আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
ডেঙ্গু বাড়ছে, শিরায় দেওয়া স্যালাইনের সংকট কাটছে না
৯ জেলার সরকারি হাসপাতালের পরিস্থিতি জানার চেষ্টা করেছেন প্রথম আলোর প্রতিনিধিরা। ৭ হাসপাতালে স্যালাইনের সংকট দেখা গেছে। বিভিন্ন জেলায় শিরায় দেওয়া স্যালাইনের সংকট চলছে। একাধিক সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের চাহিদামতো স্যালাইন দিতে পারছেন না চিকিৎসকেরা। এমন পরিস্থিতিতে ভারত থেকে স্যালাইন আমদানি শুরু করেছে সরকার। তকাল শনিবার বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৯ জেলার সরকারি হাসপাতালের শিরায় দেওয়া স্যালাইনের পরিস্থিতি জানার চেষ্টা করেছেন প্রথম আলোর প্রতিনিধিরা। সাত জেলায় সরকারি হাসপাতালে স্যালাইনের সংকট দেখা গেছে। একাধিক জেলায় বাজারেও শিরায় দেওয়া স্যালাইন কিনতে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে বেশি দাম দিয়ে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে।সরকারি প্রতিষ্ঠানে স্যালাইন উৎপাদন হয় না। শিরায় দেওয়া স্যালাইন উৎপাদন করে ছয়টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। সরকারিভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে স্যালাইন কেনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একমাত্র ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল)। ইডিসিএল সেসব স্যালাইন সরকারি হাসপাতালে সরবরাহ করে। সূত্র: প্রথম আলো
অস্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে, উদ্ধারও হচ্ছে বেশি
দেশে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। আতঙ্ক ছড়ানোর পাশাপাশি চাঁদাবাজি, অপহরণ, সন্ত্রাসমূলক অপরাধ ও রাজনৈতিক তৎপরতায় এসব অস্ত্রের ব্যবহার দেখা গেছে। এর মধ্যে একাধিক ঘটনায় শিশুসহ সাধারণ মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়েছে। র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির তথ্য মতে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় আট হাজার অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। এতে গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে গড়ে প্রায় এক হাজার অস্ত্র বেশি উদ্ধার করা হয়েছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ


বাপ-বেটার ‘এমপি লীগ’
বাবা হাবিবর রহমান বগুড়া-৫ (ধুনট-শেরপুর) আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য (এমপি)। আর ছেলে আসিফ ইকবাল সনি ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। পরিবারতন্ত্র তারা দু’জনই বোঝেন ভালো। অনিয়ম-দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য, ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ, সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন তহবিলের বরাদ্দ নয়ছয়ে কেউ কারও চেয়ে কম নন। এমপি হাবিব তিন মেয়াদে ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি আর টিআর-কাবিখা খেয়েদেয়ে সারা। সম্পদ বেড়েছে অন্তত ৩০০ গুণ। ‘বাপ-বেটা’র কথা যেন ধুনটের আইন! নিজ দলের নেতাকর্মীর কেউ তাদের অপকর্মের কথা তুললেই পড়তে হয় সাজানো মামলার গ্যাঁড়াকলে। সরেজমিন এলাকা ঘুরে নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে।স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগের চেয়ে তারা ‘এমপি লীগ’ বা ‘বাপ-বেটা লীগ’ হিসেবে এলাকায় বেশি পরিচিত। নিজেদের বড় দেখাতে দলকেই ছোট বানিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের প্রতাপে দলের সক্রিয় নেতাকর্মীরাই এখন ঘরকুনো। অত্যাচার সইতে না পেরে বাধ্য হয়ে রাজনীতির মাঠ থেকে বিদায় নিয়েছেন অনেকে। দলের নেতাকর্মী চক্ষুশূল হলেও বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীর জন্য রয়েছে গোপন প্রীতি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকাকে একাধিকবার ডোবাতেও বুক কাঁপেনি বাবা-ছেলের। এসব বিষয়ে বিভিন্ন সময় এমপি হাবিব ও ছেলে সনির নামে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) একাধিক লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। সূত্র: সমকাল
মূল্য নির্ধারণের প্রভাব নেই বাজারে
সিন্ডিকেটের স্বার্থই রক্ষা
কৃষকের কাছ থেকে আলু ১২ টাকা কেজিতে কিনে হিমাগার থেকে ২৬-২৭ টাকা বিক্রি করলেও মুনাফা হয় ৭ থেকে ৮ টাকা। খুচরা বাজারে তা ৩৫ থেকে ৩৬ টাকায় বিক্রি করলে দুই দফা হাতবদলে মুনাফা দাঁড়ায় ১৭ থেকে ১৮ টাকা
