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম আরও বাড়িয়ে দিচ্ছেন।এ পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে-ভোক্তার স্বার্থরক্ষায় সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কে? সরকারের চেয়ে সিন্ডিকেট কি বেশি শক্তিশালী – এমন প্রশ্নও উঠছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
থেমে থেমে বৃষ্টি আরও দুদিন
কখনও গুঁড়িগুঁড়ি, কখনও মাঝারি থেকে তুমুল বৃষ্টি; মওসুমের শেষ সময়ে শ্রাবণের এই বারিধারা আরও দুদিন থাকার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় শনিবার রাত থেকেই টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মঙ্গলবারের পর থেকে বৃষ্টি খানিকটা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা।বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, বৃষ্টিটা একবারে ১৫ অগাস্টের পর কমবে। এর মাঝে এ দুই দিনে দেখা যাবে থেমে থেমে বৃষ্টি পড়ছে।“এই সময়ে রোদের দেখা মিলবে না, এমন নয়। একবেলা বৃষ্টি হলে, আরেক বেলা হয়ত রোদ উঠবে। এমনটা চলবে। তবে এখন যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে, সেই পরিমাণটা কমে আসবে।” সূত্র; বিডি নিউজ
বাংলাদেশবিমুখ বিদেশি এয়ারলাইন্স, কমছে ফ্লাইট বাড়ছে ভাড়া
বাংলাদেশে ফ্লাইট সংখ্যা ক্রমেই কমিয়ে আনছে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো। তাদের দাবি, রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ক্ষতি ও যথাসময়ে টাকা পাঠানো নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয় এখানে। এতে প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে বিদেশি ফ্লাইট পরিচালনা। ফলে দেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন গন্তব্যে উড়োজাহাজ ভাড়া বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। এতে বেশি বিপাকে পড়ছেন প্রবাসী শ্রমিকেরা। ভাড়া বাড়ায় ব্যবসা পরিচালনায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ট্রাভেল এজেন্সিগুলোও।ট্রাভেল এজেন্ট ব্যবসায়ীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)। সংগঠনটি জানায়, আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দিনে ৪০টি এয়ারলাইন্সের প্রায় ১৫০টি ফ্লাইট ওঠা-নামা করতো। কিন্তু গত বছরের নভেম্বর থেকে দেশে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর ফ্লাইট আশঙ্কাজনক হারে কমতে থাকে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ শতাংশ ফ্লাইট কমেছে। ফ্লাইট কমার এ ধারা অব্যাহত আছে। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় প্লেন টিকিট যাত্রীদের নাগালের বাইরে চলে যাবে। এতে কমতে থাকবে প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্স। পর্যটন খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এছাড়া লোকসানের মুখে ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা গুটিয়ে নিতে হবে। অ্যাভিয়েশন খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে ফ্লাইট কমানোর বিষয়ে তারা বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে কথা বলেছেন। এয়ারলাইন্সগুলো জানিয়েছে, তারা যখন টিকিট বিক্রি করে তখন প্রতি ডলারের বিপরীতে টাকার মান থাকে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। কিন্তু রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে টাকার মান হয়ে যায় ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। ফলে রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে এয়ারলাইন্সগুলো ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এছাড়া ডলার সংকটের কারণে বিদেশি এয়ারলাইন্স তাদের টিকিট বিক্রি বাবদ অর্থ যথাসময়ে নিজ দেশে পাঠাতে পারছে না। এ কারণে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। সূত্র; জাগো নিউজ
সবার জন্য পেনশনে আসছে নতুন দিন
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) বাস্তবায়ন। সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তখনকার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন’ করার কাজে হাত দেন। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন। বিষয়টি সর্বমহলে প্রশংসিত হলেও এতদিন ‘হচ্ছে আর হবে’-এর মধ্যে ঝুলে ছিল। মুহিত আজ বেঁেচ না থাকলেও তার কর্মসূচি বাস্তব রূপ পেতে যাচ্ছে। ১৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে। এ কর্মসূচি শুরুতে ঐচ্ছিক হলেও পাঁচ বছর পর থেকে তা বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই সারা দেশে একযোগে ‘সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থা’ চালু করতে প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের বিশেষ নির্দেশ দেন। প্রস্তুতি শেষ করা সম্ভব না হওয়ায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে কয়েকটি জেলায় এবং কয়েকটি দেশের প্রবাসীদের জন্য চালু করা হতে পারে।গত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ। এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা। শুরুতে কয়টা স্কিম থাকবে এবং কোন এলাকার মানুষ অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে, তা নিয়ে একেবারে শেষ সময়েও কাজ চলছে। সূত্র: দেশ রুপান্তর