নিত্যপণ্যের উৎপাদন, মজুত ও সরবরাহ সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। বাজার ও গুদামে পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। এরপরও সিন্ডিকেটের কারসাজির কারণে পণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। নির্দিষ্ট একটি সময়ের জন্য এক বা একাধিক পণ্য টার্গেট করে পরিকল্পিতভাবে দাম বাড়ানো হচ্ছে। পরে এ দাম আর তেমন একটা কমছে না। দাম বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে সরকার নানা উদ্যোগ নেয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ওইসব পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু যত টাকা দাম বাড়ানো হয়েছিল, পুরোটা না কমিয়ে সামান্য কিছু কমানো হয়। এমনকি উৎপাদন, পরিবহণ, ব্যবসায়ীর মুনাফাসহ যে দাম হওয়ার কথা, এর চেয়েও বেশি দাম নির্ধারণ করা হয়। এতে প্রকৃতপক্ষে ভোক্তা কোনোভাবেই লাভবান হচ্ছেন না। উলটো তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। লাভবান হচ্ছে কথিত সিন্ডিকেট। এ কারণে অনেকে মনে করেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যেসব পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিচ্ছে, তা সিন্ডিকেটের পক্ষেই যাচ্ছে।
বাজারে প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দামই আকাশছোঁয়া। এর মধ্যে ভোক্তার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় আলু, ডিম ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে লাগামহীনভাবে। এ বছরের শুরুর দিকে আলুর কেজি ছিল ২০ টাকা। মে মাসে তা বেড়ে হয় ৩৫ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকা কেজি। সূত্র: যুগান্তর
পরিবারের বাইরে আওয়ামী লীগ
উপনির্বাচনে ২৪ মন্ত্রী-এমপির পরিবার পায়নি মনোনয়ন
নাটোর-৪ আসনের আসন্ন উপনির্বাচনে দলীয় মনোনয়নে জোর আলোচনায় ছিলেন প্রয়াত এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুসের মেয়ে কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন মেলেনি। মুক্তি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও যুব মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি। এ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী।এতে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া পড়েছে। তারা অনেকাংশেই উজ্জীবিত। অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস পাঁচবারের নির্বাচিত এমপি এবং সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী আবদুল কুদ্দুস ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বৃহত্তর রাজশাহী জেলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের সভাপতি, রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, দুবার নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। সবার ধারণা ছিল, পিতার ভার কন্যার কাঁধেই উঠছে। কিন্তু তা হয়নি। পরিবার থেকে বেরিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে দলের এক প্রবীণ নেতাকে। একাদশ জাতীয় সংসদের মোট ২৮ জন এমপি মারা গেছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ২৬ জন। তার মধ্যে চারটি বাদে বাকিগুলোয় এমপি-মন্ত্রীদের পরিবারের বাইরে গিয়ে ত্যাগী-পরীক্ষিত প্রবীণ-নবীন নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এক এমপির পদত্যাগ ও আরেকজনের আইনি প্রক্রিয়ায় শূন্য হওয়া আসনেও তাঁদের পরিবারের কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশের ইতিহাসে একাদশ জাতীয় সংসদেই সবচেয়ে বেশি উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
অস্তিত্বহীন শাখা-বিভাগের দায়িত্বে ৩০ চিকিৎসক, কাজ ছাড়াই পাচ্ছেন বেতন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীন জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে (আইপিএইচ) একসময় নানা ধরনের ভ্যাকসিন (টিকা), স্যালাইন, ব্লাড ব্যাগ, রিএজেন্ট ইত্যাদি উৎপাদন করা হতো। ১৯৯৫ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে একে একে বন্ধ হয়ে যায় বিভিন্ন বিভাগ ও শাখা। কিছু শাখার কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে। কয়েকটি বিভাগ বা শাখার এখন আর কোনো অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। অথচ এসব বিভাগ বা শাখায় কর্মরত আছেন ৩০ জনের মতো চিকিৎসক। তাঁরা একরকম বসে বসে বেতন-ভাতা নিচ্ছেন।
জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখানে কিছু শাখা রয়েছে, যেগুলোর কোনো কাজ নেই। কাজ নেই এমন শাখার তিনজনকে তিনি আন্তশাখা বদলি করেছেন। তবে তিনি মনে করেন, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে সরকার তাঁদের অন্যত্র বদলি করতে পারে। সূত্র: আজকের পত্রিকা।
চার কঠিন চ্যালেঞ্জে অর্থনীতি
দেশের অর্থনীতি বর্তমানে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে। চারটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে সংকট দিন দিন তীব্র আকার ধারণ করছে। সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, রিজার্ভ সংকট, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ঋণপ্রাপ্তি কমে যাওয়া এবং ঋণ পরিশোধের চাপের কারণে অর্থনীতি এমন চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে।অর্থনীতিবিদদের শঙ্কা, সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশকে আরও কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যে সরকার দেশি-বিদেশি নানা চাপের মুখে রয়েছে। এর মধ্যে অর্থনীতির সংকট সরকারের জন্য আরও মারাত্মক চ্যালেঞ্জ বয়ে আনতে পারে।পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দুই বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশের রিজার্ভ প্রায় ৪৩ শতাংশ কমে গেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবে রিজার্ভ কমেছে ৫৫ শতাংশ। প্রতি মাসে প্রায় এক বিলিয়ন করে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। ১৪ সেপ্টেম্বর দেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ নেমে এসেছে ২১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে (আইএমএফের হিসেবে)। তারও কয়েক দিন আগে এই রিজার্ভ নেমে এসেছিল ২১ দশমিক ৪৮ বিলিয়নে। ২০২১ সালের আগস্টে ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। আর গত বছরের আগস্টে রিজার্ভ ছিল ৩৯ বিলিয়ন। বর্তমানে যে রিজার্ভ রয়েছে, তা দিয়ে সর্বোচ্চ চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো কষ্টকর হবে। পাশাপাশি প্রথমবারের মতো দেশের ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট (আর্থিক হিসাব) ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে। সূত্র: দেশ রুপান্তর
জামাই-শ্বশুরের কব্জায় সরকারি জমি, কোটি টাকার বাণিজ্য
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার অন্যতম প্রধান মহাসড়ক ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কটি। তবে খাড়াজোড়া-লতিফপুর হয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল পুরোনো মহাসড়কটি কালিয়াকৈরের অন্য সব সড়ক-মহাসড়ক থেকে বেশি ব্যস্ত; কিন্তু অসাধু লোকজনের কারণে রাস্তার দু’পাশ দিন দিন দখল হয়ে সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে এই মহাসড়কটি।কালিয়াকৈরের লতিফপুর জোড়া ব্রিজের দু’পাশ থেকে কালিয়াকৈর বাজার রোড ও বাজার সংলগ্ন এলাকার আশপাশের রাস্তার দু’পাশে সরকারি জমি দখল করে বাণিজ্য চলছে রীতিমতো। ব্যক্তিগত রাস্তা নির্মাণ, দোকানপাট, টংঘর, বহুতল ভবন, মাছের খামার, শো-রুম, খাবার হোটেল, মসজিদ, মাদ্রাসা থেকে শুরু করে অটোরিকশার গ্যারেজ, বিভিন্ন সংগঠনের সমিতি, শো-রুম, ওয়ার্কশপ, বসতবাড়ি নির্মাণ করে দখলের মহোৎসব চলছে। আর এসব প্রতিষ্ঠান থেকে মোটা অংকের ভাড়ার টাকাসহ প্রতি প্রতিষ্ঠান বাবদ লাখ লাখ টাকার সিকিউরিটি মানি হাতিয়ে নিচ্ছে অবৈধ দখলদাররা। সব মিলিয়ে কয়েক কোটি টাকার বাণিজ্য এখানে, যা বছরের পর বছর ধরে শত কোটি টাকায় পরিণত হয়েছে। এতে অসাধু একেক জন দখলদার অতি সহজেই হয়ে যাচ্ছে কোটিপতি। সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে, এমনি কয়েক জন প্রভাবশালী দখলদারের নাম চলে আসে দৈনিক বাংলার কাছে। আর এ নামের তালিকায় প্রথমে আসে জামাই আলম ও তার শ্বশুর সামসুল হক ওরফে ঘোড়া সামসুল। দু’জনের মধ্যে চলছে রাস্তার পাশের সরকারি জমি দখলের প্রতিযোগিতা। কার আগে কে দখল করবেন, তা নিয়ে তাদের মধ্যে রয়েছে বিশাল ঝামেলা।জামাই আলমের কব্জায় এখন পর্যন্ত রয়েছে ২০-২৫টি দোকানপাট, রিকশার গ্যারেজ, মুদি দোকান, চায়ের দোকান, ওয়ার্কশপ, কিন্ডারগার্টেনসহ অনেক প্রতিষ্ঠান। আর এখান থেকে প্রতি মাসে তিনি প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা ভাড়া হিসেবে হাতিয়ে নিচ্ছেন। আবার সরকারি জমিতে নতুন দোকান উঠাতে পারলেই, তার সিকিউরিটি বাবদ দোকানদারের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নেন আলম। সূত্র; দৈনিক বাংলা।
‘এলএনজি নির্ভরতা দেশকে বড় বিপদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে?’
এলএনজি নির্ভরতা দেশকে বড় বিপদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে? বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম এটি। খবরে তারা বলছে, দেশে গ্যাস সরবরাহের বেশিরভাগই আসে স্থানীয়ভাবে উত্তোলনের মাধ্যমে। যদিও এ বাবদ ব্যয়কৃত অর্থের সিংহভাগ চলে যাচ্ছে এলএনজিতে। কিন্তু সরবরাহে স্বল্প অবদান রাখা এলএনজি আমদানি করতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছে জ্বালানি বিভাগ। এতে আর্থিক ঝুঁকিতে পড়েছে জ্বালানি খাত। আবার দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে স্থানীয় গ্যাস উত্তোলন ও অনুসন্ধানে বিনিয়োগ ছিল যৎসামান্য।দেশে গ্যাসের সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় চলমান সংকটের পেছনে বিষয়টি অনেকাংশেই দায়ী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই এলএনজিনির্ভরতা কাটিয়ে ওঠা না গেলে সামনের দিনগুলোয় বিপত্তির মাত্রা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের খবর 12 Foreign airlines want to serve HSIA। এ খবরে বলা হচ্ছে, ১২টি বিদেশী বিমান সংস্থা ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাদের ফ্লাইট চালু করতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
ডলারের দাম আর বাড়বে না, ‘কমবে’
মার্কিন ডলার সংকটে চাপের মুখে বাংলাদেশের অর্থনীতি। ধারাবাহিকভাবে ডলারের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। ফলে বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সৃষ্টি হয়েছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি। নিত্যপণ্যের বাড়তি ব্যয় মেটাতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে ডলারের দাম না বাড়িয়ে কমানোর পক্ষে মত দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) নিয়মিত বৈঠকে এমন বার্তা দিয়েছে ব্যাংক খাতের এ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় বাফেদা’র চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. আফজাল করিম, এবিবি’র চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশে ডলার সংকট চলছে। এর সঙ্গে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে মূল্যস্ফীতি। এটি নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। তাই যেকোনো উপায়ে মূল্যস্ফীতির চাপ কমানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এজন্য প্রয়োজনে ডলারের দাম (রেট) না বাড়িয়ে কমানোর ওপর জোর দেন বাংলাদেশ ব্যাংক-সংশ্লিষ্টরা। দেশে ডলার সংকট চলছে। এর সঙ্গে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে মূল্যস্ফীতি। এটি নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। তাই যেকোনো উপায়ে মূল্যস্ফীতির চাপ কমানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এজন্য প্রয়োজনে ডলারের দাম (রেট) না বাড়িয়ে কমানোর ওপর জোর দেন বাংলাদেশ ব্যাংক-সংশ্লিষ্টরাবাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) দেশে মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, খাদ্যের মূল্যস্ফীতি সাড়ে ১২ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। বিবিএস’র হিসাব বলছে, গত আগস্ট মাসে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ, যা গত ১১ বছর সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি উঠেছিল ১২ দশমিক ৭৩ শতাংশে। এক দশকের মধ্যে গত আগস্ট মাসে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি প্রথমবারের মতো উঠেছে দুই অঙ্কের ঘরে। সূত্র: ঢাকা পোস্ট।